রাকিমোঃ নাহিদ হোসাইন আমি ও আমার দুজন বন্ধু বাড়া বাসাতে যে থাকি, পাশের বাসার সামনে দোকান বিক্রি করে চা রাকি, শোনরে সকালে শোনো মন দিয়া একটা গল্প হায়, দুখিনী মায়ের কষ্টের কথা একেলা বলা যে দায়, অঙ্গে তাহার কালো বোরকা যে স্যান্ডেল পরা পায়, হাত-পা দেখিয়া চিল-শকুনেরা ছিড়ে ছিড়ে তাকে খায়। নাই তার বাড়ি নাই তার জমি আছে যে একটা ঘর, মাটির ঘরেতে শশুর যে থাকে, তাইতো ঘরটি পর, স্বামীর বড় অসুখ হয়েছে তবু মনে কত আশ, সে যে দোকানের এক কোণে করে পরিবার নিয়ে বাস, দিন যায় হায় রাত যায় হায় যায়রে বারোটা মাস, তাইতো হয়েছে অভাগীনি মাতা কষ্টের কিনা দাস। গাছ থেকে হায় ঝইড়া পরিলে বেল ও বরই পাতা, সন্তানেরা যে পিতা হার হবে একেলা কাঁদেগো মাতা, রুগ্ন স্বামী সাইফুল মিয়া বসিয়া বানায়া পান, পরিবার তাঁর বাচাতেই হবে যায় যাক রাকি মান, যমদূত যদি ঘরে আসে মোর নিতে স্বামীর জান, স্বামীর কথা ভাবিয়া তাহার কাঁদে অন্তত প্রাণ। এখন কথা যে বলিতে বলিতে অশ্রু ফেরানো দায়,স্বামী তাহার হঠাৎ লুটিয়ে পরে যে মাটিতে হায়, ধরাধরি করে হাসপাতালেতে মানুষেরা নিয়ে যায়,হাত জোর করে দোয়া করে রাকি জগন্নাথের পায়,ফিরিয়ে দাউগো জগদীশ্বর তাকে যাঁর আমি বিবি,তিনি যে আমার দুঃখ সুখের বাঁচিয়া থাকার রবি।এখন কথা যে বলিতে বলিতে অশ্রু ফেরানো দায়,স্বামী তাহার হঠাৎ লুটিয়ে পরে যে মাটিতে হায়, ধরাধরি করে হাসপাতালেতে মানুষেরা নিয়ে যায়, হাত জোর করে দোয়া করে রাকি জগন্নাথের পায়, ফিরিয়ে দাউগো জগদীশ্বর তাকে যাঁর আমি বিবি, তিনি যে আমার দুঃখ সুখের বাঁচিয়া থাকার রবি। ডাক্তার বাবু নাড়ি টিপিয়া যে নিরব স্বরে কয়, জীবনাবসান ঘটেছে তাঁহার বলিতে আমার হয়, শুনিয়া যে রাকি হারায় ঙ্গান, পানি ডেলে করে হুঁশ, জ্বলা আগুনে ছিটাইয়া দিল বিধি একমুঠো তুষ, সন্তানদের ঝাপটে ধরিয়া দুখীনি মাতা যে কাঁদে, তোদের পিতা যে চলিয়া গিয়াছে দূর আকাশের চাঁদে। কবিঃ-মোঃ নাহিদ হোসাইন ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | |
7
View