বাংলাদেশে একজন তাহসান আছেন, যিনি সবসময় নেগেটিভিটি এড়িয়ে চলেন।
June 10, 2024
নাঈমা
তার যে কোন কনসার্টে শত শত তরুণীদের ভীড়, প্রিয় মানুষটিকে একটি বার ছুঁয়ে দেখার জন্য সেসকল তরুণীরা হাত বাড়িয়ে রাখে উদগ্রীব হয়ে।
বলছিলাম বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খানের কথা। যার গান কয়েক দশক ধরে সংগীত মহলে রাজত্ব করছে।
নব্বইয়ের দশকে জন্মানো একটা জেনারেশনের কৈশোরের উন্মাদনা তাহসান। তবে তাই বলে তার গানের চাহিদা নব্বইয়ের দশকেই মিইয়ে যায়নি। তার গান আজও একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে শোনেন শ্রোতারা।
এই তো গেলো শিল্পী তাহসানের কথা, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তাহসান কেমন?
বলতে গেলে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে যে কজন ক্লিন ইমেজের সেলিব্রেটি আছে তাদের মধ্যে তাহসান একজন।
মিডিয়ার সাথে জড়িত বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই সত্য কিংবা মিথ্যা নেগেটিভ কথা কখনো না কখনো ছড়িয়েছে।
কিন্তু জ্ঞানে-ব্যক্তিত্বে তাহসান তাহসানই রয়ে গেছেন।
তিনি অন্য আর দশজনের মতো না হয়ে কেবল এক নারীতেই আসক্ত থেকেছেন।
২০০৬ সালে তাহসান বিয়ে করেন সেসময়কার জনপ্রিয় শিল্পী ও অভিনেত্রী মিথিলাকে। তারা ছিলো সে সময়কার বেশিরভাগ দম্পতির আইডল।
তাহসান-মিথিলা জুটি কয়েকটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে কাজ করেছেন, যার সবক’টিই ছিল দর্শকমহলে প্রশংসিত।
এই দম্পতি পর্দায় জুটি হয়ে কথোপকথন, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, ল্যান্ড ফোনের দিনগুলোসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটকেও অভিনয় করেছেন।
বিয়ের পর তাহসান মিথিলার ঘর আলো করে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান, যার নাম আইরা তেহরীম খান।
কিন্তু ভালোবেসে বিয়ে করা ‘মেড ফর ইচ আদার’ কাপলখ্যাত তাহসান মিথিলা দীর্ঘ ১১ বছরের সুখের সংসারের ইতি টানেন ২০১৭ সালে।
যদিও তাদের বিচ্ছেদের কারণ এখনও সকলের অজানা।
বিচ্ছেদের পর মিথিলার সাথে সংগিত শিল্পী জন কবির এবং পরিচালক ফাহমির কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় হয়।
এমনকি তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার দুই বছরের মাথায় টালিগঞ্জের নামি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করে আরও বেশি সমালোচিত হন মিথিলা।
অথচ তাহসান খান এখনও একাই আছেন। আবার কি তিনি নতুন জীবন শুরু করবেন কিনা এমন প্রশ্ন হাজারো ভক্তের মনে।
কিন্তু তাহসান বরাবরই নিজের ব্যক্তি জীবনকে ভক্তদের আড়ালে রাখতে চান। বিয়ে নিয়েও কোন সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে দেখা যায়নি এই অভিনেতাকে।
বিচ্ছেদের পর রিলিজ হওয়া তার প্রতিটি গানেই বিষাদের সুর। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, হাজারো তরুণীর স্বপ্নের নায়ক তাহসান কি তবে এখনও প্রাক্তন স্ত্রীকে ভুলতে পারছেন না? তাই কি তাঁর গানে এতো বিষাদের সুর?
২০১৭ সালে প্রকাশিত তাহসানের অপ্রাপ্তি গানে তার বিষাদময় সুরে শ্রোতারা শোনেন, ' তুমি অনেক বদলে গেছো, আমি পারিনি সেটাই। তোমার আমার বদলে যাওয়ার অমিল শুধু এটাই।'
২০১৯ সালে প্রকাশিত অভিমান আমার গানে তাহসান বলেন, 'অভিমান আমার, কখনো অন্ধকার ঘরে একা, অশ্রুসজল এ চোখে যে প্রেম, তা তোমার কখনো হবে না।'
তাহসানের ঝুড়িতে এমন অসংখ্য গানের সংগ্রহ আছে, যা বিচ্ছেদের পরই রচনা করেছেন তিনি।
বলা হয় শিল্পির সৃষ্টিতে তার বাস্তব জীবনের চিত্রই ফুটে উঠে। তবে কি তাহসানের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে?
