মানুষ ভুল মানুষের জন্য অনুভূতি পুষে রাখে।
তারপর কারণে অকারণে কষ্ট পায়।
পাগলামো করে, যত্ন করে কাঁদে।
কান্না,পাগলামোতে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে
বেঁচে থাকবার বলয়টা যখন
ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসে,
তখন হন্যে হয়ে বাঁচার একটা কারণ খোঁজে।
একটা নির্ভরতার হাত খোঁজে,
মাথা রাখবার একটা কাঁধ খোঁজে,
খুব জড়িয়ে কান্না করবার
নিজের একটা মানুষ খোঁজে।
কিন্তু নির্ভরতার সেই হাত,
মাথা রাখবার সেই কাঁধ,
জড়িয়ে ধরে কান্না করা বুক,
কোনটিরই দেখা মেলে না।
তবুও মানুষ আশায় বেঁচে থাকে।
সঠিক মানুষটি খুঁজে পেতে পেতে
অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়।
কারো কারো লেগে যায় গোটা একটা জীবন!
তখন আর অনুভূতিই থাকে না, ফুরিয়ে যায়।
তাকিয়ে দেখে, ভুল মানুষের পেছনে
খরচ করে বসে আছে সব!
বুকের ভিতর যেখানে হৃদয় থাকে–
সেই হৃদয় জুড়ে তখন কেবল হাহাকার কথা বলে।
অনুভূতির ঘরভর্তি শূন্যতা!
সেই শূন্যতা প্রকাশের ভাষা থাকে না।
মাঝে মাঝে নিঃশ্বাসের সাথে কিছু শূন্যতা
দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসে।
ভারি করে তোলে পৃথিবীর পরিবেশ।
তবুও আপনি দেখবেন,
দেখা হলেই তারা কীভাবে হাসে,
জিজ্ঞেস করলেই বলে; এইতো আছি বেশ!