বাংলায় ফের বার্ড ফ্লু-র প্রকোপ, আক্রান্ত শিশুরা সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও বার্ড ফ্লু-র প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এই মারাত্মক ভাইরাস জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এবং বিশেষ করে শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, এই ভাইরাসটি H5N1 ভাইরাস হিসেবে পরিচিত এবং এটি সাধারণত পাখির মাধ্যমে ছড়ায়।
পরিস্থিতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যে বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ ঘটেছে। বহু পোল্ট্রি ফার্মে পাখির মৃত্যু ঘটছে এবং এসব অঞ্চল থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত অঞ্চলে সতর্কতা জারি করেছে এবং পাখির মাংস ও ডিম সঠিকভাবে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
শিশুরা বেশি আক্রান্ত এইবারের বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। বেশ কিছু শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তারা সহজেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।
সতর্কতা এবং প্রতিরোধ
সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এই রোগের বিস্তার রোধ করতে। আক্রান্ত পাখিদের ধ্বংস করা হচ্ছে এবং পোল্ট্রি ফার্মগুলিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সচেতনতা বাড়াতে জনসাধারণকে বার্ড ফ্লু সম্পর্কিত তথ্য জানানো হচ্ছে।
- **পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:** ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরিধান করা উচিত।
- **পাখির সংস্পর্শ এড়ানো:** পাখির মাংস ও ডিম সঠিকভাবে রান্না করে খাওয়া এবং যেকোনো অসুস্থ পাখির সংস্পর্শ এড়ানো উচিত।
- **চিকিৎসা:** কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
উপসর্গ বার্ড ফ্লু-র সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট। শিশুরা বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সরকারের পদক্ষেপ রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগ বার্ড ফ্লু মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে। পোল্ট্রি ফার্মগুলোতে নিয়মিত পরীক্ষা, আক্রান্ত এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বার্ড ফ্লু-র এই নতুন প্রাদুর্ভাব সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সঠিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং সচেতন থাকলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব।