সকালেই আমরা হোটেল নিরাপদের বিল পরিশোধ করলাম। হোটেল বিল পরিশোধের ব্যাপারে আব্দুল মালিক রাজু স্যার আর খোরসেদুজ্জামান আহমেদ স্যার অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। গতকালের দুটি গাড়ি আজও সকালে আমাদের জন্য হাজির হয়েছে। দুজন ড্রাইভারই ছেলে বয়সের। আমাদের সাথে তেমন কোন কথা বলে না তবে আমরা যা বলি তা শুনে। আমরা সবায় শিক্ষক সম্ভবত এই কারণে ড্রাইভার দুজন আমার কোন কথার খেলাপ করেনি। আজ আরেক রঙের টি-শার্ট পড়লাম সবাই। গত রাতে মোজাম্মেল কবির স্যার এবং বজলুর রশিদ স্যার টি-শার্টের ব্যবস্থা করেছেন। গতকাল রাতে বজলুর রশিদ স্যার আমাদের সবাইকে উপহার দিয়েছেন (লিখার অস্ত্র)। খুবই সুন্দর কলম।
আমরা সবাই জি.কে. আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলাম। স্কুলে কেউ নেই। সহকারি প্রধান শিক্ষক তো আমাদের সাথেই তাই এস এস তাহমিনা শিল্পীর আপার স্কুলে কিছু সময় কাটিয়ে ছবি তোললাম। তারপর নারায়নগঞ্জ জিন্দাপার্কে উদ্দেশ্যে যাত্রা। খুব দ্রুতই জিন্দা পার্কে চলে আসলাম। এখানে আমাদের বৃট্রিশ কাউন্সিলের স্কুল’স অ্যাম্বাসেডর রাশেদুল কবির রাসেল স্যার সংযুক্ত হলেন। আমরা সকালেই জিন্দাপার্কে চলে আসলাম। এত সকালে জিন্দা পার্কের গেইট বা টিকেট কাউন্টার খুলে নাই। মোজাম্মেল কবির টুটুল স্যার এখানে বন্ধু আছে। তাই টিকেট কাটার দায়িত্ব উনার উপরে পড়ল।
নারায়নগঞ্জ জিন্দাপার্কটি মুলত একটি গ্রাম। এটিকে একটি আদর্শও গ্রামও বলা হয়। ১৯৮০ সালে ৫০০০ সদস্য নিয়ে অগ্রপথিক পল্লী সমিতি যাত্রা শুরু করে। এই অগ্রপথিক পল্লী সমিতির ৩৫ বছরের ফসল হলো জিন্দাপার্ক। এটি অবস্থান নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে। জিন্দা পার্কে আছে কমিউনিটি স্কুল,কমিউনিটি ক্লিনিক,নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী একটি লাইব্রেরি, মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান, রেস্তোরা, প্রায় ২৫০ প্রজাতির ১০,০০০ এর বেশি গাছ-গাছালি, বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে ৫ টি জলাধার, অসংখ্য পাখ-পাখালির কলকাকলী সবকিছু মিলে পার্কটি দেশ বিদেশের পর্যটকদের জন্য একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে। আমরা হাটছি, ছবি তোলছি আর গল্প করছি । খোরশেদুজ্জামান স্যার আমাদেরকে শিখালেন কিভাবে হাসিখুশী ছবি তোলা যায়। ছবি তোলার আধুনিক মডেল, টকশো মডেল, হাটার মডেল ইত্যাদি মডেলিং ছবি। শাহনেয়াজ স্যার আর আমি ফেসবুক লাইভে আছি।
মোজাম্মেল কবির স্যারের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম, অপস ক্যাবিনেট, অপস সংসদ এবং অপস কমিশন নামে পার্কটিতে ৩টি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে।