পোস্টস

গল্প

পেয়াজ বিড়ম্বনা

১১ জুন ২০২৪

সোহাইম আব্দুল্লাহ মুয়াজ

মূল লেখক মুয়াজ

পেয়াজ বিড়ম্বনা রাত ১১ টা বাজে। মাত্র অফিস থেকে বের হলাম আর তখনি বউ এর ফোন। এতরাতে ফোন দেওয়ার কারণ জানতে চাইলাম। : বাসায় পেয়াজ নাই। : তো! : তো মানে, আসার সময় ৫ কেজি পেয়াজ নিয়ে আসবে বুঝলে। : কি! এত রাতে! এত রাতে কি পেয়াজ পাওয়া যায়। ( নরম সুরে) ; তোমাকে বলছি পেয়াজ আনতে আনবা। ব্যস : কিন্তু পেয়াজের যেই দাম? ফোনটা কেটে দিছে। কি আর করার। সারা বাজার ঘুরে পেয়াজ কিনলাম কেজি প্রতি ১২৫ টাকা করে। পেয়াজ কিনতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল। তাড়াতাড়ি যাবার জন্য একটা গলিতে প্রবেশ করলাম। যা আন্ধকার আর মারাত্নক পচা গন্ধ কোনো মতে হেটে আসছি। দূরে দেখলাম কারা যেন সিগারেট খাচ্ছে। পিছনে ফিরে হাটবো নাকি ভাবলাম কিছুক্ষণ। না থাক যাই দেখি কি করে। কোনো মতে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিলাম হঠাৎ একজন পিছন থেকে ডাক দিলো। দাড়ালাম। : এই ভাই এই রাস্তা দিয়া কই যান? : বাসায়। : মাল তো ভালোই আছে। একজন পিছন থেকে ছুরি বের করলো। বললাম : ভাই, আমার কাছে নেওয়ার মত কিছুই নাই। এখনো বেতন পাই নাই। ১০০০ টাকা ছিল ৬২৫ টাকার পেয়াজ কিনছি।দেখেন ম্যানিব্যাগ। : আর কিছু নাই? : ভাই মোবাইল আছে নিবেন, নেন ১০ হাজার টাকা দিয়া কিনছি নেন। : আরে বাদ দেন। হাতে কি? : ভাই পেয়াজ : হুম, পেয়াজ গুলো দিয়ে চলে যান। : ভাই পেয়াজ না নিলে আজকে বাসায় যাইতে পারবো না। আমার কিডনি টা রাখলে রাখতে পারেন সমস্যা নাই। : তোর কিডনি লাগবো না তুই পেয়াজ দে। : না ভাই দিমু না এক পর্যায় মারামারি, কাটাকাটি। যখন চোখ খুললাম দেখি আমি হাসপাতালের বেডে। সবাই আমার দিকে করুণ সুরে তাকিয়ে আছে। যাক বেচে তো আছি। আর জীবনো কখনো পিয়াজ কিনবো, কিনলেও রাতে কিনবো না ,যদি কিনি তবে গলিতে ডুকবো না। এই আমার ওয়াদা