ভাঙা শীর্ণকায় ঘরটা থেকে বের হয় নিয়ামত।ভালোমতো জামাটা গায়ে জড়ায়।মলিন জামাটা আজকে ধোঁয়ার কারণে মলিনতা কিছুটা কমেছে।এভাবেই প্রতিনিয়ত মলিনতা বাড়ে আবার ধোঁয়ার পর পুরানা ভার্সনে যায়।এটাই পরিষ্কার নিয়ামতদের কাছে।বের হয়ে আজকে বাজারের মসজিদের ওয়াজে যাবে।মাইকের আওয়াজে ছোট মেয়েটাও বায়না ধরেছে যাবে।মেয়েটাকে মিথ্যা গল্প দিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে সে বের হয়।পকেটে হাত দিয়ে দেখে ত্রিশ টাকার মতো পড়ে আছে।এই টাকাটাই নিয়ামতদের কাছে একটা ভরসা।
ধীরে ধীরে ওয়াজের মাহফিলে আসে।দেখেশুনে একটা কোনে আঁটোসাটোঁ হয়ে বসে।প্রধান অতিথি ওয়াজ করছেন।গাম্ভীর্য দিয়ে শুরু করলেন,ধীরে ধীরে কণ্ঠে তেজ বাড়লো।গলা ফাটানো লোম দাঁড়িয়ে যাওয়ার মতো তেজ।প্রধান অতিথিরা এমনই হয়।শেষ পর্ব চলে আসে প্রধান অতিথির।এই পর্বে বরাবরই দর্শক নিয়ামত।টাকা কালেকশন।মসজিদের অনেক প্রয়োজন।এবার বোধহয় দোতলার কাজ আর টাইলসের জন্য কমিটি থেকে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।বড় বড় পরিমাণ আগে ডাকা হয়।হাত তুলেন যিনি তার জন্য নিয়ামতরা জোর গলায় তাকবীর দেয়।ধীরে ধীরে টাকার পরিমান কমে আসে।সমানতালে তেজ নামে তাকবীরেরও।নিয়ামত শিরনির অপেক্ষা করতে থাকে।