- পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে মা-বাবা ভাই বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের পছন্দে গত ২১/০৬/২০২২ ইং তারিখে নাদিয়া সুলতানা রেশমির সাথে আমার বিবাহ হয়, দীর্ঘদিন সংসার জীবনে মহান আল্লাহ আমাকে একটি মেয়ে দান করেছেন, একে অপরের বোঝাপড়া ছিল খুবই মজবুত,একে অপরের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল খুব ভালো, আমার জানা মতে বিন্দু
- পরিমাণ মন খারাপ কখনো হয়নি, বিয়ের আগে থেকে আমি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করতাম, আমার মাসিক স্যালারি ছিল ২৫ হাজার টাকা মত, বিয়ের পরে আমি আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম যে, আমার স্ত্রীর চাহিদা ছিল অনেক, উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ও বিলাসিতা জীবন যাপন তার পছন্দ, আমি মধ্য আয়েৱ মানুষ আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তার চাহিদার পূরণের চেষ্টা করেছি, তার চাহিদা
- পূরণ করতে গিয়ে অনেক নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক খারাপ করেছি, তার বিলাসী জীবন যাপনের খরচ মিটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলাম। মা-বাবা ও শ্বশুর- শ্বাশুড়ি ও স্ত্রী রেশমির
- পরামর্শে আমার ছোট্ট মেয়েটিকে দেশে একা রেখে দুবাই প্রবাস জীবনে পা দিলাম, দুবাই আসার তিন মাস না যেতেই, আজ খবর শুনলাম যে আমার ছোট্ট মেয়েও স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।শ্বশুর বাড়ি ও আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশীদের বাড়ি অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুনলাম, তাঁর কাছে রাখা আমার মা ও ভাবীর সাত ভরির অধিক স্বর্ণ, বাবা ও বড় ভাইয়ের জমানো টাকা, আলমারী থেকে
- নগদ তিন লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ও আমি দুবাই থেকে গত পরশুদিন ৯০ হাজার টাকা পাঠাই, সেই টাকা সাথে নিয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী একই ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের পশু ডাক্তার
- আবু তাহের এর ছেলে আমজাদের সাথে পালিয়ে যায়, কাউকে কিছু বলতেও পারলাম না আবার সহ্য ও করতে পারছি না। শ্বশুর, মা বাবার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ফোনে আলাপ করলাম,
- সবাই প্রশাসনের সহযোগিতা চাইতে পরামর্শ দিলেন, তারপর প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আমার বড় ভাই ৯৯৯ ফোন করল, বাবা ও শ্বশুর আমার পক্ষ হয়ে উখিয়া থানায় অভিযোগ করল,
- আমার মেয়ে কোথায় আছে, কিভাবে আছে এখনো পর্যন্ত কোন খোঁজ খবর পাইনি, এমতাবস্থায় প্রবাসী জীবনে কিভাবে ভালো থাকি?
- আমি প্রশাসন ও আমাদের জনপ্রতিনিধি ও আমার এলাকার ভাই-বোনদের, বন্ধু বান্ধবদের সহযোগিতা কামনা করছি, আমি শুধু আমার মেয়েকে ফেরত চাই, এটা এক প্রবাসী ভাইয়ের জীবন
- কাহিনী।
74
View