এসব গানে তার বিষাদময় কণ্ঠ শ্রোতাদের, ভক্তদের ব্যথিত করে। একটি কনসার্টে তাহসানের বলা কিছু কথা এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার মানুষকে শেয়ার করতে দেখা যায়।
২০১৯ সালে রাজধানীর বেইলি রোডে একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবশেন করেন তাহসান খান।
সেখানে তিনি ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’ গানটি গাওয়ার সময় গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলেন, ‘একদিন এই বেইলী রোডে বৃষ্টিতে কত ভিজেছি রিকশায়, আজ তুমি নেই, আই ডোন্ট কেয়ার’।
সেদিন বেশিরভাগ মানুষই নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলেন এ কথা মিথিলাকে উদ্দেশ্য করেই বলা।
তাহসান সম্পর্কে জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ হয়তো ঠিকই বলেছে, তিনি তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদের পর তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কাজ ছাড়া তাহসান কিচ্ছু বোঝে না। কথা বলে সোজাসাপটা। চাতুরী করে না। যখন গাইতে বা বাজাতে বসে, প্রচণ্ড মমতা নিয়েই বসে। যে অবস্থানে সে আছে, সবাই সেখানে পৌঁছাতে পারে না। ইন্ডাস্ট্রিকে এখন পর্যন্ত কম ব্যবসা দেয়নি তাহসান। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ হলে, সে যে সম্মানী নেয়, তার থেকে তিন গুণ নিত। সবচেয়ে বড় কথা, তাহসান তাঁর বাচ্চার মাকে ছোট করেনি। এটা কিন্তু শিক্ষা। এই শিক্ষাও সবার থাকে না।’
মিথিলার বর্তমান স্বামী সৃজিতও যেন বুঝেছেন তাহসানের অসাধারণত্ব, তাই হয়তো তার ফেসবুক আইডির ফলো লিস্টে কেবল তাহসানই ছিলেন।
যদিও পরবর্তিতে সংবাদমাধ্যমগুলোতে এটা নিয়ে একাধিক নিউজ হলে সৃজিত তাহসানকে আনফলো করে দেন।
তাহসান খান বাংলাদেশি মানুষের হৃদয়ের কতোটা জায়গা জুড়ে আছেন তা তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ও ইনস্টাতে ফলোয়ার সংখ্যাই দেখলেই বোঝা যায়।
সংগীতপ্রেমীরা কিংবা তাহসান ভক্তরা তাই অনেকসময় গর্ব করে বলেন, বাংলাদেশে একজন তাহসান আছেন।
মিডিয়ায় কাজ করেও যিনি কখনো নিজের কোন কাজের জন্য সমালোচিত হননি।
যিনি বিচ্ছেদের পরও কখনো তার সন্তানের মাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেননি।
তাহসান তার গান-অভিনয়-শিক্ষা-ব্যক্তিত্ব সব মিলিয়ে প্ৰায় কমপ্লিট একটা প্যাকেজ। তার যে কোন কনসার্টে শত শত তরুণীদের ভীড়, প্রিয় মানুষটিকে একটি বার ছুঁয়ে দেখার জন্য সেসকল তরুণীরা হাত বাড়িয়ে রাখে উদগ্রীব হয়ে।
বলছিলাম বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খানের কথা। যার গান কয়েক দশক ধরে সংগীত মহলে রাজত্ব করছে।
নব্বইয়ের দশকে জন্মানো একটা জেনারেশনের কৈশোরের উন্মাদনা তাহসান। তবে তাই বলে তার গানের চাহিদা নব্বইয়ের দশকেই মিইয়ে যায়নি। তার গান আজও একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে শোনেন শ্রোতারা।
এই তো গেলো শিল্পী তাহসানের কথা, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তাহসান কেমন?
