পোস্টস

ভ্রমণ

দার্জিলিংয়ের ডায়েরি

১১ জুন ২০২৪

বিশ্ব দর্শন

দার্জিলিংয়ের ডায়েরি

 

 

প্রথম অধ্যায়: প্রস্তুতি

২০১৫ সালের বসন্তের শুরুতে, আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু সিদ্ধান্ত নিলাম যে এবার আমরা দার্জিলিং যাব। ঢাকার গরমে আর থাকা যাচ্ছিল না। আমি, অর্ণব, সবসময়ই ভ্রমণ পছন্দ করি, তাই নতুন কোনো গন্তব্যের সন্ধান সবসময় আমার মনকে উত্তেজিত করে তোলে। আমার বন্ধু সুমন, রিয়া, এবং তনিমাও একই রকম উদ্দীপিত। আমরা বসেছিলাম রিয়ার বাড়ির ছাদে এক সন্ধ্যায়। চা হাতে নিয়ে সুমন বলল, "আমরা এবারের ছুটিতে দার্জিলিং যাব, কেমন হবে?"

রিয়া সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করল, "বাহ! চমৎকার হবে। পাহাড়, ঠান্ডা আবহাওয়া, আর সেই সাথে দার্জিলিং-এর বিখ্যাত চা। ভাবতেই ভালো লাগছে।" তনিমা একটু ভেবে বলল, "দার্জিলিং-এর অনেক সুন্দর জায়গা আছে। কিন্তু আমরা সেখানে কোথায় থাকব, কী কী করব—এসব পরিকল্পনা করতে হবে।"

আমি বললাম, "ঠিক আছে, আমরা সবার কাজ ভাগাভাগি করে নি। আমি ট্রেনের টিকিট এবং হোটেল বুকিংয়ের দায়িত্ব নিচ্ছি। সুমন, তুমি ভ্রমণসূচি তৈরি করো। রিয়া, তুমি খাবার এবং স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে একটু গবেষণা করো। আর তনিমা, তুমি সবার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করো।"

সবার মধ্যে কাজ ভাগাভাগি হয়ে গেল। আমি প্রথমে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শিয়ালদহের টিকিট বুক করলাম। এরপর হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত একটি এসি কুপের টিকিট পেলাম। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেনে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। হোটেলের জন্য আমি দার্জিলিং-এর একটি ছোট কিন্তু সুন্দর হোটেল বেছে নিলাম, যার নাম "মাউন্টেন ভিউ হোটেল।" এটি ম্যাল রোডের কাছেই অবস্থিত।

সুমন তার ভ্রমণসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সে টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, পিস প্যাগোডা, হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, এবং পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কের মতো স্থানগুলির একটি তালিকা তৈরি করল। রিয়া স্থানীয় খাবার এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে পড়াশোনা করতে লাগল। মোমো, থুক্পা, এবং স্থানীয় চায়ের বিশেষ স্বাদ সম্পর্কে সে অনেক কিছু জানাল।

তনিমা সবার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করল। তার তালিকায় ছিল গরম কাপড়, সানগ্লাস, ক্যামেরা, স্ন্যাক্স, এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। সব প্রস্তুতি শেষে আমরা সবাই খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়লাম। দিনটি ছিল ১০ই এপ্রিল, এবং আমরা ঠিক করেছিলাম ১৫ই এপ্রিল আমরা রওনা দেব।

 

দ্বিতীয় অধ্যায়: যাত্রা শুরু

১৫ই এপ্রিল সকালে আমরা ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালাম। সবার মুখে হাসি, আর চোখে উত্তেজনা। প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে দেখলাম, আমাদের ট্রেন প্রস্তুত। আমরা ট্রেনের এসি কুপে উঠলাম এবং আসনগুলোতে বসে বাইরের দৃশ্য দেখতে লাগলাম। ট্রেন ছাড়ার সাথে সাথে আমাদের যাত্রা শুরু হলো।

ট্রেন ধীরে ধীরে শহরের কোলাহল পেছনে ফেলে সবুজ মাঠ আর ছোট ছোট গ্রাম অতিক্রম করতে লাগল। আমরা সবাই মিলে গল্প করতে করতে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করছিলাম। সুমন তার ক্যামেরা বের করে বিভিন্ন দৃশ্যের ছবি তুলছিল। রিয়া তার সাথে নিয়ে আসা বই পড়তে ব্যস্ত ছিল। তনিমা ট্রেনের খাবারের তালিকা পরীক্ষা করে সবার জন্য কিছু স্ন্যাক্স অর্ডার করল।

রাতে খাওয়ার পরে আমরা সবাই একটু বিশ্রাম নিলাম। ট্রেনের ছন্দময় দুলুনি আর বাইরের হালকা বাতাস আমাদের ঘুম পাড়িয়ে দিল। সকালে উঠে দেখলাম, আমরা ভারতের শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছেছি। এখান থেকে হাওড়া যাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হলো কিছুক্ষণ। শিয়ালদহ থেকে হাওড়া পৌঁছে আমরা আবার ট্রেনে উঠলাম, যা আমাদের নিউ জলপাইগুড়ি নিয়ে যাবে।

