দ্রোহানলের আগ্নেয়গিরি, বিদ্রোহী তুমি, বিপ্লবী!
বিষের বাঁশি, কে বাজাবি, আইরে ভীষণ ভৈরবী।
একূল ওকূল ভাঙ্গরে দুকূল, নে ভাসিয়ে জালিমরে,
মাথার 'পরে আছড়ে মারিস, পাহাড় সম ঊর্মিরে।
নটরাজের পবন-ভবন, আয়রে ছুটে তড়িৎ বেগে,
দস্যিরাজের দস্যিপনায়, লাগাম টানো বিশ্বরে।
আয়-গতিবেগ, আয়রে ধেয়ে, ধমকে- চমকে ভেঙ্গে যারে,
রক্তচোষা, জন্তু -প্রাণী, মানব-দানব সংহারে।
ঈষাণ কোণে, উড়াও নিশান, কালো মেঘের গর্জরে,
চিতার অনল ধরিয়ে দিবি, দস্যুদেরই অন্তরে।
বিনামেঘের বজ্রবাণে, সাঙ্গ কর জীবনরে,
নৈঋতেরই প্রান্ত কোণে, ভীষণ, পাষাণ, বৌদ্ধরে।
আয় অবিরাম, ঘূর্ণিবায়ূ, সাথী করে ঝড়-টর্নেডো,
কম্পে কম্পে ভূমিকম্পে, আগ্নেয়গিরির ঐ জ্বালামুখ,
যা ছুটে যা মানবতা, বন্দী যেথা প্রকোষ্ঠে,
মানুষরূপী সবজানোয়ার, রক্ত -মাংস ভক্ষণে।
ফেলরে মুছে সব নিশানা, সবকটিরে ধররে,
মরণ জ্বালা, বিষের জ্বালা, জ্বালিয়ে দিবি অন্তরে।
তিলে তিলে দে বুঝিয়ে, অত্যাচারীর পরিণতি,
জালিম, জুলুম, জুলমাতের সব, মৃত্যুবাণে দিবি।
উড়াও পাহাড়, ঝঞ্ঝা বায়ু, ধ্বংস-নাশী সংহর্ত্রী,
জ্বালাও, পোঁড়াও, অমানুষী পাপের তাপের রাজ্যটি।
চালাও প্রবল ধ্বংসলীলা, আকাশ-বাতাস বৈপ্লবী,
পৈশাচিকের দম্ভ-হম্ভ, দে গুঁড়িয়ে বিপ্লবী!
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
বাড়ী# ১২৩৪, ওয়ার্ড# ১২,
ভাদুঘর, সদর, বি.বাড়ীয়া-৩৪০০।
০৬/০৯/২০১৭ ঈসায়ী সাল।