রুমন জিজ্ঞেস করলো,"আচ্ছা ভাইয়া। মেয়েদের কি আদৌ পড়াশোনা করার প্রয়োজন আছে?"
সুমন উত্তর না দিয়ে উল্টো জিজ্ঞেস করলো,"কোন মেয়ে ডাক্তার না হলে কি আমাদের মেয়েদের কি পুরুষ ডাক্তারের কাছে যেতে হবেনা?"
রুমন মাথা চুলকে বললো,"হ্যা। কথাটা ঠিক। মেয়ে শিক্ষক থাকলে নিজের মেয়েকে নিশ্চিন্তে পড়ানোও যাবে। সরি। আমি ভুলে গিয়েছিলাম, ইসলামে প্রত্যেক নর-নারীর জন্যেই জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।"
সুমন বললো,"মেয়েরা যদি মেয়েদের জামা-কাপড় বানায় তবে তাদের পুরুষ দর্জির কাছেও যেতে হবেনা। মেয়েদের কসমেটিকস এবং অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে মেয়েরা ব্যবসায় করতে পারে৷ তাছাড়া, যে পরিবারে সক্ষম পুরুষ নেই, সেই পরিবারের কি হবে?"
রুমন যোগ করলো,"মেয়ে পুলিশ না থাকলে কোন নারী অপরাধীকে পুরুষ পুলিশ ধরতে গিয়ে নির্যাতন করতেও পারে। কিন্তু সব মেয়েরা বাইরে কাজ করলে কি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবেনা?"
সুমন জবাবে বললো,"দেখো। সব মেয়ে তো আর কাজ করবেনা। কারণ প্রাকৃতিকভাবেই অনেক নারী ঘরে থেকে সংসার সামলাতে পছন্দ করে। যারা কাজ করতে চায়, তাদের জন্য সম্মানজনক কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।"
রুমন জিজ্ঞেস করলো,"তাহলে আমাদের দেশে নারী শিক্ষা নিয়ে এত কথা হয় কেন?"
সুমন বললো,"একদিকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার গুণমান ভালো না। আর শিক্ষার নামে এখানে অশিক্ষা ছড়িয়ে পড়েছে। বুদ্ধিজীবীরাও এখানে পশ্চিমা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। ছেলে-মেয়ে পড়াশোনার নামে প্রেম করে বেড়ায়। এজন্যই এদেশে নারী শিক্ষা নিয়ে এত কথা।"
রুমন বললো,"ছেলে-মেয়ে আলাদা শিক্ষার ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?"
সুমন বললো,"এটা তো ভালোই। তবে শিক্ষার গুণমান যদি উন্নত না হয়, তবে এসব করেও লাভ নাই। বর্তমান পরিবর্তিত আধুনিক বিশ্বে নারী শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি এগিয়ে যেতে পারেনা।"
সবশেষে রুমন বললো,"ঠিক বলেছো। প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মা জাতিকে শিক্ষিত করতে পারেন।"
17
View