পোস্টস

কবিতা

পাহাড়-পুরাণ

১৫ জুন ২০২৪

Nafis Istiak Emon

মূল লেখক নাফিস ইসতিয়াক ইমন

 

আমি একবার পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে 

ভুল করে লিখে ফেলেছিলাম একটা কবিতা 

অথবা কবিতার মত কিছু একটা-

তারপর থেকেই পাহাড় ভীষণ প্রিয়।

সবকিছু খুব সহজেই আমার প্রিয় হয়ে উঠে।

পার্বত্যের ওই পর্বতগুলোকে এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে,

নিজের সমস্ত প্রতিভাকে বিগব্যাংপূর্ব মহাবিশ্বের মতো

একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত ক'রে ওদের একটা অয়েল পেইন্ট এঁকেছিলাম 

এবং সেটা টানিয়ে রেখেছিলাম বেডরুমে।

আমার উদ্যানবিদ্যার প্রফেসর বাবা একদিন হুট করে

গলায় পানি আটকে মারা গেলেন।সেদিন রাতে তাকে দাফন করে এসে 

বিছানায় শোয়ামাত্র নিজের শিল্পের শক্তিমত্তা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠতে হলো।

আমি দেখলাম, বেয়াদব পাহাড়টা ছবির ফ্রেম থেকে বের হয়ে এসে 

আমার বুকে চেপে বসেছে।দমবন্ধ লাগছিল।

আমি ওটাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করলাম, নামল না।

তারপর থেকেই একটা প্রমাণ সাইজের পাহাড় বুকে নিয়ে দিনপাত করছি। 

পাষাণটা দিন দিন বড় হচ্ছে। এভারেস্ট, তোমার ভবিষ্যত প্রতিদ্বন্দীকে চিনে রাখ!

যখনই আশেপাশে হাসিমুখে কাউকে দেখি,

ভেতরের সেই পাহাড়টা সহজেই বিসুভিয়াস হয়ে ওঠে

আর একনাগাড়ে বমন করে চলে বুকের ব্যাথাতুর বেসিনে।

আমি টেলিভিশন দেখা ছেড়ে দিলাম।

সেখানে সাদা-কালো ঢোরাকাটা পোশাক পরা, কৃত্রিম বোবা

একটা জোকারের হাসিমুখ আমার অসহ্য লাগত। 

তখনও জানতাম না, চার্লিও নিজের বুকে একটা পাহাড় পুষতেন!

ক্রমশ আমার অন্তরভেদী দৃষ্টি অন্যদের পাহাড়কেও প্রত্যক্ষ করতে শুরু করল।

একদিন ঘুম ভেঙ্গে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই হতবাক হতে হলো,

নিজের চেহারা দেখতে পারছি না।খেয়াল করলাম,

দুটো ' আমি' এর মধ্যে ঢুকে পড়েছে ছয়শ কোটি পাহাড়!