 

তৃতীয় অধ্যায়: পাহাড়ের পথে

হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির ট্রেন যাত্রা ছিল অনেকটা আরামদায়ক। আমরা জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে চলছিলাম। ধীরে ধীরে আমরা পাহাড়ি অঞ্চলে প্রবেশ করলাম। চারপাশে সবুজ বন, মাঝেমধ্যে ছোট ছোট ঝর্ণা, আর রাস্তার ধারে ফুলের বাগান দেখতে দেখতে আমরা কার্সিয়াং পৌঁছালাম। এখানে আমরা কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে পাহাড়ি চা খেলাম। চা-এর স্বাদ সত্যিই অপূর্ব ছিল।

নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে আমরা টয় ট্রেনে উঠলাম। টয় ট্রেনের যাত্রা ছিল একেবারে অন্যরকম। ছোট্ট ট্রেনটি পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে ধীরে ধীরে চলছিল। জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখার আনন্দই আলাদা। পাহাড়ের গায়ে লাগানো ছোট ছোট বাড়ি, চা-বাগান, আর সবুজের সমারোহ আমাদের মুগ্ধ করছিল। ট্রেনের ছন্দময় চলা আর ঠান্ডা হাওয়া আমাদের মনকে সতেজ করে তুলেছিল।

 

চতুর্থ অধ্যায়: দার্জিলিংয়ের প্রথম দিন

দার্জিলিং পৌঁছে আমরা একটি ছোট হোটেলে উঠলাম। হোটেলের জানালা দিয়ে পুরো দার্জিলিং শহরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল। হোটেলের ঘরগুলো খুব সুন্দরভাবে সাজানো ছিল এবং জানালা দিয়ে পাহাড়ি দৃশ্য দেখে আমরা মুগ্ধ হয়ে গেলাম। হোটেলের কর্মীরা আমাদের খুব আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাল এবং আমাদের জন্য চা এবং স্ন্যাক্স নিয়ে এলো।

বিছানায় বসে চা খেতে খেতে আমরা ভ্রমণসূচি নিয়ে আলোচনা করলাম। প্রথম দিন আমরা হালকা ঘোরাঘুরি করব এবং দার্জিলিং শহরটা একটু ঘুরে দেখব। সন্ধ্যায় আমরা ম্যাল রোডে ঘুরতে গেলাম। এটি ছিল একটি রঙিন রাস্তা, দোকানপাটে ভরা। আমরা স্থানীয় দোকান থেকে নানা ধরনের স্মারক কিনলাম। বিশেষ করে, রিয়ার কেনা কাশ্মীরি শালটি ছিল খুব সুন্দর।

ম্যাল রোডে হাঁটতে হাঁটতে আমরা একটি ছোট ক্যাফেতে ঢুকলাম। সেখানে গরম কফি আর মোমো খেয়ে আমরা সবাই খুব আনন্দ পেলাম। কফির সুবাস আর মোমোর স্বাদ সত্যিই মনমুগ্ধকর ছিল। ক্যাফেতে বসে আমরা দার্জিলিং-এর ঠান্ডা হাওয়া আর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে লাগলাম। সন্ধ্যার পর আমরা হোটেলে ফিরে এলাম এবং পরের দিনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করলাম।

 

পঞ্চম অধ্যায়: টাইগার হিলের সূর্যোদয়

পরদিন ভোরে আমরা টাইগার হিলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। গাড়ি করে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে যখন আমরা টাইগার হিলে পৌঁছালাম, তখন ভোরের আলো ফোটেনি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যোদয় দেখতে পেলাম। সূর্যোদয়ের স্বর্ণালি আলোতে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া ঝলমল করছিল। এ দৃশ্য আমাদের জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে।

আমরা সবাই ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। সুমন তার ক্যামেরায় একের পর এক ছবি তুলছিল। রিয়া এবং তনিমা মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিল। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই অপূর্ব দৃশ্য দেখতে লাগলাম এবং মনের মধ্যে এ মুহূর্তগুলোকে চিরস্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করলাম।

সূর্যোদয় দেখার পর আমরা আবার হোটেলে ফিরে এলাম এবং সকালের নাস্তা করলাম। হোটেলের খাবার ছিল সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। নাস্তা শেষে আমরা হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এবং পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।

 

ষষ্ঠ অধ্যায়: স্থানীয় দর্শন

হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট একটি অত্যন্ত প্রাচীন প্রতিষ্ঠান, যেখানে পর্বতারোহণের নানা ইতিহাস এবং তথ্য প্রদর্শিত হয়। আমরা সেখানে নানা ধরনের পর্বতারোহণের সরঞ্জাম এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানলাম। পর্বতারোহণের নানা দুঃসাহসিক অভিযানের ছবি এবং ভিডিও দেখে আমরা মুগ্ধ হলাম। সেখানে এভারেস্ট জয়ী তেনজিং নোরগের স্মৃতিসৌধও রয়েছে, যা আমাদের গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।

