পোস্টস

পোস্ট

কসমেয়ার – সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

১০ জুন ২০২৪

অয়ন ইসলাম

এই ইতিহাস এক জায়গায় করার কৃতিত্ব আমার নয়। স্যান্ডার্সনের মহা ভক্তরা বিভিন্ন বইয়ে ব্যবহার করা গান, প্রতিটা চ্যাপ্টারের শুরুতে যে রেফারেন্স টেক্সট থেকে সেগুলো, এপিলোগ, স্যান্ডার্সনের সাক্ষাৎকারে বলা কথা, আর সর্বোপরি আরকানাম আনবাউন্ডেড বইটা ও স্যান্ডার্সনের নিজের ওয়েব সাইট ইত্যাদি উৎস থেকে বিভিন্ন টুকরো নিয়ে পাজল মিলানোর মতো করে একটু একটু করে এক সাথে করে এই জিনিসটা দাঁড় করিয়েছেন। নেটের বিভিন্ন জায়গা ঘেঁটে পাওয়া ইতিহাসগুলো এক জায়গায় করে আমি নিজের মত করে সাজিয়ে, একটু কাটছাঁট করে উপস্থাপন করলাম। স্যান্ডার্সনের ভক্তকুলের কেমন লাগলো জানালে খুব খুশী হবো।

 

 শুরুর কথা   

মিস্টবর্ণঃ সিক্রেট হিস্ট্রিতে খ্রীসের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি অ্যাডনালজিয়ামের কথা। খ্রীসের ভাষ্যমতে “একজন ঈশ্বর ছিলেন। অ্যডোনালজিয়াম। অ্যাডোনালজিয়াম একটি প্রাকৃতিক শক্তি, নাকি কোন সত্ত্বা, তা আমি জানি না। যদিও আমার মনে হয় তিনি আসলে দ্বিতীয়টাই।” 

কসমেয়ারের শুরুতে ছিলেন অ্যাডোনালজিয়াম। বহুল প্রচলিত বিশ্বাস যে তিনিই কসমেয়ার সৃষ্টি করেছিলেন। তবে মনুষ্যপ্রজাতির প্রথম বাসস্থান ছিল ইয়োলেন। ওঅরব্রেকারে শ্যাটারিং এর আগের ইয়োলেন সম্পর্কে হয়েড বলে “অনেক দূরের একটা জায়গা, যেখানে দুইটা স্থলভাগ একসাথে মিশেছিল আর যেখানে দেবতাদের মৃত্যু হয়েছিল।”  ইয়োলেনে মানুষরা ছাড়াও ড্রাগনরা আর শো ডেল প্রজাতি বাস করত। পরবর্তীতে একসময় ইয়োলেনের মূল ইকোসিস্টেমের বাইরে মানুষ বিদ্বেষী আরেকটা ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠে। এটার নাম ফেইনলাইফ। ইয়োলেনের স্থলভাগের একটা বিস্তৃত অংশ ফেইনলাইফ দখল করে নেয়। শ্যাটারিঙের আগে ইয়োলেনের প্রাযুক্তিক অগ্রসরতাকে প্রাক-ইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগের সাথে তুলনা করা যায়। 

বর্তমান কসমেয়ারের বেশিরভাগ গ্রহ-নক্ষত্র তখনও ছিল। এসময় অ্যাডোনালজয়াম পুরো রোশারিয়ান নক্ষত্রপুঞ্জ সৃষ্টি করেন। রোশার গ্রহের অতিমহাদেশও (সুপার কন্টিনেন্ট) তিনি তৈরি করেন।

 

শ্যাটারিং

মিস্টবর্ণঃ সিক্রেট হিস্ট্রিতেই খ্রীস আরো জানায় যে ষোলজন অ্যাডোনালজিয়ামবিদ্বেষী  একসাথে মিলে তাঁকে হত্যা করে। এই দলে মানুষ যেমন ছিল, ড্রাগন আর শো ডেলরাও ছিল। অ্যাডোনালজিয়ামকে টুকরো টুকরো করে এরা নিজেরা এক একটা অমিত ক্ষমতাধর টুকরো দখল করে। খ্রীসের ভাষায় “Sixteen people, together, killed Adonalsium, ripping it apart and dividing its essence between them, becoming the first who Ascended. [They were] a diverse group, with equally diverse motives. Some wished for the power; others saw killing Adonalsium as the only good option left to them. Together they murdered a deity, and became divine themselves.” 

