মিনা বললো,আরে কি বলছিস কিসের আবার আওয়াজ শুনা গেলো।
রিমি: আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম উপর থেকে আওয়াজ আসছে।
জবা: আমিও শুনলাম কিসের যেনো একটা আওয়াজ,মনে হচ্ছে যেনো কেউ দরজায় টোকা দিচ্ছে।
মিনা: তাহলে চল উপরে গিয়ে দেখে আসি।
জবা বললো, হ্যাঁ চল সবাই মিলে যাই। রিমি তো এইদিকে ভয়ে কাচুমাচু। রিমি বললো, না না যাওয়ার দরকার নেই বরং চল আমরা বাড়ি ফিরে যায় সন্ধ্যা হতে চলেছে।
মিনা: আরে তুই ভয় পাচ্ছিস নাকি তাহলে তুই এখানে থাক আমরা গিয়ে দেখে আসি।
রিমি: কি! আমাকে এখানে একা রেখে যাবি, না বাবা এর চেয়ে ভালো তোদের সাথেই নিয়ে চল।
সবাই মিলে হলঘরের সিঁড়ি দিয়ে উপরের দিকে চললো। যেতে যেতে হঠাৎ মিনা রিমির পিছন থেকে মারলো এক থাবা, রিমি চেঁচিয়ে উঠে বললো- উরে বাবা রে ভূতে বুঝি আমায় থাবা মারলো! আমাকে কেউ বাঁচা…..
সবাই তো রিমির কান্ড দেখে হাসতে লাগল। মিনা হেসে বললো, কিরে তুই এত ভয় পাস কেন আমরা আছি না তাও এত ভয় পাচ্ছিস।
রিমি: দেখ এরকম ফাজলামো করিস না তো আমার কিন্তু সত্যিই ভয় করছে।
জবা: আরে ভয়ের কিছু নেই চল তাড়াতাড়ি যাই।
হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেল সবাই রাজবাড়ীর ছাঁদে, মিনা সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখলো ঝোড়ো হাওয়ার কারণে ছাঁদের দরজায় আওয়াজ হচ্ছে। মিনা বললো দেখলি তো শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিলি ভয়ের কিছুই নেই।
সবাই আবার নিচে নেমে আসলো।
নিচে আসতেই হলঘরের দরজায় আবার টোকার আওয়াজ শুনা গেলো। এবার রিমি বললো, দাঁড়া এইবার ভূত হোক আর যা কিছুই হোক আমি কাউকে ভয় পাবো না, এই বলে এক লাঠি হাতে নিলো। জবা বললো দাঁড়া আমি গিয়ে দরজা খুলছি।
জবা দরজা খুলতেই রিমি জবার পিছন থেকে গিয়ে দরজার বাইরে থাকা এক লোকের মাথায় মারলো বারি।
বারির আঘাতে সাথে সাথে লোকটি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেল।
সবাই দৌড়ে এলো, আরে আরে একি করলি এতো জোরে কেউ বারি দেয়।
সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখলো,লোকটি আর কেউ না রিমির বাবাই ছিল।
সন্ধ্যা নেমে আসায় তাদের বাড়ি না ফেরারা কারণে নিতে এসেছিলো। আর রিমি না দেখেই লাঠির বারি মারলো।
এবার রিমির ভয় তো আরো বেড়ে গেল, বাড়ি গেলে না যানি আজ কি খবর করবে।
তারপর সবাই বাড়ি ফিরে গেলো,পরদিন মিনার ছাঁদের উপর সবাই জড়ো হয়ে কালকের কথা নিয়ে হাসাহাসি করতে লাগলো। জবা জিগ্যেস করলো- কিরে রিমি তর বাবা ঠিক আছে তো এখন,তোকে মারে নি তো?
রিমি: ও কথা আর জিগ্যেস করিস না না যেনে অনেক বড় অপরাধ করে ফেলেছিলাম। ঘাট হয়েছে আমার, বেশি সাহস দেখাতে গিয়েছিলাম।
রিমির কথা শুনে তো সবাই আরো হাসতে লাগলো।
মিনা: তুই পারিসও বটে!
"এভাবেই তাদের বৃষ্টির দিনের সেই পিকনিক স্মৃতি হয়ে থেকে গেলো, আর মাঝেমধ্যে সেইদিনের কথা ভেবে সবাই হাসাহাসি করে।