অভি বললো,"দোস্ত। তোরা তো মরলেই জান্নাতে যাবি আর ৭২জন নারী পেয়ে যাবি?"
এমন একটা ইস্যু নিয়ে খোচা দেয়াতে মনে মনে বিরক্ত হলেও হেসে বললাম,"তোর কি হিংসে হয়? তুই তো আর এটাকে সত্য মনে করিসনা।"
সে বললো,"তাহলে তোদের স্ত্রীরা কি পাবে? তোরা তো যা চাস তাই পাবি?"
বললাম,"এগুলো নিয়ে আমরা তেমন মাথা ঘামাইনা। এসব নিয়ে তোদেরই যত মাথাব্যথা। আমাদের কাছে টার্গেট আল্লাহকে খুশি করা আর জান্নাতে যাওয়া। সেখানে আল্লাহ এমন ব্যবস্থা রেখেছেন যে কারো মনে কোন অসন্তুষ্টি থাকবেনা।"
অভি একটু ব্যঙ্গাত্মক হেসে আবার বললো,"পৃথিবীতে কোন মেয়ে একজন সতীন নিতে পারেনা। এটা কি করে মানবে যে ৭২জন সতীন?"
বললাম,"ওখানে কারো মনে হিংসা থাকবেনা। সবার মন পবিত্র থাকবে।"
থেমে আবার বললাম,"দোস্ত। আল্লাহ যার উপর খুশি থাকেন তাকে যা ইচ্ছা উপহার দিবেন। এটা নিয়ে আমাদের কিছুই আসে যায়না। পৃথিবীতে কেউ পরিশ্রম করে বাড়ি-গাড়ির মালিক হয়। আবার কেউ পরিশ্রম না করে রাস্তার পাশে বসে বসে ভিক্ষা করে। যার যেমন যোগ্যতা।"
সে আবার জিজ্ঞেস করলো,"কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো ৭২ সংখ্যাটা নিয়ে। কম-বেশি নয় কেন?"
উত্তরে বললাম,"আমার জানামতে, কোরান বা হাদিসে হুরের কথা বলা হলেও, কোথাও ৭২ জন হুর এর কথা নেই। এটা হয়ত ব্যাখ্যাকারগণ বলেছেন। আসলে এটা কেউ জানার কথা না। তবে যে ভালো কাজ করবে সেই অনুযায়ী সে তার ফল পাবে। আমি যতটুকু জানি, যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন বাজি রাখে তারাই আল্লাহর কাছ থেকে কিছু বেশি পাবে।"
একটু থেমে আবার বললাম,"যারা আল্লাহর রাস্তায় জীবন রাখে তারা এসব পাওয়ার আশায় করে কী-না জানা নেই। আমি যতটুকু বুঝি, তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই সবকিছু করে থাকেন।"
সে হয়ত বুঝতে পেরেছে, জানিনা। সবশেষে জিজ্ঞেস করলো,"তুই মরে গেলে আল্লাহর কাছে কি চাইবি?"
আমি উত্তরে বললাম,"যারা আল্লাহকে চিনতে পেরেছে, তারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। তিনি খুশি হয়ে বান্দাকে যা দিবেন তাই তারা খুশি মনে গ্রহণ করবেন। আমিও এমনটাই চাই। একজন মুসলমানের প্রতিটি কাজই আল্লাহর জন্য হয়ে থাকে।"
19
View