এরপর আমরা পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে গেলাম। এখানে নানা ধরনের প্রাণী দেখতে পেলাম। বিশেষ করে, তুষার চিতা দেখে আমরা মুগ্ধ হলাম। এছাড়াও, লাল পান্ডা, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার, এবং নানা ধরনের পাখি দেখতে পেলাম। তনিমা প্রাণীগুলির ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিল, আর রিয়া প্রাণীদের সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করছিল।

আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল রক গার্ডেন। এটি একটি সুন্দর বাগান, যেখানে ছোট ছোট জলপ্রপাত এবং পাহাড়ি ফুলের বাগান রয়েছে। আমরা এখানে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। রক গার্ডেনের পাশেই একটি ছোট কফি শপ ছিল, সেখানে আমরা গরম কফি খেলাম।

 

সপ্তম অধ্যায়: স্থানীয় খাবার ও কৃষ্টি

দার্জিলিং-এর খাবার আর সংস্কৃতি আমাদের মুগ্ধ করেছিল। আমরা স্থানীয় বাজার থেকে নানা ধরনের মোমো, থুক্পা, এবং পাহাড়ি খাবারের স্বাদ নিলাম। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলাম। সেখানে নেপালি নাচ-গান দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির নানা দিক তুলে ধরেছিলেন। আমরা তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ পেলাম এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরো জানতে পারলাম।

 

অষ্টম অধ্যায়: স্থানীয় বাজার ও কেনাকাটা

পরদিন সকালে আমরা দার্জিলিংয়ের বিখ্যাত চা বাগান দেখতে গেলাম। চা বাগানের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে আমরা বিভিন্ন প্রজাতির চা গাছ দেখতে পেলাম। সেখানে একটি চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানাও ছিল, যেখানে আমরা চা তৈরি প্রক্রিয়া দেখলাম এবং বিভিন্ন ধরনের চা স্বাদ নিলাম। এখান থেকে আমরা কিছু চা কিনলাম, যা আমাদের প্রিয়জনদের জন্য উপহার হিসেবে নিয়ে যাব।

বিকেলে আমরা স্থানীয় বাজারে গেলাম। বাজারে নানা ধরনের হস্তশিল্প, পোশাক, এবং খাবারের দোকান ছিল। আমরা এখান থেকে কাশ্মীরি শাল, হস্তশিল্পের পণ্য, এবং স্থানীয় মিষ্টি কিনলাম। তনিমা তার পরিবারের জন্য কিছু চামড়ার জিনিসপত্র কিনল, আর সুমন কিনল কাঠের তৈরি কিছু সুন্দর সামগ্রী।

 

নবম অধ্যায়: পিস প্যাগোডা ও বাতাসিয়া লুপ

পরের দিন আমরা দার্জিলিংয়ের পিস প্যাগোডা দেখতে গেলাম। এটি একটি শান্ত ও মনোরম স্থান, যেখানে আমরা কিছু সময় কাটালাম। প্যাগোডার উপরে উঠে আমরা পুরো দার্জিলিং শহর এবং আশেপাশের পাহাড়ি দৃশ্য দেখতে পেলাম। প্যাগোডার চারপাশের বাগানও খুব সুন্দর ছিল, এবং আমরা সেখানে বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।

এরপর আমরা বাতাসিয়া লুপে গেলাম। এটি একটি সুন্দর বাগান এবং যুদ্ধ স্মৃতিসৌধের স্থান, যা দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ের একটি লুপিং ট্র্যাক। আমরা এখান থেকে দার্জিলিং-এর অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পেলাম। বাতাসিয়া লুপে একটি ছোট মিউজিয়ামও ছিল, যেখানে দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ের ইতিহাস প্রদর্শিত হয়েছে।

 

দশম অধ্যায়: বিদায়

আমাদের ছুটির শেষ দিনটি ছিল মিশ্র অনুভূতির। দার্জিলিংয়ের সৌন্দর্য আর মনোরম পরিবেশ আমাদের মনে চিরকাল থাকবে। আমরা সকালে হোটেল থেকে চেকআউট করে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। টয় ট্রেনে ফিরে আসার সময় আমরা সবাই মনমরা ছিলাম, কিন্তু মনের মধ্যে ছিল দার্জিলিংয়ের অসাধারণ স্মৃতিগুলো।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া হয়ে শিয়ালদহ পৌঁছে আমরা আবার ঢাকার ট্রেনে উঠলাম। ট্রেনে বসে আমরা দার্জিলিংয়ের স্মৃতিচারণ করতে লাগলাম। সেই অপূর্ব সূর্যোদয়, পাহাড়ি চা, স্থানীয় সংস্কৃতি—সবকিছুই আমাদের জীবনের একটি সুন্দর অধ্যায় হয়ে থাকবে।

দার্জিলিংয়ের প্রতিটি মুহূর্তই যেন আমাদের জীবনের এক একটি সুন্দর অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই ভ্রমণ আমাদের শুধু আনন্দই দেয়নি, বরং আমাদের প্রকৃতির কাছে নিয়ে গিয়ে জীবনের নতুন উপলব্ধিও করিয়েছে। দার্জিলিংয়ের স্মৃতি আমাদের মনে চিরকাল অমলিন থাকবে।