হাজী গ্রামে এক অবুঝ জন্ম নিলো ।বড় হইতে হইতে তার অবুঝ আর সবুঝে রুপা ন্তর হওয়ার
লক্ষণ দেখা দিলোনা !
অবুঝ দেখে তার গ্রামটা ।হাজী গ্রামের প্রায় সবার নামে আলহাজ্ব দেখে ।মহল্লার বয়োজ্যেষ্ঠ
দাড়িওয়ালা পুরোদস্তুর হাজিত্ব বজায় রাখা মকবুল তারে বলে ,
'বাবা বহু হজ্ব করলাম,এতোবার মক্কায় গেলাম তবু মক্কা দেখার সাধ মেঠে না ।খোদার ঘর।
ইসলামের সব নিদর্শন সেখানে ।খোদাকে খুব কাছে মনে হয় সেখানে গেলে ।যেনো খোদা আমার সামনে উপস্থিত, এই অনুভূতির কোনো জবাব নাই।তুমি ও যাবা একদিন।এই গ্রামের প্রায় সবাই গেছে ।'
অবুঝ শুনে , তাদের পাশে বসে যেনো মক্কার ঘ্রাণ শুকতে চায়!
প্রত্যেকের বাড়ি ঘর যেনো প্রাচুর্য, শান্তিতে ভরপুর।ওরা বলে এইগুলা আল্লাহর দান।
অবুঝ একদিন আনমনে চলতে গিয়ে গণ্ডি পেরোয়।এক বাড়ি চোখে পড়ে । এই গ্রামের মধ্যে এই বাড়িটা যেনো মানানসই না ।অবুঝ ভেতরে ঢুকে ।জীর্ণশীর্ণ ঘর আর তেমনি তার মানুষজন।
ভেতরে জন্মের হাহাকার লাগানো ।কয়েকটা বাচ্চা নোংরা গায়ে তারপানে তাকিয়ে বসে আছে ।
ঘরের মালিক একটা চেয়ারে বসে ছিলো ।তাকে দেখে সেই চেয়ারটা এগিয়ে দিলো ,পরনের কাপড় দিয়ে মুছেও দিলো ।অনুরোধের কাতরতায় আঁখি দুইটা চকচক করে। সে বসে ।মহিলাটা হন্যে হয়ে আপ্যায়ন প্রচেষ্টা চালায়।পানির গ্লাসটা ও আরেকবার ভালো করে ধুয়ে দেয়।যেনো এই ঘরে কোনো কিছুই ধোঁয়া না !
এই দৈন্যদশা দেখে অবুঝ ভাবে এদের একি অবস্থা ! এরা কী খোদারে কয় না ?
খোদা কি এদের শোনেন না !নাকি খোদা রাগ করেছেন এরা খোদার ঘরে যাইতে পারে না বলে।মাথা গুলিয়ে আসে বহু চিন্তায়।গুটি গুটি পায়ে আনমনে বের হয়।খোদার উপর রাগ হয়।
খোদারে খুঁজতে মক্কা যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প করে ।
পেছন থেকে অস্পষ্ট আওয়াজ আসে ।
সমস্বরে পেছন থেকে একটা চিৎকার ভেসে উঠে ,"আমরাই খোদা "।