Posts

গল্প

দাদা-দাদি এবং নানা-নানির সাথে সম্পর্ক

December 14, 2025

Md. Anwar kadir

8
View

শহিদকে তার ছাত্রী অনুরোধ করলো যেন আজকে একটু কম পড়ায়। আজকে গ্রাম থেকে তার ভাইয়া আসবে। শহিদ জানে, ছাত্রীর কোন বড় ভাই নেই। তাই জিজ্ঞেস করলো। 
ছাত্রী জানালো সে তার দাদা এবং নানাকে ভাইয়া বলে ডাকে। দাদী এবং নানীকে আপা ডাকে। আজকে তার দাদাভাই আসবে।
শহিদ হাসলো এবং বললো এটা সে একদম সমর্থন করেনা। এটা ঠিক নয়।
ছাত্রী তার কারণ জানতে চাইলে। কারণ, সে যাদের জানে তাদের সবাই এমনটাই ডাকে।
শহিদ বললো,"হ্যা। অনেকেই এমন ডাকে। কিন্তু এটা ঠিক নয়।"
ছাত্রী বললো,"কারণ কি স্যার? দাদা-নানা কি ভাইয়ের মতো নয়?"
শহিদ বললো,"ইসলামে মা এবং তার উপরে যত নারী আছে তাদের সবাইকে মা হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। আবার বাবা এবং বাবার উপরে যত পুরুষ আছে তাদেরকেও বাবা'র উপর বাবা বলতে পারো। যেমন, আদম আ: সকলের বাবা।"
ছাত্রী বললো,"কি বলেন স্যার? এটা তো প্রথম শুনলাম।"
শহিদ বললো,"সকল আলেম এই বিষয়ে একমত। এমনকি নবীজি সা: হযরত হাসান এবং হোসেন রা: কে সন্তান বলে পরিচয় করিয়েছেন। এই সন্তান মানে হলো তারা নবীজি সা: এর পরবর্তী জেনারেশন।"
ছাত্রী অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো,"বলেন কি স্যার?"
শহিদ বললো,"তুমি খেয়াল করলে দেখতে পাবে। নাতি-নাতনীদের সাথে দাদা-দিদি এবং নানা-নানির ঠাট্টার সম্পর্ক থাকে। সেখানে অনেক অশ্লীল কথাবার্তাও হয়। এটা ঠিক নয়। এই জন্যই বললাম যে, ভাই-বোন এর মতো আচরণ করলে একটা বিভ্রান্তির এবং ফিতনার সুযোগ থাকে।"
ছাত্রী বললো,"হ্যা। আমিও দেখেছি। অনেক সময় দাদা-নানা আমাকে মজা করে দ্বিতীয় বউ হিসেবে পরিচয় দেয়। আমিও এতদিন মজা পেয়েছি এটা নিয়ে।"
শহীদ বললো,"তাহলে বুঝতে পারছো সমস্যাটা কোথায়?"
ছাত্রী বললো,"কিন্তু এটা তো মনে হয় শতকরা নব্বই শতাংশ মানুষই জানেনা।"
শহিদ বললো,"সবাইকে জানাতে হবে। যারা ভুলের মধ্যে আছে তাদের ভুল ভাঙ্গতে হবে। আমাদের সবার নিজের অবস্থান থেকে কাজ করা উচিত।"

Comments

    Please login to post comment. Login