শত বছর আগে পর্ব-০২
মোঃ নাহিদ হোসাইন
আখি বলে যে নয়ন তুমি বাজাউ কেন বাশি, উদাশ হয়ে রোজ রাতে যে এখানে ছুটে আসি। আড়াল থেকে দেখি তোমায় তবু দিয়াছ ফাকি, ডরভয় যে ভুকে নিয়াই আজ দিয়াছি উকি। রোজ ভাবিযে গহিন রাতে বাশি বাজায় কে গো, আজকে দেখি বাঁশি বাজায় প্রানের সখা যে গো। আজ তোমায় দেখব বলে ভুলে গেছি যে ভয়, আজিই যেন তোমার সাথে পরিচয় যে হয়। এমন পন করেই আজ ছেরেছি ঘর রাতে, সকল কথা বলব আজ হাত রেখে যে হাতে। একলা ঘরে একলা রাতে হয়না কেন ঘুম, তোমায় আমি বাসিয়া ভালো বালিশে দেই চুম। রাত দুপুরে উতলা হয়ে একেলা বাসি ভালো, তুমি নাগর জানোনা হায় জানে চাদের আলো। এই বলিয়া আঁখি তখন ঝাপটে তাকে ধরে, প্রেম সাগরে সাতার দিল নয়ণ আঁখি ওরে। হায় এখনি আজান হবে নামাজ পড়ি আমি, ফজর দিয়া শুরু করবো ছাড়ো নাগর তুমি। ফজর কাজা হলে নাগর দিনটা বিথা যায়, এখনি হায় যেতে হবে যে দরি তোমার পায়। দাড়াউ সখী বলি তোমায় একটা কথা আমি, চাঁদনি রাতে আসবে কাল কাথা দাউগো তুমি। এদিকে হায় রাত কেটে যে সকাল হয়ে এল, রহিম চাচা গরু লাইয়া মাঠেতে ছোটে গেল। হে গরু ঠেট হে গরু ঠেট ডানি বায়ে যে করে, বলদ জোড়া থেমে গেলে যে হালের লাঠি মারে। তিব্র রোদে কপাল বেয়ে ঝইরা ঘাম পরে, ও চাচা জান জিরাউ তুমি কি যে গো আখি করে। তোমার মেয়ে ঘটি কইরা পানিতো দিতে পারে, কাম করেনা বাড়ি বাড়ি যে সারাদিন সে ঘুরে। এই বলিয়া নয়ন মিয়া হালের গরু ধরে, লাঙ্গলেতে হাত লাগাই ডানে বায়েতে ঘুরে। |
|---|