এই ঘটনা কসমেয়ারের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটা শ্যাটারিং অব অ্যাডোনালজিয়াম বা সংক্ষেপে শুধু শ্যাটারিং নামে পরিচিত। এই ষোলজন একটা অস্ত্র তৈরি করেছিল। অস্ত্রটা প্রয়োগ করার ফলে অ্যাডোনালজিয়াম ষোলটা টুকরায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রতিটি টুকরো শার্ড নামে পরিচিত। ষোলটা শার্ড ষোলজনের মাঝে বিস্তৃত হয়ে যায়। তারা শার্ডের প্রথম ধারক (ভেসেল) হয়ে ওঠে। 

শ্যাটারিঙের সময়ে সেখানে হয়েড আর ফ্রস্টও (একজন ড্রাগন) উপস্থিত ছিল। সাথের ছবিটা হয়েড আর ফ্রস্টের একসাথে। যদিও তারা শ্যাটারিঙের সাথে জড়িত ছিল না, কিন্তু তারা ষোলজনকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনত। অ্যাডোনালজিয়ামকে হত্যা করার জন্য তৈরি অস্ত্রটা শ্যাটারিঙের সময় নিঃশেষ হয়ে গেলেও এর অবশিষ্টাংশের কারণে হয়েড অমরত্ব লাভ করে। 

শ্যাটারিং ঘটেছিল ইয়োলেনে। শ্যাটারিঙের পরে কজম্যেয়ারের সকল ইনভেস্টিচার কোন না কোন শার্ডের সাথে একাত্ম হয়ে পড়ে। ইনভেস্টিচার হচ্ছে কসমেয়ারের স্পেশাল এনার্জি, সকল জাদুশক্তির উৎস। এর উপরেই কসমেয়ারের সব ম্যাজিকসিস্টেম নির্ভর করে। ফেরাকেমিস্টদের “ফিলিং” বা উইন্ডরানারদের ল্যাশিঙের জন্য করা “ইনফিউজিং” আসলে ইনভেস্টিচারের স্থানীয় নাম। 

যাই হোক, আগের কথায় ফিরে আসি। শ্যাটারিঙের ফলে অ্যাডোনালজিয়াম তো আর নেই, তার জায়গায় আছে ষোলজন শার্ডের ভেসেল। এদেরকেও শার্ড বলে ডাকা হয়। কারণ অনেকদিন ধরে শার্ডের ভেসেল থাকলে আস্তে আস্তে ভেসেলের মন-মানসিকতা পুরোপুরি শার্ডের বৈশিষ্ট্য দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে যায়। তো, এই ষোলজন শার্ড ভেসেল একটা ব্যপারে একমত হয় যে তারা একে অন্যের ব্যপারে নাক গলাবে না, প্রত্যেকে অন্যকে নিজের মত করে থাকতে দেবে। যদিও কোন চুক্তি বা অঙ্গীকারনামা বা এরকম কিছু ছিল না সেখানে। এরপর শার্ডরা নিজের নিজের পথে চলে যায়। কেউ কেউ (এক বা একাধিক শার্ড) কোন পছন্দসই গ্রহে গিয়ে থিতু হয়। রুইন আর প্রেজার্ভেশান মিলে স্ক্যাড্রিয়েল গ্রহটা তৈরি করে এসময়ে। তৈরি করার সময়ে তারা ইয়োলেনের ফেইনের অত্যাচারমুক্ত এলাকাকে নমুনা হিসেবে দেখে সেভাবে গ্রহটা তৈরি করে। তাই স্ক্যাড্রিয়েলের প্রকৃতি-পরিবেশের সাথে ইয়োলেনের এত মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

