সময় তো এখনো আছে!
তিনবন্ধু — রিজভী, নাবিলআরআরমান।সবাইবিশ্ববিদ্যালয়েপড়ে, স্বপ্নবড়, আড্ডাআরওবড়। নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত এগুলো তাদের কাছে “বুড়োদের কাজ।”
রিজভী বলত, “আমরা এখন উপভোগ করার বয়সে আছি, বুড়ো হলে মসজিদে যাব!”
আরমান হাসত, “তখন তো সময়ও থাকবে, এখন তো ক্যারিয়ার গড়ার পালা!” “উপভোগ করার সময়।”
নাবিলও বলত, “আল্লাহ তো দয়ালু, পরে তওবা করে নিলেই হবে।”
এভাবেই চলছিল তাদের জীবন— রাতে ইউটিউব, ফেইস বুক ইত্যাদি সোসাল মিডিয়াগুলো দেখতে দেখতে রাতে দেরি করে ঘুম, সকালে ক্লাসে দেরি, আর নামাজের আজান শুধু ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজা এক শব্দ।
একদিন হঠাৎ খবর এলো— আরমান রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে।
তিনজনের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি বলত “সময় তো এখনো আছে”, সে-ই হারিয়ে গেল সময়ের আগেই।
জানাজায় দাঁড়িয়ে রিজভী আর নাবিলের চোখে জল গড়িয়ে পড়ছিল। তারা বুঝল—
সময় কারও জন্য থেমে থাকে না, আর তওবার সুযোগ সবসময় পাওয়া যায় না।
সেই দিন থেকেই রিজভী ও নাবিল নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করল, কুরআন শেখা শুরু করল। তারা দুজনই বলত—“আমরা এখন বুঝেছি, ধর্ম পরে নয়— এখনই দরকার।” কারণ মৃত্যুর কোন সময় নাই।
নৈতিক শিক্ষা:
তরুণ বয়সে ধর্ম অবহেলা করা মানে জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করা। মৃত্যুর কোনো বয়স নেই, তাই তওবারও কোনো “পরে” নেই।