বলতে গেলে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে যে কজন ক্লিন ইমেজের সেলিব্রেটি আছে তাদের মধ্যে তাহসান একজন।
মিডিয়ার সাথে জড়িত বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই সত্য কিংবা মিথ্যা নেগেটিভ কথা কখনো না কখনো ছড়িয়েছে।
কিন্তু জ্ঞানে-ব্যক্তিত্বে তাহসান তাহসানই রয়ে গেছেন।
তিনি অন্য আর দশজনের মতো না হয়ে কেবল এক নারীতেই আসক্ত থেকেছেন।
২০০৬ সালে তাহসান বিয়ে করেন সেসময়কার জনপ্রিয় শিল্পী ও অভিনেত্রী মিথিলাকে। তারা ছিলো সে সময়কার বেশিরভাগ দম্পতির আইডল।
তাহসান-মিথিলা জুটি কয়েকটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে কাজ করেছেন, যার সবক’টিই ছিল দর্শকমহলে প্রশংসিত।
এই দম্পতি পর্দায় জুটি হয়ে কথোপকথন, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, ল্যান্ড ফোনের দিনগুলোসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটকেও অভিনয় করেছেন।
বিয়ের পর তাহসান মিথিলার ঘর আলো করে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান, যার নাম আইরা তেহরীম খান।
কিন্তু ভালোবেসে বিয়ে করা ‘মেড ফর ইচ আদার’ কাপলখ্যাত তাহসান মিথিলা দীর্ঘ ১১ বছরের সুখের সংসারের ইতি টানেন ২০১৭ সালে।
যদিও তাদের বিচ্ছেদের কারণ এখনও সকলের অজানা।
বিচ্ছেদের পর মিথিলার সাথে সংগিত শিল্পী জন কবির এবং পরিচালক ফাহমির কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় হয়।
এমনকি তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার দুই বছরের মাথায় টালিগঞ্জের নামি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করে আরও বেশি সমালোচিত হন মিথিলা।
অথচ তাহসান খান এখনও একাই আছেন। আবার কি তিনি নতুন জীবন শুরু করবেন কিনা এমন প্রশ্ন হাজারো ভক্তের মনে।
কিন্তু তাহসান বরাবরই নিজের ব্যক্তি জীবনকে ভক্তদের আড়ালে রাখতে চান। বিয়ে নিয়েও কোন সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে দেখা যায়নি এই অভিনেতাকে।
বিচ্ছেদের পর রিলিজ হওয়া তার প্রতিটি গানেই বিষাদের সুর। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, হাজারো তরুণীর স্বপ্নের নায়ক তাহসান কি তবে এখনও প্রাক্তন স্ত্রীকে ভুলতে পারছেন না? তাই কি তাঁর গানে এতো বিষাদের সুর?
২০১৭ সালে প্রকাশিত তাহসানের অপ্রাপ্তি গানে তার বিষাদময় সুরে শ্রোতারা শোনেন, ' তুমি অনেক বদলে গেছো, আমি পারিনি সেটাই। তোমার আমার বদলে যাওয়ার অমিল শুধু এটাই।'
২০১৯ সালে প্রকাশিত অভিমান আমার গানে তাহসান বলেন, 'অভিমান আমার, কখনো অন্ধকার ঘরে একা, অশ্রুসজল এ চোখে যে প্রেম, তা তোমার কখনো হবে না।'
তাহসানের ঝুড়িতে এমন অসংখ্য গানের সংগ্রহ আছে, যা বিচ্ছেদের পরই রচনা করেছেন তিনি।
বলা হয় শিল্পির সৃষ্টিতে তার বাস্তব জীবনের চিত্রই ফুটে উঠে। তবে কি তাহসানের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে?