 

ওডিয়ামের চক্রান্ত

শ্যাটারিঙের পরে, কিংবা হয়তো আগে থেকেই, ওডিয়ামের ভেসেল রায়েজ কসমেয়ারের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সত্ত্বা হতে চায়। ওডিয়ামের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্বার্থপরতা, রায়েজের উদ্দেশ্যের সাথে এক্কেবারে মানানসই। এর পাশাপাশি রায়েজ বুঝতে পেরেছিল যে অন্য কোন শার্ড গ্রহন করলে সেই নতুন শার্ড তার মানসিকতাকে পরিবর্তিত করে দিতে পারে। তাই সে ওডিয়াম ছাড়া অন্য সব শার্ডকে ধংস করে দিতে বদ্ধ পরিকর হয়ে ওঠে। অন্য কোন শার্ড না থাকলে আর কেউ তার ক্ষমতার সাথে পাল্লা দিতে পারবে না। তাই সে অন্য শার্ড এবং তার ক্ষমতাকেকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলার পদ্ধতি বের করে। শার্ডের ক্ষমতা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে শার্ডের ধারকেরও মৃত্যু ঘটে। 

ওডিয়ামের প্রথম লক্ষ্য ছিল অ্যাম্বিশান। ওডিয়ামের ভয় ছিল দ্রুত অ্যাম্বিশানের ব্যবস্থা না করলে অ্যাম্বিশান ওর জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। কিন্তু অ্যাম্বিশানের খোঁজে বের হয়ে ওডিয়াম সেল গ্রহে দেখা পায় ডিভৌশান আর ডমিনিআনের। সে এদেরকে আক্রমন করে। তার উছিলা ছিল যে এরা একে অন্যের ব্যাপারে নাক না গলানোর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। লড়াই শেষে ওডিয়াম এদেরকে ধংস করতে সক্ষম হয়। আর কেউ যেন এই শার্ডের ভেসেল না হতে পারে, সে জন্য ওডিয়াম এদের বেশিরভাগ ইনভেস্টিচারকে স্পিরিচ্যুয়্যাল রিয়্যাল্ম থেকে কগনিটিভ রিয়্যাল্মে নিয়ে এসে আটকে রাখে। এই কারণেই কিন্তু সেল গ্রহের কগনিটিভ রিয়্যাল্ম খুব বিপদজনক জায়গা। আর যেহেতু কগনিটিভ রিয়্যাল্ম বস্তু জগতের সাথে ম্যাপ করা (কিন্তু উলটো – বস্তু জগতের জলভাগ ওখানে শক্ত ডাঙা, আর স্থলভাগ ওখানে তরল), তাই সেল সিস্টেমের ম্যাজিক ভীষণভাবে স্থান-নির্ভর। যেমন এলান্ট্রিসের ম্যাজিক ওদের এলাকার বাইরে গেলে কাজ করে না। 

ডিভৌশান আর ডমিনিআনের বিচূর্ণীকরণের পর ওডিয়াম থ্রেনোডাইট সিস্টেমে গিয়ে অ্যাম্বিশানকে খুঁজে পায়। ওডিয়াম এখানে অ্যাম্বিশানকে আক্রমন করলেও মারাত্মকভাবে আহত অ্যাম্বিশান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। যদিও শেষমেষ অ্যাম্বিশানও ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, কিন্তু সেটা ঘটে অন্য কোন জায়গায়। সম্ভবত অন্য কোন একটা কারনও ছিল অ্যাম্বিশানের বিচূর্ণীকরণের পেছনে। ওডিয়াম আর অ্যাম্বিশানের এই লড়াইয়ে অ্যাম্বিশানের ক্ষমতার একটা বড় অংশ ওর থেকে ছিঁড়ে বের হয়ে আসে। থ্রেনোডি গ্রহ আর এই গ্রহের মানুষদের উপ্রে এই ছেঁড়া অংশ একটা বিশাল প্রভাব ফেলে।   

