❝সেদিনের পর থেকে আজও চিন্তিত থাকে সুকান্ত। সে কোনোদিনও সেই স্মৃতি ভুলতে পারবেনা❞ রহস্য আর রহস্যময় মানুষ দু'টোই প্রকৃতির এক অভিনবত্বের অবকাশ। ঠিক এমনই এক রহস্যময় মানুষ বাতাস। নামটা যেমন হাস্যকর তার সাথে কাটানো সময় আরো বেশি রোমাঞ্চকর। সবচেয়ে বেশি রহস্যময় ছিলো সেই রাত। সে যেনো রহস্যের এক জলজ্যান্ত প্রমান। তার সাথে আমার দেখা যখন হয় তখন থেকেই রহস্য লাগে সব কিছুতে। আমি সুকান্ত সংবাদ পত্রিকার ফটোগ্রাফার। একটা বড়সর ছুটিতে দূরদেশে ঘুড়তে আসা হলো। রায়না নামে এক নদীর তীরে অবস্থিত উক্ত গ্রাম। সেখানেই প্রথম দেখা টা হলো। আমি নদী পার হবো। নাও'র অস্তিত্ব নেই চারিদিকে। মনে হয় এপারের লোকেদের ওপারে যাতায়াত খুবই কম তাই হয়তো নৌযান নেই। হঠাৎ লক্ষ করি কিশোর বয়সী এক ছেলে কলাগাছ কাটছে। তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা যায় এইদিকে নৌকা পাওয়া যাবে কিনা আমি ডাকলাম- "এই ছেলে একটু শোনো" কোনো সায় পেলাম না। এভাবে করে তিনবার ডাক দিলাম পরে আমি এগিয়ে গেলাম যাওয়ার পর চমকে উঠলাম! সে উলটো আমায় দা ধরিয়ে দিয়ে বলছে " কলাগাছ কাটা শেষ আপনে লম্বা মানুষ ঐ বাসগাছের থিকা কয়ডা ডাল কাইটা দেন ভেলা বানাই।" ভেলা বানাবে শুনে আমিও আর কিছু না বলে ডাল কাটার কাজে লেগে পরলাম আমারই তো লাভ বিনে খাটুনিতে বিনে চিন্তায় নদি পার হবো। নাহলে হয়তো পুরো রাস্তা ঘুরে যাওয়া লাগতো। তারাহুরো করে ডাল কেটে এনে দিলাম। আমি একটু ইতস্ততবোধ করলাম এইটুকু ভেলায় দুজোন যাবো ভেলা নরচর করে পড়ে যদি যাই অথবা ভিজে যদি যাই এই ভেবে। ছেলেটা বললো "ভাই ডাবল কলাগাছ দিয়া উপরে পাটাতন দিয়া বানাইছি লন ওফার যাই, আফনে যাইবেন না?" "এগুলোতে উঠে ভিজে ভিজে যাবো তার চেয়ে বরং অপেক্ষা করি দেখি নাও পাই নাকি" (ঠিক যে যেতে চাইছিনা এমনও নয় তবে কেমন যেনো ভয় ভয় লাগছে) "ভাই এ গাওয়ে আইজ আর নাও পাইবেন না, মতি ভাইর একখানাই নাও তাও উনি আইজ জাল বাইতে গেছে লন আমার লগে, এই ছাড়া গতি নাইগা" আমিও এতোসব না ভেবে ওর সাথেই চললাম। ভাদ্র মাস নীল আকাশ, মৃদু হাওয়া, মাঝনদী। খোলা আকাশ খোলা বাতাস। চারিদিক নীল সবুজে ভরপুর। এযেনো এক স্বর্গীয় আনন্দ। ভেলা টা কিঞ্চিৎ দুলছে নেহাত মন্দ লাগছেনা। জীবনে এডভেঞ্চার অনেক প্রয়োজন। অনেক ধরনের এডভেঞ্চার পেলেও এধরণের আয়েশ দীর্ঘদিন হয়না। শহরে বন্দরে থাকি। কল্পনার ঘোরে চলে যাবো যাবো এমন সময়ে কিশোর ছেলেটা গানে টান দিলো- "ভাদ্দর মাসের আকাশ আমার সাদা মেঘের ভেলা" ভালোই গায়। "হঠাৎই জিজ্ঞাসা করলো ভাই যাইবেন কোনদিকে।" "তুমি বরং আমায় চড়ে নামিয়ে দাও সঙে তাবু রয়েছে। তাবু টাঙিয়ে থাকবো এ'গ্রাম ও'গ্রাম এভাবে "। "আমিও আপনের লগে থাকুম আমারো এমনে থাকোনের সখ. তাবু নাই দেইক্ষ্যা থাহি নাই" হঠাৎ এমন প্রস্তাব পেয়ে আমি কিঞ্চিৎ অবাক। নিতান্ত এক অজানা অচেনা লোকের সাথে থাকতে চাইছে। ওর যখন সখ আশেপাশে খোজ নিয়ে দেখা যাক যদি খবর ভালো