নূর খেয়াল করলো তার ছোট ভাই সবার সাথে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলে। এটা তার বাবার বদ অভ্যাস। মুরুব্বি মানুষ, কেউ কিছু বলার সাহস পায়না। তার ছোট ভাইটাও ইদানিং এমন আচরণ রপ্ত করেছে। সে সবাইকে অপমান করে কথা বলে৷
গ্রামের সবাইকে সে ব্যঙ্গ করে আলাদা নাম দিয়েছে।
সবচেয়ে ভয়ের বিষয় সে সবার সাথে ঝামেলা পাকাচ্ছে। যার তার সাথে ঝগড়া করে বেড়াচ্ছে। একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা। এটা নিয়ে নূর একটু চিন্তিত। ছোট ভাইকে বুঝিয়েছেও আগে। কিন্তু কাজ হয়নি। এটাই তাকে ভাবাচ্ছে। নিজের চেয়ে দুর্বল কাউকে পেলেই মারধর করে। কিছু না পেলে কলাগাছকেই লাথি মারে।
তো গতকাল রাতে সে প্রচুর মার খেয়ে এসেছে। তাই প্রতিপক্ষকে মারার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নূর তাকে ডেকে সবকিছু জানলো।
তারপর বুঝালো যে, সে যদি আজকে ওদেরকে মারতে যায়, ওরা তো আর বসে থাকবেনা। ওরাও হয়ত লাঠিসোঁটা নিয়ে বসে আছে৷ তারপর বললো যেন সে কয়েকদিন অপেক্ষা করে, প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সুযোগ এমনিতেই আসবে।
দুই-তিন পর আবার ছোটভাইকে ডেকে বুঝালো, আজকে সে মারলে কাল ওরা মারবে। এভাবে চলেতেই থাকবে। তারপর এসবে কেউ মারা গেলে তার গলাতেও ফাসির দড়ি পড়বে। কিন্তু ছোট ভাই মার খেয়েছে। তাই তার রাগ কমছেনা।
নূর বুঝালো যেন সে তাদের কথা একবার ভাবে যাদের উপর বিভিন্ন সময় সে হাত তুলেছে, যাদেরকে সে অপমান করেছে। সে মানুষকে ব্যঙ্গ করে নাম ডাকে যা কবিরা গুনাহ।
আজকে আল্লাহ হয়ত তাকে তার কৃতকর্মের ফল দিয়েছেন। তাই আর বাড়াবাড়ি করতে মানা করে দিলো। আর তাকে তাবলীগে পাঠিয়ে দিলো অনেকটা জোর করেই।
যাওয়ার সময় নূর তাকে বলে দিলো মানুষের সাথে তেমন আচরণ করতে যেমনটা সে মানুষের কাছ থেকে আশা করে। এরপর সহিহ মুসলিম এর ১৮৪৪ নম্বর হাদিসটি শুনিয়ে দিলো।
তা হলো, রাসুল (সা.) বলেছেন, "যে পছন্দ করে তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হোক এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হোক, তার মৃত্যু যেন এমন অবস্থায় হয় যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান রাখে এবং অন্যের সাথে এমন ব্যবহার করে, যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে।"
19
View