১৮/১১/২০১৭ ঈসায়ী সাল।
প্রাণের চাওয়া, বাংলাদেশী নয়, বাঙ্গালীর স্বাধীণতা,
খুঁজেফিরি কোথায় আছে, মোদের হৃদয়- ত্রাতা!
কেড়ে নিয়ে প্রাণ লুটিল বৃটিশ বেনিয়া,
পরাধীনতার মোড়কে পেলাম কেমন স্বাধীনতা!
বঙ্গবঙ্গ নাটক করে পায়নি কোন কূল,
বঙ্গবীরের সিংহ নাদে, হেয় হারালো ভূল।
বঙ্গভঙ্গ রদ হলযে, ফিরল শান্তি নিয়ে,
সুখের আসর ভেঙ্গে দিতে, লাগলো আবার পিছে।
ভাষা দিয়ে ভাঙতে তারা পারেনি মহাভারত,
ভাঙলো শেষে, ধর্ম দিয়ে পাকিস্তান ও ভারত।
সফল হলো চিরশত্রু বৃটিশ গড়া নকশা,
ভাঙলো আশার তরী সবার, সকল স্বপ্ন-খাসা।
পূর্ব পশ্চিম পাকিস্থানে, আবার এলো ভাষা,
ভাষার দোহায়, দানা বাঁধে, নতুন করে বাঁচা।
পুরনো চালে, নতুন ফাঁদে, পড়লো পুরো জাতি,
মুখের ভাষা, রক্ষা করে, আনলো বিজয় সবি।
ভাষার স্বাধীনতার পরে জাগে বাঁচার স্বাধীণতা,
আনলো করে সবাই মিলে, দেশের স্বাধীনতা।
রয়লো পড়ে দূর নিকটে জাতির স্বাধীনতা,
পথ হারিয়ে পথ ভূলে ফের, হারায় একতা।
বলতে পারো, প্রাণের দেশে নেইকি ধর্ম,ভাষা, বর্ণ!
শাসক শ্রেণী গায়ের জোড়ে, করবে কি সব ছিন্ন -ভিন্ন!
হাজার জনের দেশ গড়িয়ে, গড়বে অনেক দেশ,
প্রাচীন ভারত দেখবে সবে, মারামারি বেশ।
রাখো সবার ঊর্ধে আজি প্রিয় জন্মভূমি,
বাঁচার তরে, শিখবে ভাষা দেশী বিদেশী।
শত্রু যেনো পায়না সুযোগ, ভাঙতে প্রিয় বাংলাদেশ,
জাতি ধর্ম সব ভেদাভেদ ভূলে গড়ি সোনার দেশ।
মধুবাগ, বড়মগবাজার,
রমনা, ঢাকা।
[স্বাধীনতার বিপক্ষে নয়, বরং শাসক শ্রেণীর স্বেচ্ছারিতা, অদূরদর্শিতা এবং গোয়ার্তুমির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।]