দিনটা মঙ্গলবার সন্ধ্যেবেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স লাইব্রেরির দোতলায় কক্ষ নং দুইয়ে সকাল থেকেই বসে আছি। এলোমেলো লাগছে নিজেকে। বইয়ের কালো কালো অক্ষরের ভিড়ে ভেসে উঠছে জীবনের নানান উত্থান পতনের ছবি। ভেসে উঠছে ভবিষ্যতের অনিশ্চিত গতিময়তা। অনিশ্চিত প্রেম, ক্যারিয়ার আর বাবা মায়ের আশা হতাশা। পরিচয় সঙ্কটে ভোগা এদেশের অজস্র তরুনের মতো টেবিলে বসে মুখ ভার করে দোল খেতে থাকা অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতে। বইতে একদমই মুখ দিতে ইচ্ছে করছিলো না। অগ্যতা কবিতা লেখা।নিজেকে খুব বেশি বিক্ষিপ্ত লাগলে আমি কবিতা লিখি। কবিতার পঙতিমালা আমাকে তার ছন্দের মতো করে জুড়ে দেয়। একেকটা লাইন মিলিয়ে নিতে নিতে যেনো মিলিয়ে নেই নিজেকেও।
বড় বিক্ষিপ্ত মন
বেখেয়ালে হিসেব মেলায় জীবনের।
একবার সে আমার হয়,
একবার হরষে ফুটে ওঠে ছাতিমের ফুল
দিগন্তে জেগে ওঠে জীবনের আলো,
একবার জীবন ফেরায় মুখ জীবনের দিকে;
আরেকবার____!
নাভিমূলে যে দীর্ঘশ্বাস পোড়ে
তার বিষাক্ত বাতাসে অন্ধকার নামে,
বিপন্ন প্রাণের মত টিকে থাকি
জীবনের হিসেব কষি অনুকূলে।
তীর হারা যে সাগরের ঢেউয়ে
নৌকা ছেড়েছি খেয়ালের বশে,
যেখানে সঙ্কট ঝড়ে ডুবে মরি রোজ,
নীরব প্রস্থানই সেখানে সবচেয়ে অনুকূলে।