এসব গানে তার বিষাদময় কণ্ঠ শ্রোতাদের, ভক্তদের ব্যথিত করে। একটি কনসার্টে তাহসানের বলা কিছু কথা এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার মানুষকে শেয়ার করতে দেখা যায়।
২০১৯ সালে রাজধানীর বেইলি রোডে একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবশেন করেন তাহসান খান।
সেখানে তিনি ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’ গানটি গাওয়ার সময় গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলেন, ‘একদিন এই বেইলী রোডে বৃষ্টিতে কত ভিজেছি রিকশায়, আজ তুমি নেই, আই ডোন্ট কেয়ার’।
সেদিন বেশিরভাগ মানুষই নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলেন এ কথা মিথিলাকে উদ্দেশ্য করেই বলা।
তাহসান সম্পর্কে জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ হয়তো ঠিকই বলেছে, তিনি তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদের পর তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কাজ ছাড়া তাহসান কিচ্ছু বোঝে না। কথা বলে সোজাসাপটা। চাতুরী করে না। যখন গাইতে বা বাজাতে বসে, প্রচণ্ড মমতা নিয়েই বসে। যে অবস্থানে সে আছে, সবাই সেখানে পৌঁছাতে পারে না। ইন্ডাস্ট্রিকে এখন পর্যন্ত কম ব্যবসা দেয়নি তাহসান। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ হলে, সে যে সম্মানী নেয়, তার থেকে তিন গুণ নিত। সবচেয়ে বড় কথা, তাহসান তাঁর বাচ্চার মাকে ছোট করেনি। এটা কিন্তু শিক্ষা। এই শিক্ষাও সবার থাকে না।’
মিথিলার বর্তমান স্বামী সৃজিতও যেন বুঝেছেন তাহসানের অসাধারণত্ব, তাই হয়তো তার ফেসবুক আইডির ফলো লিস্টে কেবল তাহসানই ছিলেন।
যদিও পরবর্তিতে সংবাদমাধ্যমগুলোতে এটা নিয়ে একাধিক নিউজ হলে সৃজিত তাহসানকে আনফলো করে দেন।
তাহসান খান বাংলাদেশি মানুষের হৃদয়ের কতোটা জায়গা জুড়ে আছেন তা তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ও ইনস্টাতে ফলোয়ার সংখ্যাই দেখলেই বোঝা যায়।
সংগীতপ্রেমীরা কিংবা তাহসান ভক্তরা তাই অনেকসময় গর্ব করে বলেন, বাংলাদেশে একজন তাহসান আছেন।
মিডিয়ায় কাজ করেও যিনি কখনো নিজের কোন কাজের জন্য সমালোচিত হননি।
যিনি বিচ্ছেদের পরও কখনো তার সন্তানের মাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেননি।
তাহসান তার গান-অভিনয়-শিক্ষা-ব্যক্তিত্ব সব মিলিয়ে প্ৰায় কমপ্লিট একটা প্যাকেজ।
বলছিলাম বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খানের কথা। যার গান কয়েক দশক ধরে সংগীত মহলে রাজত্ব করছে।
নব্বইয়ের দশকে জন্মানো একটা জেনারেশনের কৈশোরের উন্মাদনা তাহসান। তবে তাই বলে তার গানের চাহিদা নব্বইয়ের দশকেই মিইয়ে যায়নি। তার গান আজও একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে শোনেন শ্রোতারা।
এই তো গেলো শিল্পী তাহসানের কথা, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তাহসান কেমন?
বলতে গেলে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে যে কজন ক্লিন ইমেজের সেলিব্রেটি আছে তাদের মধ্যে তাহসান একজন।
মিডিয়ার সাথে জড়িত বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই সত্য কিংবা মিথ্যা নেগেটিভ কথা কখনো না কখনো ছড়িয়েছে।
কিন্তু জ্ঞানে-ব্যক্তিত্বে তাহসান তাহসানই রয়ে গেছেন।
তিনি অন্য আর দশজনের মতো না হয়ে কেবল এক নারীতেই আসক্ত থেকেছেন।
২০০৬ সালে তাহসান বিয়ে করেন সেসময়কার জনপ্রিয় শিল্পী ও অভিনেত্রী মিথিলাকে। তারা ছিলো সে সময়কার বেশিরভাগ দম্পতির আইডল।
তাহসান-মিথিলা জুটি কয়েকটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে কাজ করেছেন, যার সবক’টিই ছিল দর্শকমহলে প্রশংসিত।
