আমি তোমার জন্য সব করতে পারব-আমি সাচ্চা আশিক। তুমি একবার বলেই দেখো।
- তাহলে সাদিয়ার সঙ্গে আর মিশবা না। ওকে আমার পছন্দ না!
: এইটা তুমি কী বলো? সাদিয়া আমার ছোটবেলার বন্ধু। সেই ছোটবেলা থেকেই আমার মা ওকে মেয়ের মতো দেখেন! তুমি ওর সঙ্গে আমাকে সন্দেহ করতে পারলে?
- আচ্ছা! সিগারেট ছেড়ে দাও। তোমার এই স্বভাবটা আমার পছন্দ না!
: এইটা তো পারব না! সিগারেট আমার একলা জীবনের সঙ্গী! তুমি তো সব সময় থাকো না, মাঝে মধ্যে ঝগড়াঝাটি করে কথা বলো না। তখন ওই সিগারেটই বন্ধুর মতো আমার পাশে থাকে, আমাকে সান্ত্বনা দেয়!
- ঠিক আছে, আমি যখন বলব তখন আমার জন্য ফুচকা নিয়ে হাজির হবা। হোক সে রাত বারোটা, একটা, দুটো! আমি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমার জানালার রেলিংয়ের ওপর ফুচকা ঝুলিয়ে রেখে যাবা।
: এটা তুমি কী বললা বলো তো! রাত বারোটা, একটা, দুইটা? ওই সময় ফুচকাওয়ালা কই পাব? ফুচকাওয়ালারাও তো মানুষ। তারাও তো সারা দিনের দীর্ঘ ক্লান্তির পর ঘুমাতে যায়।
- আমার জন্য না খেয়ে থাকতে হবে। আমি যখন খাব, তুমিও তখন খাবা!
: তুমি তো জানোই আমার অ্যাপেন্ডিসাইডের সমস্যা, সময় মতো না খেলে খুব প্রবলেম হয়। ইনফ্যাক্ট ডাক্তার আমাকে বলেছে কখনও খালি পেটে না থাকতে। তুমি তো আবার ডায়েট করো! তোমার সঙ্গে আমিও সমান তালে না খেয়ে থাকলে বাঁচব বলো?
- আমি যখন ডাকবো আমার বাড়ির জানালার নিচে যেন তোমাকে দেখতে পাই।
: এমন একটা অন্যায় আবদার তোমার থেকে আশা করিনি! ঢাকা শহরের অবস্থা তুমি জানো না? চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী! একজনের হাতে পড়লেও আমাকে ছুরি মেরে দেবে না?
আর টহল পুলিশের হাতে পড়লে তো কথাই নেই! তারা আমাকে ছিনতাইকারী হিসেবে ধরে নিয়ে যাবে। তারপর কম্বল পেঁচিয়ে পিটিয়ে মেরে পানির ট্যাংকির ভেতর ফেলে দেবে! আমি মরে গেলে কাকে ভালোবাসবা?
- ধূর ছাই! তাহলে তুমি করবাটা কী আমার জন্য? যাও ব্রেকআপ!
: না প্লিজ! আমি তোমার জন্য সব করতে পারব! সব! তুমি একবার বলেই দেখো!
- ওই দশ তলায় উঠে ঝাঁপ দাও তাহলে!
: রিয়েলি! ইউ মিন ইট? ঝাঁপ আমি কিন্তু সত্যি সত্যি দেবো! তুমি ফাজলামি ভাইবো না!
- হ্যাঁ যাও, ঝাঁপ দাও।
: তোমার জন্য ঝাঁপ দিয়ে আমি হয়তো মরতেও পারবো কিন্তু আমার বাবা-মা? আমি তাদের একমাত্র ছেলে! আমাকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন, আশা। আমি তাদের কষ্ট দিই কীভাবে?
- ধূর! চোখের সামনে থেকে যাবা?
: আশ্চর্য! রাগছো কেন? তোমার জন্য আমি সব করতে পারি, একবার বলেই দেখো!