দহনযুগ
……..
তোমার চোখের তাপে—
অন্ধকারও গলে ঝরে।
ছায়ার চামড়া ছিঁড়ে—
বেরিয়ে আসে আগুন।
বাঁকা চাহনির আঘাতে—
আমি নিজেকে হারাই।
প্রতিটি শিরায় শিরায়
দহন দাউদাউ করে।
হৃদয় আর নিরীহ নয়!
ক্ষুধার্ত চুল্লি উন্মত্ত।
রক্ত গলে লোহার মতো—
শ্বাসে জমে লবণের স্বাদ,
আর কামনার ঘ্রাণ।
ভাষা হারিয়ে যায়—
ঠোঁট থেকে ছাই ঝরে।
ছন্দ আর শান্তি নেই।
প্রতিটি পঙ্ক্তি দাঁত বের করে,
সংযমকে ছিঁড়ে ফেলে।
দহন দাঁড়িয়ে—নগ্ন, লজ্জাহীন।
শব্দেরা কেঁপে ওঠে—
তুমি এক বর্বর আগুনের যুগ!
কবিতা লেখা হয় না—
কবিতা জ্বলে!প্রতিটি শিরা,
প্রতিটি স্পর্শে—দেহ গলে পড়ে,
আগুনে বিলীন