
পথের ডাক, ভ্রমণের মায়া
পথের ধুলো উড়ে গেলে যেন গল্পগুলো ভেসে আসে,
পুরনো পাঠকের মতো মন খুলে পড়ে যাই জীবনের পাশে।
নতুন শহর, নতুন মানুষ, কত অজানা হাসির রঙ,
ভ্রমণ মানে শুধু চলা নয়—মনের দিগন্তে ফোটে বসন্তের ঢঙ।
সকালের নরম আলো গা ছুঁয়ে বলল—“চলো বেরিয়ে পড়ি,”
হাওয়ার ছোঁয়ায় জেগে উঠল মন, দূর–আকাশে স্বপ্ন ধরতে ধরি।
গ্রাম পেরিয়ে নদীর ধারে, কাশবনের ফুসফুসে নরম সুর,
যেন মনে মনে কে লিখে যায় এক টুকরো কবিতার কোরাস–বহুর।
পাহাড়ের মাথায় দাঁড়িয়ে দেখি পৃথিবীটা কত শান্ত,
মেঘেরা যেন বন্ধুর মতো কাঁধে হাত রেখে বলে—“ভয় নেই, আমি আছি, অন্তরান্ত।”
জঙ্গলের পথে পাতাদের ফিসফিস, জানি না কী গল্প বলে,
হয়তো তারা জানে অনেকদিনের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির দোলে।
শহরের ব্যস্ততা ফেলে যখন অচেনা গলিতে ঢুকি,
দেখি মানুষের হাসি কত সহজ, কত আন্তরিক, কত গভীর সুখী।
সামান্য এক কাপ চা, আর অচেনা কারো চারটি কথা—
কখন যে বন্ধুত্ব হয়ে যায়, বুঝতেই পারি না ব্যস্ততা–ব্যথা।
রাতের শেষে আকাশ ভরে তারারা জ্বালে আলো,
মনে হয় আমি যেন এই পৃথিবীরই এক যাত্রী—বাতাসে ভাসা পালো।
একেকটা যাত্রা শেষ হলে বুঝি—আমরা আরও অভিজ্ঞ, আরও পরিণত,
ভ্রমণ আমাদের শেখায়—জীবনটা আসলে যাত্রার মতোই অমৃত।
চলো তাই, পথগুলোকে বন্ধু করি, আকাশকে রাখি সাথী,
হৃদয়ের কোণে জমে থাকা স্বপ্নগুলোকে করি অবশেষে মুক্তি–পাথী।
যত হাঁটি, তত পাই—নিজেকেই নতুনভাবে, বারেবার,
ভ্রমণ মানেই শুধু দূরত্ব নয়—এটা আমাদের হৃদয়েরই এক অপার সঞ্চার।
এসো, চল— পথই হোক আজ আনন্দের সবচেয়ে মধুর গল্প,
যাত্রার শেষে জমে উঠুক হৃদয়ের গভীর, উজ্জ্বল এক রঙিন দলপ।