রাতের আকাশে চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। রিমি বিছানায় শুয়ে আছে, তার চোখে স্বপ্নের আলো। আজ সে আবার সেই স্বপ্ন দেখছে। স্বপ্নে সে দেখেছে এক অদ্ভুত জগৎ, যেখানে ফুলেরা কথা বলে, গাছেরা গান গায়, আর নদীর ধারা মিষ্টি সুরে বয়ে চলে। রিমি সেই জগতে হাঁটছে, হাতে এক রঙিন ঘুড়ি। ঘুড়িটা বাতাসে উড়ছে, আর রিমির মন উড়ছে তার সাথে। হঠাৎ সে দেখতে পেলো এক রাজপ্রাসাদ। সোনালী দরজা খোলা, ভিতরে মুগ্ধকর আলো। সে সাহস করে ভিতরে ঢুকল। রাজপ্রাসাদের ভিতরে ছিলো এক বিশাল বাগান। ফুলেরা রিমিকে দেখে হাসছে। এক সাদা রঙের প্রজাপতি এসে তার হাতে বসলো। প্রজাপতিটা বললো, "রিমি, তুমি তো আমাদের রাজ্যের রাণী। আমরা সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছি।
রিমি অবাক হলো। "আমার জন্য?" সে প্রশ্ন করলো। প্রজাপতিটা মাথা নেড়ে বললো, "হ্যাঁ, তুমি আমাদের রাজ্যের আলো। তুমি এলে আমাদের সবকিছু আরো সুন্দর হয়ে উঠবে।"
রিমি বাগানের মাঝখানে এক সুন্দর সিংহাসনে বসলো। তার চারপাশে ফুলেরা আনন্দে নাচতে লাগলো। প্রজাপতিটা তার পাশে বসে বললো, "এই জগৎ তোমার স্বপ্নের পথে। তুমি যেভাবে চাও, আমরা তেমনই হবো।" রিমির মন ভরে উঠলো আনন্দে। সে অনুভব করলো, স্বপ্ন সত্যিই সত্যি হতে পারে, যদি মন থেকে বিশ্বাস করা যায়। তার চোখে আলোর ঝিলিক উঠলো, আর সে জানলো, স্বপ্নের পথে হাঁটতে হলে সাহস আর বিশ্বাস দরকার।
ভোরের আলোতে রিমির ঘুম ভাঙলো। তার মুখে হাসি, মনে শান্তি। সে জানলো, তার স্বপ্নের পথ শুধু রাত্রের স্বপ্নে নয়, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেও সে সেই আলো পেতে পারে।
এইভাবেই রিমি আবার স্বপ্ন দেখতে লাগলো, স্বপ্নের পথে হাঁটতে লাগলো। তার প্রতিটি পদক্ষেপে স্বপ্নের জগৎ তার পাশে থাকলো, আর সে জানলো, স্বপ্নের পথেই তার জীবন মিশে আছে।