১৯৭১।ভারতের শরণার্থী শিবির। গণমানুষেরা গাদা-গাদি করে বসবাস। বেঁচে থাকার রসদ চাল-ডাল নেয়ার হেতু শরণার্থী শিবিরলাইন গুলোতে উপচে পড়া ভীড়। কোথাও তিল পরিমাণ বসার জায়গা নেই; তবুও, মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে ত্রাণের খাবার পেতে দলে দলে ত্রাণ শিবিরে ভীড় জমাচ্ছিল। হ্যাঁ! পর্যাপ্ত পরিমানের খাদ্য সরবরাহের ছিল না। হাইজিনের কোন বালাই ছিলোনা ছিল। নিরাপত্তার বালাই নাই; সক্রামক রোগ ছড়াতে থাকে বিস্তরভাবে ।কিন্তু কারো কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ করার সময়টুকু ছিলনা । সর্বত্রই আতঙ্ক আর ঈশ্বর যেন বিশৃঙ্খলার রাজত্ব কায়েম করেছে জনগণের উপর । এহেন পরিস্থিতিতে ঈশ্বরকে দোষারোপ করা যেতেই পারে।
যদ্দুর মনে পড়ে এটা ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি বা তারপরের সময়। বজ্রপাতের আলোয় পথ চিনে হাঁটতে হয়েছিল। যাই হোক, স্বেচ্ছাসেবকরা‘শরণার্থী’ নারী ও শিশুদের সেবা দানের কাজ শুরু করে। এই কাজে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, ছেলে-মেয়ে অংশ নেয়। এসব দেখে আমিও ব্যাতিক্রম ছিলাম না, এসকল কাজ করতে গিয়ে এক অদ্ভুত আনন্দে আচ্ছন্ন হয়ে পরেছিলাম। অন্যদিকে ঈশ্বরও যেন মানুষের অপকর্মের চিহ্নগুলি মুছে ফেলতে ব্যস্ত ছিলেন। আমরা সবাই দুর্ভোগরত মানুষদের লুটপাট আর হারিয়ে যাওয়া সম্মানগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম ... কিন্তু কেন?