পোস্টস

চিন্তা

এজন্যই তারা ধনী, তারা বিত্তবান

১১ জুন ২০২৪

রাজেশ দে

মূল লেখক Rajesh Dey

আজকাল খুব দ্রুতই রেগে যাচ্ছি। মনের অগোছালো ভাবনা গুলো আমাকে বারবার আবদ্ধ করে রাখছে অবিরত। বের হতে পারছি কই, সবকিছু আমার বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। মানবিকতা চর্চা করতে গিয়ে অমানবিকতার অপবাদ নিয়ে ফিরতে হয়। জীবনটা বোধয় এরকমই। সবদিক থেকে কিছু মানুষ নিজেদের আখের গোছাচ্ছে আর কিছু মানুষ তাদের স্বীকার হচ্ছে। করোনার মহাসংকট কালীন সময়ে যেখানে সবাই ত্রাণ নিয়ে ছুটছে অসহায়দের পাশে সেখানে কিছু প্রতিষ্ঠানে তেলবাজরা অফিসে বিনা বেতনে ছুটি দিয়ে মানুষকে আরো অসহায় করে রাখছে। সরকার এসব হয়তো জানে বা জানে না তবু তেলবাজরা তেলবাজি করেই যাবে। বাকি কর্মীদেরকে তাদের স্বীকার বানিয়ে মালিকের লাভ দেখাচ্ছে আর নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে যে অমানবিকতার পরিচয় তারা দিচ্ছে তা করোণা চলে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ ভুলবে কেমন করে!আপনার দুর্যোগে যে আপনাকে আঘাত করবে আপনি তাকে কেমন করে পরবর্তীতে ভরসা করবেন? স্বার্থপররা শুধু নিজেদের বর্তমান সুখের কথাই শুধু ভাবে। তারা ভাবতে পারে, তাদের সেই সক্ষমতা আছে এজন্যই বোধয় তারা বিত্তবান।

এতদিন ভাবতাম পৃথিবীতে মানুষের আবিষ্কার গুলো পৃথিবীকে একদিন ধ্বংস করে দিবে, কিন্তু এখন ভাবছি মানুষকে ধ্বংস করার জন্য করোনার মতো একটি শক্তিশালী ভাইরাসই যথেষ্ট।স্রষ্টার সৃষ্টি এই পৃথিবীকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না। ভাইরাস মানুষকে ধ্বংস করে দিবে।পৃথিবী একসময় হয়তো মানুষহীন হয়ে পড়বে।এতকিছুর পরেও কিছু মানুষের মন থেকে সাম্প্রদায়িক হিংসা যাচ্ছে না। গতবছর (২০২০সালে) যখন চীনে,ইতালিতে,যুক্তরাষ্টে,স্পেনে বহু মানুষ করোনায় মারা গেছে তখন কিছু সাম্প্রদায়িক হিংসার বসে বলেছিলেন আল্লাহর গজব পড়েছে।তখন তাদের মেজাজ ছিল ফুরফুড়ে, এবছর (২০২১সালে) যখন প্রতিবেশী দেশ ভারতে বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করছে তখনো সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসা জেগে উঠেছে তাদের মনে।ব্রাজিলেও প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড ছাড়াচ্ছে।প্রতিদিন এদেশেও আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম নয়।যার হারায় সে বোঝে, যার হয় সে ভয় পায়,আর যার হয়নি সে সমালোচক হয়ে যায়। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সব ধ্বংস করতে পারে।আবার সবকিছু ঠিক করে দিতে পারে। আজ পাশের দেশে হচ্ছে কাল সেই ভয়াবহতা আমাদের দেশেও হতে পারে সে ভাবনা এখনো এদেশের মানুষের মাঝে জন্মায়নি। যতক্ষণ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে মানুষ উপস্থিত হয় না ততক্ষণ মানুষ মৃত্যুকে ভুলে থাকে।এদেশের মানুষেরও হয়েছে সেটা। অথচ আমাদের দেশে এই ভয়াবহতা রুখবার মতো সক্ষমতা এখনো হয়নি, স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা যেন এদেশে এই ভয়াবহতা না ছড়ায়।পাকিস্থান সৌদিআরব সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসা ভুলে ভারতের পাশে দাড়িয়েছে।তাদের সাধুবাদ জানাই।মানুষ মানুষের জন্য। এদরে মতো যদি অসাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনা নিয়ে বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি তবে এবিশ্বে স্রষ্টা নিজেই আশীর্বাদ দান করবেন।