সরকারি চাকরির বয়স ৩০ নাকি ৩৫ হবে এটা নিয়ে ও বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে দন্ধ।দেশের কিছু সাধারন বুদ্ধিজীবিরা বলছে ৩৫ হলে ভাল হবে না ৩০ হলেই ভাল হবে।এখন আসল কথায় আসি ৩৫ বয়সের পক্ষে সাফাই গাইছে তারা,যারা চাকরিতে ডুকে গেছে এবং সামনে প্রমোশনের জন্য অপেক্ষা করতেছে।আর ৩০ এর পক্ষেই তো বুঝতেছেন কারা। ৩০ দিয়ে হবে কিভাবে একজন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট স্নাতকোত্তর শেষ করতে করতে চাকরির বয়স চলে যায়।এখন সে কবে পড়াশোনা শেষ করবে? কবে চাকরির পিছনে ছুটবে? কবে বিয়েসাদী করবে? অই স্বার্থপর মানুষরাই নিজেরটা চিন্তা অন্যেরটা না।আপনি যে ৩৫ এর বিপক্ষে, ৩৫ করলেই আপনার সমস্যাটা কোথায়?চাকরিতো আর আপনার সুন্দর মুখটা দেখে দিবেনা তাইনা।আপনার যোগ্যতা দেখেই তো দিবে। একসময় এমন একটা সময় ছিল যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাটার করতো।এখন আর বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাটার করেনা।এখন সিজিপিএ ম্যাটার করে।আবার এমন একটা সময় চলে আসবে সিজিপিএ ও ম্যাটার করবে না অনলি অভিজ্ঞতা ম্যাটার করবে।কথাটা হাসি দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারেন এটাই কিন্তু বাস্তব।সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি ও বদলায়।৩০ পক্ষে ব্যক্তিরা যুক্তি দিতে পারেন যার "১২ তে গজায় না তার ৫২ তে ও গজাবে না"।তা কিন্তু ঠিক তবে ৩৫ বছর বয়স করলে অবশ্যই বেকারত্ব কমবে, হতাশা, পেরেশানিও কমবে।দাঁড়ান আরেকটা তথ্য শেয়ার করি।শ্রীলঙ্কা,ইন্দোনেশিয়ায় ও ভারতে সরকারি চাকরিতে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর।চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ালে যদি বেকারত্ব বেড়ে যেত তাহলে এখনকার উন্নত দেশগুলো এটি করত না। মানুষ এতই পাগল না যে সরকারি চাকরির জন্য লাগাতার ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত বসে থাকবে। বয়স ৩০ বছর পর্যন্ত হওয়ার কারণেই সকলে একরকম অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে যা কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না। এজন্য চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
স্লোগান হোক "৩০ কে না বলুন, ৩৫ কে হা বলুন"
ভুল হলে ক্ষমা করবেন।ধন্যবাদ।