বাবা! কে বলে তুমি নেই,
এ ধরাধামে? চলে গেছ অভিমানে;
নিত্যদিনের নিয়ম মেনে,
সবার মতো স্বজন ছেড়ে,
ভিন দেশেতে অনেক দূরে।
নাই কি তোমার রক্তধারার?
এমন নয়ন, খুঁজে নেবার।
সত্যটাকে মিথ্যাজালের বেড়া থেকে,
আলোর রেণু, মুঠোয় নেয়া দক্ষ হাতে।
আছো তুমি চিরন্তনী,
কথা-কাজের বর্ণনাতে,
সমাজ সেবার দর্শণে।
সব হৃদয়ের মণিকোঠায়,
উচ্ছ্বসিত ভাবের ধারায়।
তোমার ফসল যেথা যবে,
প্রভূর হাতে সদা রবে,
যেমনি হতে চেয়েছিলে,
সব বাসনায় পূর্ন হবে।
বেঁচে আছো সত্য কথা,
নিত্য দিনে যাওয়া আসা,
সব হৃদয়ে আলো জ্বালা,
আঁধার যেনো মুঠোয় পুরে,
আলোয় আলোয় পূর্ণ করে।
অসীম শ্রমের মোতিমালা,
তোমার গড়া গ্রন্থশালা,
বাগে আতিক সব দেখে যাও,
ইচ্ছে মতো সুবাস ছড়াও।
প্রতিটি হৃদয় মন্দিরে,
সাধুবেশে আছো সাধনায়,
সমাজকে দেবে তুমি উপহার।
চায়তো মনোলোভা হীরে কণা,
অতীব প্রয়োজন, কারো অজানা।
কোন স্বপ্নে বিভোর ছিলে,
হে পিতঃ! আত্নবিস্মৃত হয়ে,
জীবনের পুরোটাই উৎসর্গ করে,
তিলে তিলে মহাসত্যের দিকে,
উপকরণ ছড়ালে দু'হাতে।
আপন প্রভূর মহিমায়,
ছিলে কৃতজ্ঞ জীবন ভর,
পঞ্চমুখ প্রশংসায় আজীবন,
জীবনতরীর মালিক মেনেছ,
সবার উপরে প্রভূরে রেখেছো।
স্বপ্ন তোমার হউক রূপায়ণ,
চায় যদি সে পরম আপন।
সফলতার সব খবরই তোমার কাছে,
যথাকালে সঠিকভাবে পৌঁছে যাবে।
তুমি আছো সদা,
চিন্তা ধারার তীব্র ধারায়,
আপন বেগে, নিত্য চলায়,
জীবন পথে ছন্দ দিতে,
পূর্ণতারই তৃষ্ণা পেতে।
বাবা, শত বর্ষ এমনি করে,
চলে যাবে, আপন বেগে,
তোমার দেয়া তোহফা গুলো,
নিত্য নতুন আলো দেবে।
০৭/০৫/২০০৬ ঈসায়ী সাল,
ফখরে বাঙ্গাল নিবাস,
ভূঁইয়া পারা, ভাদুঘর,
সদর, বি.বাড়ীয়া।