জাপানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে কথা বললে উনারা কোন হাসপাতালে সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দেন। তো ডাক্তার দেখিয়ে আবার মেডিকেল সেন্টারে এসে বিস্তারিত জানালাম।
সেখানে একজন মহিলা স্টাফ আছেন। উনি টুকটাক ইংরেজি পারেন, তাই উনি আমাদের সাথে কথা বলেন। এটা সবাই জানে যে জাপানিরা ভালো ইংরেজি পারেনা।
তো ভদ্রমহিলা আমার কি অসুখ করেছে এটা শুনে সরি বললেন। উনার চোখেমুখে মাতৃত্বসুলভ অভিব্যক্তি। এটা যে কারো মনকে প্রশান্তি এনে দিবে।
আমি জানতে চাইলাম, আরেকবার ডাক্তারের কাছে গেলে উনাদের জানাতে হবে কি-না।
উনার চোখেমুখে সেই উদ্ভেগ। উনি হেসে বললেন,"কিছুই করতে হবে না। শুধু ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি কি-না এটা নিশ্চিত করতে হবে।"
ঠিক যেন একজন মা তার সন্তানের সাথে উদ্ভেগ নিয়ে কথা বলছেন।
আমাদের একজন মহিলা প্রফেসর আছেন। উনি যখন ক্লাস নেন; উনার কথা বলা, অঙ্গভঙ্গি, মাথা নাড়ানো থেকে শুরু করে চোখের চাহনি দেখে মনে হয় একজন মা তার সন্তানদের সাথে গল্প করছেন।
এমন মায়াভরা আচরণ তো আমাদের মুসলমানদের হওয়া উচিৎ। আমাদের জন্যে তো উত্তম আখলাক ফরজ। উনারা মুসলিম না হয়েও মুসলমানদের আচরণ ধারণ করেন, অথচ আমরা তা করিনা৷ আমাদের দেশের সম্মানিত আলেমগণের অনেকের চোয়াল শক্ত। কথা বলেন শক্ত ভাষায়। তাদের কাছে যাওয়ার সাহস হয়না। নবীজি সা: কতই না উত্তম আদবের অধিকারী ছিলেন। তার কাছে ছেলে-বুড়ো সবার প্রবেশাধিকার ছিলো।
উনার আচরণে মুগ্ধ হয়ে কত মানুষ ইসলামে এসেছেন। অথচ আমরা অমুসলিমদের সাথে এবং নওমুসলিমদের সাথে অনেক সময় ভালো আচরণ করিনা।
অনেকে আবার কালো মানুষ, খাটো মানুষ ইত্যাদি রকমের মানুষ দেখলে নাক শিটকায়, যা ইসলামের শিক্ষা নয়।