হঠাৎ করেই হাত থেকে চায়ের কাপটা পড়ে যায় আশফাকের।ফোনে কি যেন একটা নিউজ শুনে হতভম্ব হয়ে যায় আশফাক। মাথা ঝিম ধরে আসে। আশফাক মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। সদ্য ভার্সিটি পাশ করে চাকরির চেস্টা করছে। আর চাকরি না পেয়ে প্রতেকদিন তো বাবা মার কথা হজম করতেই হচ্ছে। আশফাকের বাবা একজন সরকারি চাকুরিজীবী। আশফাকরা এক ভাই এক বোন। ছোট বোনটি কলেজে পড়ে ২য় বর্ষে। অনেক আদরের ছোট বোন। ভাইয়ার ও গ্রেট ফ্যান তার ছোট বোন। অনেকবার মা বাবার বকার হাত থেকেও বাচিয়েছে ভাইয়াকে। তাই কাছের বন্ধু বলতে একমাত্র বোনটিই বেশি নির্ভরযোগ্য। ও এত আদরের ছোট বোনটির নাম ই বলা হয় নি। তার নাম মাইশা। আশফাক আদর করে পান্তা বুড়ি ডাকে।
সেদিন ছিল ২২.০৫.২০১৪। মাইশা কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল রিকশায় করে।পিছন থেকে হুট করেই একটি মাইক্রো বাস এসে মাইশার পথ রোধ করে এবং তাকে মাইক্রোবাস এ তুলে নিয়ে যায়। আর তারপরেই চলে মাইক্রোবাস এ থাকা কিছু নরপিশাচের পাশবিক অত্যাচার। তারপর মাইশাকে ফেলে রেখে যায় কোন এক অন্ধকার রাস্তায়।
এইভাবেই প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হচ্ছে আমাদের কারো আপন বোন কার মেয়ে কারো মা। ঐক্যবদ্ধ হই। রুখে দাড়াই ধর্ষনের বিরুদ্ধে।
এ সমাজ বদলাতে চাই বদলাতে হবে। নস্ট মানুষ গুলো কে এ সমাজ থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।