এই দম্পতি পর্দায় জুটি হয়ে কথোপকথন, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, ল্যান্ড ফোনের দিনগুলোসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটকেও অভিনয় করেছেন।
বিয়ের পর তাহসান মিথিলার ঘর আলো করে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান, যার নাম আইরা তেহরীম খান।
কিন্তু ভালোবেসে বিয়ে করা ‘মেড ফর ইচ আদার’ কাপলখ্যাত তাহসান মিথিলা দীর্ঘ ১১ বছরের সুখের সংসারের ইতি টানেন ২০১৭ সালে।
যদিও তাদের বিচ্ছেদের কারণ এখনও সকলের অজানা।
বিচ্ছেদের পর মিথিলার সাথে সংগিত শিল্পী জন কবির এবং পরিচালক ফাহমির কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় হয়।
এমনকি তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার দুই বছরের মাথায় টালিগঞ্জের নামি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করে আরও বেশি সমালোচিত হন মিথিলা।
অথচ তাহসান খান এখনও একাই আছেন। আবার কি তিনি নতুন জীবন শুরু করবেন কিনা এমন প্রশ্ন হাজারো ভক্তের মনে।
কিন্তু তাহসান বরাবরই নিজের ব্যক্তি জীবনকে ভক্তদের আড়ালে রাখতে চান। বিয়ে নিয়েও কোন সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে দেখা যায়নি এই অভিনেতাকে।
বিচ্ছেদের পর রিলিজ হওয়া তার প্রতিটি গানেই বিষাদের সুর। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, হাজারো তরুণীর স্বপ্নের নায়ক তাহসান কি তবে এখনও প্রাক্তন স্ত্রীকে ভুলতে পারছেন না? তাই কি তাঁর গানে এতো বিষাদের সুর?
২০১৭ সালে প্রকাশিত তাহসানের অপ্রাপ্তি গানে তার বিষাদময় সুরে শ্রোতারা শোনেন, ' তুমি অনেক বদলে গেছো, আমি পারিনি সেটাই। তোমার আমার বদলে যাওয়ার অমিল শুধু এটাই।'
২০১৯ সালে প্রকাশিত অভিমান আমার গানে তাহসান বলেন, 'অভিমান আমার, কখনো অন্ধকার ঘরে একা, অশ্রুসজল এ চোখে যে প্রেম, তা তোমার কখনো হবে না।'
তাহসানের ঝুড়িতে এমন অসংখ্য গানের সংগ্রহ আছে, যা বিচ্ছেদের পরই রচনা করেছেন তিনি।
বলা হয় শিল্পির সৃষ্টিতে তার বাস্তব জীবনের চিত্রই ফুটে উঠে। তবে কি তাহসানের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে?
এসব গানে তার বিষাদময় কণ্ঠ শ্রোতাদের, ভক্তদের ব্যথিত করে। একটি কনসার্টে তাহসানের বলা কিছু কথা এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার মানুষকে শেয়ার করতে দেখা যায়।
২০১৯ সালে রাজধানীর বেইলি রোডে একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবশেন করেন তাহসান খান।
সেখানে তিনি ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’ গানটি গাওয়ার সময় গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলেন, ‘একদিন এই বেইলী রোডে বৃষ্টিতে কত ভিজেছি রিকশায়, আজ তুমি নেই, আই ডোন্ট কেয়ার’।
সেদিন বেশিরভাগ মানুষই নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলেন এ কথা মিথিলাকে উদ্দেশ্য করেই বলা।
তাহসান সম্পর্কে জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ হয়তো ঠিকই বলেছে, তিনি তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদের পর তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কাজ ছাড়া তাহসান কিচ্ছু বোঝে না। কথা বলে সোজাসাপটা। চাতুরী করে না। যখন গাইতে বা বাজাতে বসে, প্রচণ্ড মমতা নিয়েই বসে। যে অবস্থানে সে আছে, সবাই সেখানে পৌঁছাতে পারে না। ইন্ডাস্ট্রিকে এখন পর্যন্ত কম ব্যবসা দেয়নি তাহসান। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ হলে, সে যে সম্মানী নেয়, তার থেকে তিন গুণ নিত। সবচেয়ে বড় কথা, তাহসান তাঁর বাচ্চার মাকে ছোট করেনি। এটা কিন্তু শিক্ষা। এই শিক্ষাও সবার থাকে না।’
মিথিলার বর্তমান স্বামী সৃজিতও যেন বুঝেছেন তাহসানের অসাধারণত্ব, তাই হয়তো তার ফেসবুক আইডির ফলো লিস্টে কেবল তাহসানই ছিলেন।