এদিকে অনার আর কালটিভেশান রোশারে এসে উপস্থিত হয়। ওদের আসার কিছু পরে ওডিয়ামও আসে রোশারে। ঠিক রোশার গ্রহে না, তবে রোশারিয়ান সিস্টেমের ব্রেইজ গ্রহে, যেটা রোশার গ্রহের পাশেই। ওডিয়ামের কোন একটা গ্রহে থিতু হওয়ার বা নিজের ইনভেস্টিচার প্রয়োগ করার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু অনার আর কালটিভেশান তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ওডিয়ামকে ফাঁদে ফেলে, আর রোশারিয়ান সিস্টেমে ওডিয়ামকে “ইনভেস্ট” করতে বাধ্য করে। এর ফলে ওডিয়াম যদি রোশার সিস্টেম ত্যাগ করে, তবে তাকে নিজের ক্ষমতার একটা অংশ এই সিস্টেমে ছিঁড়ে রেখে যেতে হবে, না হলে সিস্টেমে “ইনভেস্ট” হওয়া অংশটাকে জোর করে উপড়ে নিয়ে যেতে হবে। 

সেই থেকে ওডিয়াম নিজেকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করে চলেছে। যে একটা কিছু তাকে এই সিস্টেমের সাথে বেঁধে রেখেছে, সেটা থেকে মুক্তি পাবার লড়াই। তাই সে নিজের ক্ষমতার একটু অংশ দিয়ে “ফিউজড”, “আন-মেড”, “ভয়েডস্প্রেন” ইত্যাদি তৈরি করেছে। 

ওডিয়াম প্রথম যখন ফিউজড তৈরি করে, তাদের দেখে অনার তখন হেরাল্ডদের সৃষ্টি করে। হেরাল্ডরা ফিউজডদেরকে ব্রেইজ গ্রহে আটকে রাখতে পারে। কিন্তু তা করলে ফিউজডরা হেরাল্ডদের উপরে চরম নিপীড়ন চালায়। এভাবে অত্যাচারিত হতে হতে যখন কোন একজন হেরাল্ড আর সহ্য করতে পারে না, ভেঙে পড়ে তখন ফিউজডরা রোশারে ফিরে আসে। ফিউজডরা রোশারে ফিরে এলে হেরাল্ড আর নাইট র‍্যাডিয়্যান্টরা একত্রে ফিউওজডদের মোকাবিলা করে এবং আবার তাদেরকে ব্রেইজে ফেরত পাঠায়। এভাবে মিলেনিয়ার পর মিলেনিয়া ধরে একই চক্র চলতে থাকে। আর এতে অংশ নেয়া শার্ডগুলো একটা চালমাত অবস্থায় আটকে আছে। 

 

 হারমোনির উত্থান 

স্ক্যাড্রিয়ান সিস্টেমে রুইন আর প্রেজার্ভেশান ইনভেস্ট করেছিল। সৌভাগ্যবশতঃ রুইন বেশিরভাগ সময় ধরে ওয়েল অব অ্যাসেনশানেই আটকে ছিল। ফলে সে গ্রহটার খুব বেশি ক্ষতি করতে পারে নি। কিন্তু লর্ড রুলারের মৃত্যুর পর রুইন দুর্দান্ত এক চাল চালে। ভিনকে দারুনভাবে ম্যানিপুলেট করে। ফলে ভিন কূয়ার ক্ষমতা গ্রহন করে ঠিকই, কিন্তু ক্ষমতাটা আবার ছেড়েও দেয়! তাতে করে রুইন এক্কেবারে মুক্ত হয়ে যায়। 

মার্শ ভিনের হেমালার্জিক স্পাইক খুলে ফেলায় ভিনকে প্রেজার্ভেশান নিজের ভেসেল হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। পরে রুইন মার্শকে দিয়ে এলেন্ড ভেঞ্চারকে হত্যা করায়। এতে করে ভিন নিজেকে উৎসর্গ করে রুইনের ভেসেল অ্যাটিকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। আর এই ঘটনার ফলে রুইন আর প্রেজার্ভেশান দুই শার্ডই ভেসেলবিহিন হয়ে পড়ে! এই অবস্থায় এগিয়ে আসে সাজেদ (আমি স্যাজড এর বদলে সাজেদ বলতেই পছন্দ করি! 😊 )। একসাথে এই দুই শার্ডকে সাজেদ একসাথে ধারণ করে। ফলে রুইন আর প্রেজার্ভেশানের ক্ষমতা মিলেমিশে এক হয়ে যায়, তৈরি করে সম্পূর্ণ নতুন একটা শার্ড – হারমোনি। 

