গাছহীন পৃথিবীতে কোত্থেকে এলো এত বিচিত্র প্রজাতির ওরাং ওটাং?
হোমো সাপিয়েন্স বলে আদৌ কি কিছু ছিল? কবে ছিল ভুলে গিয়েছি তা‘
হালাকুর হাত ছুঁয়ে নির্জীব চাবুকেরা ডেকে ওঠে সপাং সপাং
শিল্প সৃষ্টি করা এইখানে অপরাধ, কবিতা পড়াটা নাৎসিতা!
অথচ আমার আছে অসুস্থ পক্ষপাত কবি আর কবিতার প্রতি,
পুষ্ট পঙক্তিমালা প্রতিদিন অভ্যাসে মানু্ষের মাংসের দোকানে ঢোকেন!
নিঃশ্বাসে নিভিয়েছি নিজের ভেতরে জ্বলা মমতার সব মোমবাতি-
সেই কবে থেকে শুধু বুঁদ হয়ে আছি এই কবিতারা কেমন কোকেন?
নেশার আবেশে তাই সমস্ত ডিক্টেটর হয়ে যান অর্ধেক কবি?
কালাশনিকভ ধরা হাত হতে বের হয় বুলেটের মত করে প্রচুর পয়ার?
কবিদের কান টেনে ধরে সেই হাত করে প্রতিযোগিতার মুলতবি-
কঠোর কন্ঠ ঢেকে মৃগমাথা জনতাকে কথা দেন বেহেশত দেয়ার…
তারপর তাদেরকে টর্চার সেল থেকে ডেকে বলে কবির হৃদয়-
জালিমের অভিধানে বেহেশত অর্থ কি তা বলে দেবে আগত সময়।