আইরিন নিয়াজী মান্না। ৩১ আগস্ট, ঢাকায় তাঁর জন্ম। তিনি একজন ছড়াকার। তিনি একজন কবি। তিনি গল্পকার। তিনি সাংবাদিক।
আইরিন নিয়াজী মান্না তখন ছোট্ট, হাসেন, ঘুরেন, খেলেন আর মুখে মুখে ছড়া কাটেন। আর কাটবেন না কেন, তাঁর বোন যে ছড়া লিখতেন। তিনি ভাবলেন, বোন যখন পারেন, তো আমিও পারব। শুরু হলো তাঁর লেখালেখি।
ছোট্ট আইরিন যখন ক্লাস ফোরে, তখন ছোট্ট আইরিনের ছোট্ট ছড়া ছাপা হয়ে গেল বড় পত্রিকায়। ইত্তেফাকে।
বোনের লেখালেখি আর মায়ের লেখালেখির প্রতি উৎসাহের জন্যেই হয়তো আইরিন নিয়াজী মান্না আসতে পেরেছেন আজ এখানে। তাই তো তাঁর সাহসী মা-কে তিনি স্মরণ করছেন ছড়ায় ছড়ায়। বলছেন-
পুঁইয়ের ডাটা পানের বাটা
মায়ের মুখোচ্ছবি
দূরের দেশে একলা বসে
ভাবছে সে-কোন কবি!
চোখের জলে কথা বলে
মনের পটে স্মৃতি
মা যে একা, হয় না দেখা
এটাই বুঝি রীতি!
আইরীন নিয়াজী মান্না লেখালেখির জন্যে নিবেদিতপ্রাণ। ছোট্ট একটা ঘটনায় মেলে তার বড় প্রমাণ। করোনার ঘরবন্দী সময় তিনি কাটিয়েছেন নিজের ছোট্ট ভাগ্নি সারার সাথে। গল্প লিখেছেন, লিখেছেন ছড়া। পাঠ করে শুনিয়েছেন সারাকে। এভাবেই কাটিয়ে দিয়েছেন ছ’মাস।
আইরীন নিয়াজী মান্না লেখালিখির পাশাপাশি করেন সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতা করার ইচ্ছে ছিল তাঁর ছোটবেলা থেকে। স্বপ্ন করেছেন বাস্তব। সফল সাংবাদিক হিসেবে ঝুলিতে পুরেছেন অনেক পুরস্কার। বিদেশেও কাজ করেছেন দীর্ঘসময়।
বর্তমানে তিনি সম্পাদনা করছেন দেশের প্রথম নারীবিষয়ক অনলাইন পত্রিকা উইমেননিউজ২৪ডটকম। সম্পাদনা করছেন দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা কিশোর লেখা। কিশোর লেখা প্রকাশন নামে একটা প্রতিষ্ঠানও চালাচ্ছেন তিনি।
আইরীন নিয়াজী মান্না একজন ভালো লেখিকা। একজন সফল লেখিকা। তাঁর প্রমাণ হিসেবে দেখানো যায় তাঁর ক’টি বই-
ঘাসফুল (ছড়াগ্রন্থ)
সুখের নূপুর (ছড়াগ্রন্থ)
এক যে ছিল দস্যি মেয়ে (কিশোর কবিতা)
অন্ধকার দৈত্য (রূপকথা)
বর্তমানে তিনি দেশের মাটিতে আছেন। ঢাকায়। আমরা তাঁর সুন্দরজীবন কামনা করি।
আইরীন নিয়াজী মান্না- কে নিবেদিত ছড়া লিখে শেষ করছি-
শিশুদের চান তিনি হাসিখুশি দেখতে
শিশুদের নিয়ে চান ছড়াটড়া লেখতে।
তাঁর কানে পৌঁছায় পাখিদের কান্না
নাম তাঁর আইরিন নিয়াজী মান্না।
তথ্যচিত্র
জহুর মুনিম
যুগ্ম সম্পাদক, শিশুটামি