যদিও পরবর্তিতে সংবাদমাধ্যমগুলোতে এটা নিয়ে একাধিক নিউজ হলে সৃজিত তাহসানকে আনফলো করে দেন।
তাহসান খান বাংলাদেশি মানুষের হৃদয়ের কতোটা জায়গা জুড়ে আছেন তা তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ও ইনস্টাতে ফলোয়ার সংখ্যাই দেখলেই বোঝা যায়।
সংগীতপ্রেমীরা কিংবা তাহসান ভক্তরা তাই অনেকসময় গর্ব করে বলেন, বাংলাদেশে একজন তাহসান আছেন।
মিডিয়ায় কাজ করেও যিনি কখনো নিজের কোন কাজের জন্য সমালোচিত হননি।
যিনি বিচ্ছেদের পরও কখনো তার সন্তানের মাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেননি।
তাহসান তার গান-অভিনয়-শিক্ষা-ব্যক্তিত্ব সব মিলিয়ে প্ৰায় কমপ্লিট একটা প্যাকেজ। তার যে কোন কনসার্টে শত শত তরুণীদের ভীড়, প্রিয় মানুষটিকে একটি বার ছুঁয়ে দেখার জন্য সেসকল তরুণীরা হাত বাড়িয়ে রাখে উদগ্রীব হয়ে।
বলছিলাম বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খানের কথা। যার গান কয়েক দশক ধরে সংগীত মহলে রাজত্ব করছে।
নব্বইয়ের দশকে জন্মানো একটা জেনারেশনের কৈশোরের উন্মাদনা তাহসান। তবে তাই বলে তার গানের চাহিদা নব্বইয়ের দশকেই মিইয়ে যায়নি। তার গান আজও একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে শোনেন শ্রোতারা।
এই তো গেলো শিল্পী তাহসানের কথা, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তাহসান কেমন?
বলতে গেলে বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে যে কজন ক্লিন ইমেজের সেলিব্রেটি আছে তাদের মধ্যে তাহসান একজন।
মিডিয়ার সাথে জড়িত বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই সত্য কিংবা মিথ্যা নেগেটিভ কথা কখনো না কখনো ছড়িয়েছে।
কিন্তু জ্ঞানে-ব্যক্তিত্বে তাহসান তাহসানই রয়ে গেছেন।
তিনি অন্য আর দশজনের মতো না হয়ে কেবল এক নারীতেই আসক্ত থেকেছেন।
২০০৬ সালে তাহসান বিয়ে করেন সেসময়কার জনপ্রিয় শিল্পী ও অভিনেত্রী মিথিলাকে। তারা ছিলো সে সময়কার বেশিরভাগ দম্পতির আইডল।
তাহসান-মিথিলা জুটি কয়েকটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে কাজ করেছেন, যার সবক’টিই ছিল দর্শকমহলে প্রশংসিত।
এই দম্পতি পর্দায় জুটি হয়ে কথোপকথন, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস, ল্যান্ড ফোনের দিনগুলোসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় নাটকেও অভিনয় করেছেন।
বিয়ের পর তাহসান মিথিলার ঘর আলো করে আসে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান, যার নাম আইরা তেহরীম খান।
কিন্তু ভালোবেসে বিয়ে করা ‘মেড ফর ইচ আদার’ কাপলখ্যাত তাহসান মিথিলা দীর্ঘ ১১ বছরের সুখের সংসারের ইতি টানেন ২০১৭ সালে।
যদিও তাদের বিচ্ছেদের কারণ এখনও সকলের অজানা।
বিচ্ছেদের পর মিথিলার সাথে সংগিত শিল্পী জন কবির এবং পরিচালক ফাহমির কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে নেট দুনিয়ায় তোলপাড় হয়।
এমনকি তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটার দুই বছরের মাথায় টালিগঞ্জের নামি পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করে আরও বেশি সমালোচিত হন মিথিলা।
অথচ তাহসান খান এখনও একাই আছেন। আবার কি তিনি নতুন জীবন শুরু করবেন কিনা এমন প্রশ্ন হাজারো ভক্তের মনে।
কিন্তু তাহসান বরাবরই নিজের ব্যক্তি জীবনকে ভক্তদের আড়ালে রাখতে চান। বিয়ে নিয়েও কোন সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে দেখা যায়নি এই অভিনেতাকে।
বিচ্ছেদের পর রিলিজ হওয়া তার প্রতিটি গানেই বিষাদের সুর। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, হাজারো তরুণীর স্বপ্নের নায়ক তাহসান কি তবে এখনও প্রাক্তন স্ত্রীকে ভুলতে পারছেন না? তাই কি তাঁর গানে এতো বিষাদের সুর?