হয় তো রাখতে আর কি আসে যায়। আমিও চড়ের পাশে এক চায়ের দোকানিকে ওর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলাম,! বিস্তারিত জেনে নিশ্চিত হলাম ছেলেটা অনেক কাজের বটে। আমি ইচ্ছা জানালাম যেখানে থাকবো যেনো বন্য পশু দু'একটা থাকে আর অল্পস্বল্প শেয়ালের আওয়াজ শুনে যেনো রাতে আরামে ঘুমুনো যায়। যেই কথা সেই কাজ চড়ে না গিয়ে ছোট্ট একটা জঙ্গলে তাবু গারলাম। জঙ্গল ঘেঁষে বয়ে গেছে নদির কিছু অংশ। এখানে রাতে জমজমাট মজা হবে সাথে ছেলেটার সুন্দর কন্ঠের গান আহা কি সুন্দর অনুভুতি ভাবতেই মন নাচুনি দিয়ে উঠছে। সন্ধ্যা হলো! কিচিরমিচির শব্দে কান ভেসে যাচ্ছে। চারিদিকটা কেমন যেনো নিস্তব্ধতা ঘিরে নিচ্ছে। "প্রকৃতির এই নিরবতা যায়গায় রবিঠাকুর আসলে হয়তো দু'লাইন কবিতা আবৃত্তি করে ফেলতেন। আফসোস রবিঠাকুর জীবিত নেই" রবিঠাকুর করতেন কিনা জানিনা আমি কখন যে বিরবির করে আবৃত্তি শুরু করে দিলাম নিজের অজান্তেই। সুন্দর হে প্রকৃতি সুন্দর তুমি। তুমি সুন্দরিতমা, তোমার তরে সপেছি নিজেকে, স্বপেছি দু'জনা। কথাটা কি দু'জনা হবে নাকি জনে ভাবছি আনমনে। সে যাকগে কবিতার ছন্দ মেলাতে পল্লিভাষার গুরুত্তটা অতুলনীয়। এই সাতপাচ ভাবতে ভাবতে হঠাৎ ডাক পড়লো শুখকান্ত ভাই শুখকান্ত ভাই। কে হতে পারে এই নির্জন এলাকায় আমার খোজে?- ও হ্যা সেই তো ছেলেটাকে আমিই পাঠালাম দিয়াশলাই, চা, দুধ, চিনি, লবন নিয়ে আসতে। "আচ্ছা নাম কি তোমার? " "বাপে রাখছে বসন্ত মায় রাখছে বাতাস। তয় মার নামডাই সুন্দর লাগছে এইলইজ্ঞা এইডাই পরিচয় দেই" "কেনো তোমার হঠাৎ এমন মনে হচ্ছে কেনো? বসন্ত নামটাই তো বেশি সুন্দর তাইনা?" বাতাস দিয়াশলাইয়ের কাঠি ধরাতে ধরাতে উত্তর দিলো" তয় ভাই যাই কন না কেন মার ভালোবাসার ধারে সুন্দর নামের কোনো মুল্য নাই হেই ছোটকালে মায় আমারে রাইক্ষা গেছে কি সুন্দর স্নেহ লাগাইয়া ডাক দিতো বাবা বাতাস হেই স্মৃতি মনে থাকবো আজীবন " "আমার মাঝে মাঝে মনে হয় বুঝলেন সুখকান্ত স্যার"। এখান টাতে আমি ওকে থামিয়ে দিলাম। "শোনো হে ভাই আমার নাম সুখকান্ত নয় সুকান্ত। আর আমায় স্যার ডেকোনা ভাই বললেই হবে" "আইচ্ছা ভাই আপনেও আমার নাম নিয়াই ডাইক্কেন আর তুই কইরা বইলেন আপনে আমার বড় ভাইর মতো। " "হাহ " ছেলেটা বেশ কয়েকবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারো বলতে শুরু করলো " আমার মনে হয় এই দুইন্নার সব চাইতে ভালা মানুষ আমার আম্মা ছিলো উনারে আল্লাহ বেহেস্ত দিক এই দোয়া করি সবসময়ে" এপর্যায়ে একটা দমকা হাওয়া বয়ে গেলো, বাতাসের কারণে আমাদের জালানো আগুন নিভে গেলো। "দেখলেন ভাই আল্লাহ সারা দিছে" আমি ওর একথায় ঠিক তেমন একটা পাত্তা না দিয়ে দিয়াশলাই টা নিয়ে আগুন ধরাতে যাবো এমন সময়ে মনে হলো শুধু কাঠ এমুহূর্তে বেশিক্ষন জ্বলবেনা বাইরে ভালোই বাতাস বয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী হওয়ায়। আমি ব্যাগ থেকে একটু কেরোসিন ঢেলে আগুনটা জ্বালিয়ে দিলাম। 