সুমন আর তার ছোট ভাই রুমন একসাথে খাবার খাচ্ছিলো। খাবার খেতে বসেই ওরা গল্প করে সাধারণত।
রুমন জিজিয়া কর সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলো। সে তার বন্ধুদের কাছে এটা সম্পর্কে কিছু শুনেছে। জিজিয়া করের নামে মুসলিম শাসকগণ অমুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দিতো বড় অংকের করের বোঝা।
এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক ছিলো।
যারা জিজিয়া কর দিতে পারতো না, তাদের মেয়েদেরকে দিতে হতো মুসলিম যোদ্ধাদের মনোরঞ্জন করার জন্য। এই কথাগুলো সে একটা ইউটিউব চ্যানেলে দেখেছে। এসব দেখে তার ইসলামের উপর কেমন যেন বিতৃষ্ণা চলে এসেছে। ইসলাম কি সত্যিই এসব শিক্ষা দেয়?
সুমন উত্তর দিলো,"এসব ইউটিউব চ্যানেলের উপর ভরসা না করে তুমি পড়াশোনা করো। তাহলেই বুঝতে পারবে।"
রুমন বললো,"তুমি একটু প্রাথমিক ধারণা দাও। আমি বিস্তারিত পড়াশোনা করবো।"
সুমন বললো,"ইসলামি শাসন ব্যবস্থায় মুসলিম জনগণ ভূমিকর এবং ফসলের জন্য ওশর নামক কর দিতেন। এর বাইরে তারা যাকাত প্রদান করতেন। যারা অমুসলিম তাদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য জিজিয়া নামক কর দিতে হতো। এটা ক্ষেত্র বিশেষে মুসলিমদের করের চেয়েও তুলনামূলকভাবে কম ছিলো। আর এখানে অসম্মানের কিছুই ছিলোনা। যদি কেউ মুসলিম সৈনিকদের সাথে যুদ্ধে বা নিরাপত্তার কাজে অংশ নিতো তাকে এটা পরিশোধ করতে হতোনা।"
রুমন প্রশ্ন করলো,"তাহলে যে অনেকে বলে থাকে কেউ জিজিয়া কর না দিতে পারলে তাদের মেয়েদেরকে দিয়ে মুসলিম সৈনিকদের মনোরঞ্জন করতে হতো।"
সুমন জবাবে বললো,"এটা সত্য না। উলটো কারো আর্থিক সক্ষমতা না থাকলে তার কর মওকুফ করা হতো।"
রুমন জিজ্ঞেস করলো,"যদি জিজিয়া কর এতই ভালো, তাহলে এটা নিয়ে এত নেগেটিভ কথাবার্তা কেন?"
সুমন উত্তরে বললো,"আমি জানিনা। হতে পারে মুসলিম শাসকদের মাঝে কেউ কেউ খারাপ ছিলেন; সেটা তো ইসলামের দোষ না। আবার হয়তো ইসলামকে ঘৃণা করে বলেই অনেকে এসব মিথ্যা কথাবার্তা ছড়িয়ে থাকে।"
26
View