প্রকৃত শিক্ষা হলো সেই আলো যা সব অন্ধকার দূর করে দেয়। স্নাতক ডিগ্রিধারী হওয়ার মানে জ্ঞানের সাগরে স্নান করে আসা। স্নাতক কথাটার মানেই হচ্ছে যে জ্ঞানের জল দিয়ে স্নান করে সাধু হয়ে এসেছে।
মনের মধ্যে অহংকার থাকবেনা। এক কথায় ষড়রিপু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়াশোনার সময়েও আমার অহংকার ছিলো ভয়ংকর।
এটা শুধু আমার একার নয়। কারো কারো জন্য এটা এতটাই ভয়ংকর যে তাদের জন্য অন্যদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায়। এমন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কি তা আজও আমার মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে।
একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো। একদিন হলের ক্যানটিনে বসে খাচ্ছিলাম। আমার একটু দূরে বসে একজন ছাত্রনেতা কাচ্ছিলো। সে অবশ্য আমারও জুনিয়র।
ক্যানটিন বয়কে কিছু একটা আনতে বলেছিলো। সে হয়ত ভুলে গেছে। অথবা হতে পারে ক্যানটিন ম্যানেজার তা দেয়নি। আসলে এসব পাতি নেতারা খেয়ে টাকা দেয়না। তাই এদেরকে খাবার না চেয়েও দিতে হয় ক্যানটিন ম্যানেজারকে।
ছেলেটাকে সেই পাতি নেতা গায়ের সব শক্তি গলায় চড়িয়ে একটা ধমক দিলো। ছেলেটার হয়স ৮/১০বছর হতে পারে। ধমকের সাথে কেপে উঠলো। তবে কেদে ফেলেনি। ছেলেটার অবস্থা দেখে আমার মায়া হয়েছিলো। এই সোনার ছেলেরা নাকি মানুষের জন্য রাজনীতি করে থাকে।
সেই দৃশ্যটি আজও আমার চোখের সামনে ভেসে উঠে। বিশেষ করে ছেলেটির কেপে উঠার ক্ষণটি। পেটের তাড়নায় কাজের সন্ধানে এসেছে বেচারা। কিন্তু এমন একটা আচরণ ওর মনে ট্রমা আকারে জমা হয়ে থাকতে পারে। হতে পারে এই ঘটনা তাকে চিরকাল তাড়া করে বেড়াবে।
দেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে তাদের যদি এতটুকু ভালো মন্দ জ্ঞান না হয়, তবে সেই শিক্ষা ব্যর্থ। সেই শিক্ষা যে শিক্ষক প্রদান করেন তিনিও ব্যর্থ।
যে শিক্ষা মানুষকে অমানুষে রুপান্তর ঘটায় তার কোন প্রয়োজনীয়তা থাকার কথা নয়। এমন সন্তানের মা-বাবাও তাদের অবস্থান থেকে ব্যর্থ।
7
View