'ভাই আপনে আত্মা বিশ্বাস করেন?' 'নাহ এগুলো নাটক সিনেমাতেই হয় বাস্তবে আত্মা বলতে কিছু হয়না' 'হয় ভাই আমার মায়েরে একটা পেত্নি আছর করছিলো এরপর মা আর সাভাবিক আছিলোনা। কাচা মাছ খাইতো' 'বাতাস' আমি ওকে থামিয়ে দিয়ে বললাম। আমার ধারণা তুই তোর আম্মুর চিকিৎসা করাতে পারিসনি। ওনার মানসিক সমস্যা হয়েছিলো সাইকোলজির ভাষায় এটাকে মেন্টাল ডিসওর্ডার বলে প্রপার ট্রিটমেন্ট হলে সুস্থ হয়ে যেতো কিন্তু কি আর করার গ্রামের সহজ সরল মানুষ ভুত পেত ভেবে কি অত্যাচারই না করেছে হয়তো' এ পর্যায়ে বাতাসের চোখের কোনে পানি দেখে আর কিছু বললাম না আমি। ও একটু পর বিরবির করে বললো' আমার মামা বলছিলো এই পিশাচ নাকি আমার ১৭ বছর যেদিন পূরন হইবো সেদিন আমারে মাইরা ফেলবে এর পিছনে নাকি বংশগত কাহিনি রয়েছে' 'আরে ধুর বোকা এসবই ভ্রান্ত ধারণা আচ্ছা বল তোর এখন বয়স কতো বল আমি লাগলে তোর ১৭ বছরের দিন এই গ্রামে আবার এসে তোদের ভুল ধারণা ভেঙে দিয়ে যাবো যা প্রমিস করলাম ' 'আমার বয়স এহন কতো উমমমমমমম! হইবো কিছু একটা এহন আর ডরাই না সইয়া গেছে সতেরো হইলে দেখা যাইবোনে' 'ভাই গান হুনবেন?' "গাবি নাকি? আয় গানের আসর বানাই।" আমি ব্যাগ থেকে দোতারা টা বের করে বাজাতে লাগলাম। আমার প্রিও গান "কোকিল ডাকিস নারে আর সুখ বসন্ত সুখের কালে "আহ কি সুন্দর সুরের প্রতিভা বাতাস ছেলেটার। চা বসালাম বসিয়ে দুজন পরিবেশ দেখছি। ইতিমধ্যে জঙলে একটা মুরগি দেখলাম বাতাস বললো' ভাই আসেন শেয়ালের পেটে না দিয়া আমরাই খাই' ওর সাথে এই কয় ঘন্টা থেকে আমিও ওর মতো কিশোরদের মতো আচরণ করছি, আমিও বললাম চল মালটাকে সাবার করে দেই। আমার ব্যাগে এ জাতিয় মশলা থাকেনা তবে ট্যুরের কথা ভেবে চাপাতা চিনি না কিনে এগুলো আগে থেকে ব্যাগ ভর্তি করে রেখেছিলাম। মুরগী টাকে গ্রীল করে দুজনে সাবার করে দিলাম। ততক্ষনে চা হয়ে গেছে। জোৎস্না রাত এতক্ষন চোখে চাঁদের আলো পড়েনি হঠাৎ দেখি গাছের ফাক দিয়ে জোৎস্না উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। এ-যেনো অন্ধকার প্রকৃতির মাঝে চাঁদের সঙে প্রেম। আরেকটু সরে গিয়ে নদির পানিতে পা দিয়ে বসলাম নদির পানি বেশ বেরেছে জোয়ারে হবে হয়তো। হাতে চায়ের পেয়ালা আকাশে জোৎস্না সাথে শ্রুতিমধুর কন্ঠে গান আহাহাহাহা। কি অনুভুতি। এবার সে আবার গান ধরলো সাথে আমিও গাইলাম ও কারিগর দয়ার সাগর ওগো দয়াময়, চান্নি পসার রাইতে যেনো আমার মরণ হয়, চান্নি পসার রাইতে যেনো আমার মরণ হয়। রাত তখন অনেক গভীর, দুজনে তাবুর মধ্যে। হঠাৎই বাতাস বললো 'ভাই আজকের রাতটা আমার জন্য সারাজীবন স্বরনীয় থাকবে চির স্বরনীয়।' গল্প করছিলাম দুজনে গল্পের ফাকে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম টের পেলাম না। ঘুম ভাঙলো হঠাৎ পাসের বালিসে হাত পড়াতে, পাশে তাকিয়ে দেখি বাতাস নেই। বাইরে বের হলাম হয়তো ইমার্জেন্সি কেইসে গিয়েছে । তাবু খুলে বের হতেই দেখি পায়ের সামনে বাতাসের