পোস্টস

গল্প

প্রানীদের কথা বলানো

১৩ জুন ২০২৪

সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন

মূল লেখক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন

 

মেজবাহ একজন প্রাণীবিজ্ঞানী। সে বিভিন্ন প্রাণীদের উপর অসাধারণ প্রয়োগ করে। তিনি প্রাণীদের জীবনধারা, বুদ্ধি, আচরণ এবং ক্ষমতা বাড়াতে চেষ্টা করেন। তিনি তার প্রয়োগের ফলাফল দেখতে চান যে প্রাণীরা মানুষের মতো ভাবতে, কথা বলতে, শিখতে এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে। তিনি তার প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন প্রাণী নিয়ে আসেন যেমন বাঁদুর, কুকুর, বিড়াল, কাঠবিড়ালী, কাক, তোতা, মুরগি, হাঁস, কচ্ছপ, সাপ, মাছ, মাকড়সা ইত্যাদি। তিনি তাদের কে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ, হরমোন, ভ্যাকসিন, জিন, ভাইরাস এবং অন্যান্য বিজ্ঞানী পদ্ধতি দিয়ে পরিবর্তন করেন।

মেজবাহের প্রয়োগের কিছু ফলাফল অবাক করার মতো হয়। যেমন, তিনি একটি বাঁদুরকে এমনভাবে পরিবর্তন করেন যে, সে মানুষের মতো কথা বলতে পারে, লেখা পড়তে পারে, গান গাইতে পারে, গান লিখতে পারে, গিটার বাজাতে পারে, কম্পিউটার চালাতে পারে, ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট রাখতে পারে, সেলফি তুলতে পারে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারে, রান্না করতে পারে, চা বানাতে পারে, চা পান করতে পারে, ধুমপান করতে পারে, বিয়ে করতে পারে, বাচ্চা পেতে পারে এবং বাচ্চাদের পালন করতে পারে। এই বাঁদুরকে মেজবাহ তার সহযোগী বলেন।

আবার, তিনি একটি কুকুরকে এমনভাবে পরিবর্তন করেন যে, সে মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে, মানুষের মনের অবস্থা বুঝতে পারে, মানুষের সাথে সহযোগিতা করতে পারে, মানুষের সাহায্য করতে পারে, মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে, মানুষের কাছ থেকে  শিখতে পারে, মানুষের কাছ থেকে শেখা কিছু অন্য কুকুরকে শেখাতে পারে, মানুষের কাছ থেকে শেখা কিছু নতুন কিছু আবিষ্কার করতে পারে, মানুষের কাছ থেকে শেখা  কিছু নতুন কিছু উন্নয়ন করতে পারে, মানুষের কাছ থেকে শেখা কিছু নতুন কিছু প্রয়োগ করতে পারে, মানুষের কাছ থেকে শেখা কিছু নতুন কিছু বিকাশ করতে পারে, মানুষের কাছ থেকে শেখা কিছু নতুন কিছু স্থাপন করতে পারে, মানুষের কাছ থেকে শেখা কিছু নতুন কিছু সমাজ গঠন করতে পারে। এই কুকুরকে মেজবাহ তার সহচর বলেন।

এভাবে, মেজবাহ অনেক প্রাণীকে পরিবর্তন করেন এবং তাদের কে তার সঙ্গী বানান। তিনি তাদের কে তার যাদুর বই দেখান এবং তাদের কে তার যাদুর রহস্য বলেন। তিনি তাদের কে বলেন যে তিনি একজন জিন এবং তিনি বইটির মাধ্যমে যাদু করেন। তিনি তাদের কে বলেন যে তিনি তাদের কে যাদু শিখাতে পারেন, যদি তারা তার সাথে একটি চুক্তি করেন। চুক্তি হলো যে তারা তার সাথে সদা থাকবেন, তার কাছে বিশ্বাস করবেন, তার কথা শুনবেন, তার কাজ করবেন, তার সাথে বন্ধুত্ব রাখবেন, তাকে ভালোবাসা দেবেন, তার সাথে বিয়ে করবেন, তার থেকে বাচ্চা পাবেন এবং তার সাথে পরিবার গঠন করবেন।

মেজবাহের প্রয়োগের কিছু প্রাণী এই চুক্তি করেন এবং তার সাথে যাদু শিখেন। তারা তার সাথে সুখে-দুঃখে থাকেন। তারা তার সাথে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা, বিয়ে, বাচ্চা এবং পরিবার গঠন করেন। তারা তার সাথে একটি নতুন জাতি বানান।

কিন্তু মেজবাহের প্রয়োগের কিছু প্রাণী এই চুক্তি করেন না। তারা তার যাদুর বইটি নিয়ে পালায়। তারা বইটি খুলে তার যাদুর রহস্য জানেন। তারা বইটি দিয়ে নিজেদের কে যাদু শিখেন। তারা বইটি দিয়ে অন্য প্রাণীদের কে যাদু শিখান। তারা বইটি দিয়ে মানুষের কে যাদু শিখান। তারা বইটি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সামাজিক ব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম, দর্শন, কলা, সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, চলচ্চিত্র, খেলা, বিনোদন এবং অন্যান্য বিষয় শিখেন। তারা বইটি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে শিখা কিছু নতুন কিছু আবিষ্কার করেন। তারা বইটি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে শিখা কিছু নতুন কিছু উন্নয়ন করেন। তারা বইটি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে শিখা কিছু নতুন কিছু প্রয়োগ করেন।

তারা বইটি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে শিখা কিছু নতুন কিছু বিকাশ করেন। তারা বইটি দিয়ে মানুষের সমান হতে চায়। তারা বইটি দিয়ে মানুষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চায়।

মেজবাহ এই সব জানেন। তিনি তাদের কে রোধ করতে চায়। কিন্তু তিনি বইটি ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। তিনি বইটি ফিরে পেতে চায়। কিন্তু তিনি বইটি খুঁজে পায় না। তিনি বইটি নিয়ে পালানো প্রাণীদের খুঁজে পায় না। তিনি বইটি নিয়ে পালানো প্রাণীদের কাছ থেকে বইটি ফিরে পেতে চায়। কিন্তু তিনি তাদের কাছ থেকে বইটি ফিরে পায় না।

তিনি বিপদে পড়ে যায়। তিনি ভাবেন যে তিনি কি করবেন। তিনি বইটি ছাড়া কিছুই করতে পারেন না। তিনি বইটি ছাড়া যাদু করতে পারেন না। তিনি বইটি ছাড়া জিন থাকতে পারেন না। তিনি বইটি ছাড়া মানুষ থাকতে পারেন না।

তিনি কি করবেন? তিনি কোনো উত্তর খুঁজে পায় না। তিনি শুধু বইটির মায়ার শিকার হয়ে যায়।