২০১৭ সালে প্রকাশিত তাহসানের অপ্রাপ্তি গানে তার বিষাদময় সুরে শ্রোতারা শোনেন, ' তুমি অনেক বদলে গেছো, আমি পারিনি সেটাই। তোমার আমার বদলে যাওয়ার অমিল শুধু এটাই।'
২০১৯ সালে প্রকাশিত অভিমান আমার গানে তাহসান বলেন, 'অভিমান আমার, কখনো অন্ধকার ঘরে একা, অশ্রুসজল এ চোখে যে প্রেম, তা তোমার কখনো হবে না।'
তাহসানের ঝুড়িতে এমন অসংখ্য গানের সংগ্রহ আছে, যা বিচ্ছেদের পরই রচনা করেছেন তিনি।
বলা হয় শিল্পির সৃষ্টিতে তার বাস্তব জীবনের চিত্রই ফুটে উঠে। তবে কি তাহসানের ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে?
এসব গানে তার বিষাদময় কণ্ঠ শ্রোতাদের, ভক্তদের ব্যথিত করে। একটি কনসার্টে তাহসানের বলা কিছু কথা এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজার হাজার মানুষকে শেয়ার করতে দেখা যায়।
২০১৯ সালে রাজধানীর বেইলি রোডে একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবশেন করেন তাহসান খান।
সেখানে তিনি ‘দূরে তুমি দাঁড়িয়ে’ গানটি গাওয়ার সময় গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলেন, ‘একদিন এই বেইলী রোডে বৃষ্টিতে কত ভিজেছি রিকশায়, আজ তুমি নেই, আই ডোন্ট কেয়ার’।
সেদিন বেশিরভাগ মানুষই নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলেন এ কথা মিথিলাকে উদ্দেশ্য করেই বলা।
তাহসান সম্পর্কে জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ হয়তো ঠিকই বলেছে, তিনি তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদের পর তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘কাজ ছাড়া তাহসান কিচ্ছু বোঝে না। কথা বলে সোজাসাপটা। চাতুরী করে না। যখন গাইতে বা বাজাতে বসে, প্রচণ্ড মমতা নিয়েই বসে। যে অবস্থানে সে আছে, সবাই সেখানে পৌঁছাতে পারে না। ইন্ডাস্ট্রিকে এখন পর্যন্ত কম ব্যবসা দেয়নি তাহসান। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ হলে, সে যে সম্মানী নেয়, তার থেকে তিন গুণ নিত। সবচেয়ে বড় কথা, তাহসান তাঁর বাচ্চার মাকে ছোট করেনি। এটা কিন্তু শিক্ষা। এই শিক্ষাও সবার থাকে না।’
মিথিলার বর্তমান স্বামী সৃজিতও যেন বুঝেছেন তাহসানের অসাধারণত্ব, তাই হয়তো তার ফেসবুক আইডির ফলো লিস্টে কেবল তাহসানই ছিলেন।
যদিও পরবর্তিতে সংবাদমাধ্যমগুলোতে এটা নিয়ে একাধিক নিউজ হলে সৃজিত তাহসানকে আনফলো করে দেন।
তাহসান খান বাংলাদেশি মানুষের হৃদয়ের কতোটা জায়গা জুড়ে আছেন তা তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ও ইনস্টাতে ফলোয়ার সংখ্যাই দেখলেই বোঝা যায়।
সংগীতপ্রেমীরা কিংবা তাহসান ভক্তরা তাই অনেকসময় গর্ব করে বলেন, বাংলাদেশে একজন তাহসান আছেন।
মিডিয়ায় কাজ করেও যিনি কখনো নিজের কোন কাজের জন্য সমালোচিত হননি।
যিনি বিচ্ছেদের পরও কখনো তার সন্তানের মাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেননি।
তাহসান তার গান-অভিনয়-শিক্ষা-ব্যক্তিত্ব সব মিলিয়ে প্ৰায় কমপ্লিট একটা প্যাকেজ।