জুতো পরে আছে। ছেলেটা কি তারাহুরোয় থাকে পায়ে জুতা না দিয়ে খালি পায়েই গেছে। খুজতে বের হলাম। কিছুটা বামে যেতেই দেখি মাটির সাথে কাউকে টেনে হেছে নিয়ে গেলে যেমন দাগ হয় তেমন দাগ হয়ে আছে। আমি আৎকে উঠলাম!!! কি হলো এমন তো হবার কথা না!! আমি সঙে সঙে ছবি তুলে নিলাম। সাবধানতার সাথে এগুচ্ছি। এরপর যা দেখলাম আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। এটা কি সম্ভব ছিলো?। আমিও তো ছিলাম আমার সাথে কেনো হলোনা? শুধু শুধু অবলা ছেলেটার সাথেই হতে হলো? দেখি মাটির ভিতর অর্ধেক শরির ঢোকানো আর হাতগুলো ছিন্নবিন্ন হয়ে হয়ে পড়ে আছে, পাশেই এক অবয়ব টাইপ কিছু আবছা দেখলাম কেমন কেন এক ঘোর কাজ করছে। সব আবছা দেখছি। কেমন যেনো সব ঘুরছে। আমার শরির থরথর করে কাপছে। আমি কি স্বপ্ন দেখছি? এগুলো কি কল্পনা? আমার হেলোসিনেশন হচ্ছে। ইলিউশন আমায় ঘিরে নিচ্ছে। হঠাৎই মনে হলো আমি জ্ঞান হাড়াচ্ছি। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। পড়ে জ্ঞান যখন ফিরলো দেখি আমি ঢাকায় আমার নিজ বাসার বেডে শুয়ে আছি পাসেই মেঝেতে তাবু পড়ে আছে ঠিক যেভাবে জঙ্গলে রেখেছিলাম। তাবুতে এখনো মাটি আমার ঘড়ের দরজা ভেতর দিয়ে লক এর মানে এমন হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই যে কেউ আমায় বাড়ি পৌছে দিয়ে গেছে। তবে তবে কি স্বপ্ন ছিলো? স্বপ্ন হলে তাবুতে মাটি এলো কিভাবে?? ভেবে পাচ্ছিলাম না কিভাবে কি হয়ে গেলো? মাথায় বুদ্ধি এলো ক্যামেরা টা বের করে দেখি ছবি তুলে রেখেছিলাম। যদি স্বপ্ন দেখি তো ক্যামেরা তো ফাকা থাকবে ক্যামেরা চেক করার পর আমি আবারো থরথর করে কাপতে লাগলাম। এখানে সেই ছবি এখনো রয়েছে। কি হচ্ছে বুঝে উঠতে পারলাম না। আবারো সেন্সলেস হয়ে গেলাম। ঘটনার বহুদিন পরে আমার মনে প্রশ্ন জাগলো। ছেলেটি আমায় হলেছিলো বয়স ১৭ যেদিন হবে কি যেনো একটা এরকম বলেছিলো ওকে কে মেরে ফেলবে সেটাই কি ঐদিন ছিলো! এরপর চিন্তায় আমি দিনদিন অসুস্থ হতে থাকি। একপর্যায়ে কাঠের মতো চিকন হয়ে যাই। কানের কাছে শুধু ঐ বাতাস ছেলেটার কন্ঠের গান বাজে। কোকিল ডাকিস নারে আর। আরে কি হচ্ছে এসব। আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি? মাথায় গোলমাল হচ্ছে। সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাই এরপর বিভিন্ন চিকিৎসার ৬ মাস পর সুস্থ হই। এখন আর সমস্যা গুলো হয়না। তবে খুব ইচ্ছে যাগে সেই যায়গায় গিয়ে দেখে আসতে। আসলে কি সবটা কল্পনা ছিলো?? না বাস্তব। হয়তো যাওয়া হবে কোনো একদিন। তবে স্মৃতি টা মর্মান্তিক ছিলো। আসলেই রহস্যময় রাত ছিলো সেই রাতটি। এই রহস্য উদঘাটন করতে হলে আমায় সেই গ্রামে আবার যেতে হবেই হবে। রহস্য আর মায়া এই দুই জিনিস পৃথিবীতে সকল জিনিসের চেয়ে বেশি ভাবায় বেশি কষ্ট দেয় বেশি চিন্তা করায়। যেমন এ রহস্য উদঘাটন না করা পর্যন্ত এটা আমায় কষ্ট দিয়ে যাবে। উদঘাটন হবে। উদঘাটন হবে। উদঘাটন হবে। আমায় করতেই হবে।