ওডিয়াম হারমোনির কথা জানে। কিন্তু হারমোনির সামনা সামনি হতে ভয় পায়। হয়তো আড়ালে আড়ালে থেকে হারমোনির পতন ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা আঁটছে সে, কে বলতে পারে? 

 

অনারের বিচূর্ণীকরণ আর ট্রু ডেজোলেশান

ওদিকে রোশার সিস্টেমে রিক্রিয়্যান্সের কিছু পরে, ওডিয়াম শেষ পর্যন্ত অনারকে বিচূর্ণ করতে সক্ষম হয়। কালটিভেশান অনারকে কিছুটা সাহায্য করলেও শেষ রক্ষা করতে পারে না। কিন্তু ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেঙে যাবার আগে অনার এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিল। আরো অনেক কিছুর পাশাপাশি অনার স্টর্মফাদারকে নতুন অনারস্প্রেন তৈরি করার ক্ষমতা দিয়ে রেখেছিল। সেই সাথে অনেকগুলো স্বপ্নদৃশ্য তৈরি করে রেখেছিল। সম্ভাব্য বন্ডস্মিথদেরকে আচ্ছন্ন অবস্থায় স্টর্মফাদার এই স্বপ্নদৃশ্যগুলো দেখায়। 

প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের ধারাবাহিক উৎপীড়ন সহ্য করার পর হেরাল্ড ট্যালিনেল শেষ মেষ হার মানতে বাধ্য হয়। সে ভেঙ্গে পড়ায় ফিউজডরা আবারো রোশারে ফিরে আসতে পারে, আর ট্রু ডেজোলেশান শুরু হয়। ওডিয়ামের এই শেষ ডেজোলেশান রোশারের জনগনকে ধংস করার উদ্দেশ্যে। তার বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে ডালিনার খোলিন আর নাইট র‍্যাডিয়্যান্টদের নতুন প্রজন্ম। সন্দেহ নেই, এই যুদ্ধে জিতলে ওডিয়াম রোশারিয়ান সিস্টেম থেকে মুক্তি পাবে, আর কালটিভাশানকে টুকরো টুকরো করে ধংস করতে পারবে। 

 

ট্রেল এবং স্ক্যাড্রিয়্যাল

ক্যাটাসিন্ড্রের প্রায় তিনশো বছর পরের ঘটনা। হারমোনির কাছ থেকে লুকিয়ে থাকার জন্য ক্যান্ড্রা পাম অচেনা এক ধাতুর তৈরি হেমালার্জিক স্পাইক ব্যবহার করে। ব্লীডারের মৃত্যুর পর ম্যারাজি কমস এই ধাতুর সাথে ট্রেলের সম্পর্ক খুঁজে পায়। ওয়্যাক্সিলিয়াম ল্যাড্রিয়্যান মারা যাবার সময় হারমোনি তাকে একটা দৃশ্য দেখায়। সে দৃশ্যে স্ক্যাড্রিয়্যাল গ্রহকে ঘিরে “ধংস ও মৃত্যুর লাল ধোঁয়াশা” দেখা যায়। চিকন আলোর একটা রেখা সে ধোঁয়াশাকে স্ক্যাড্রিয়্যাল থেকে দূরে রেখেছে। হারমোনির কাছে এর পূর্ণ অর্থ পরিষ্কার নয়। এটা কি স্ক্যাড্রিয়েলের উপরে অন্য একটা শার্ডের প্রভাব বিস্তারের লক্ষণ? সময়ই বলে দেবে এর উত্তর।