পোস্টস

প্রবন্ধ

দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন

১৮ জুন ২০২৪

আনন্দ কুমার মোহন

মূল লেখক আনন্দ

ডাক্তার রুমেলকে তার রিপোর্টে বলল, আপনি আর কুড়ি দিন বাঁচবেন। রুমেলের বয়স মাত্র ২৭ বছর। ডাক্তারের রিপোর্ট শুনে রুমেল মনমরা হয়ে ঘরে ফিরে। কেউ জানে না তার আয়ু আর কুড়ি দিন।

ডাক্তারের রিপোর্ট দেখে রুমেলের যেন পুরো দৃষ্টিভঙ্গিই পরিবর্তন হয়ে যায়। রুমেল এখন বাবা-মার কথা মনোযোগ সহকারে শুনে। তার এলাকার গাছগাছালি গভীরভাবে অবলোকন করে। পথ মধ্যে শত্রুর সাথে দেখা হলে অভিবাদন করে। যদিও এর আগে রুমেল শত্রু বা অপছন্দ করা লোকদের সহ্য করতে পারত না।

রুমেলের ভেতরে থাকা ইগো, হিংস্রা, বিদ্বেষ, অভিমান যেন এক নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। উচ্চস্বরে তার সাথে কেউ কথা বললে সে এখন গভীরভাবে শুনে। পাড়ার মুরব্বিদের সাথে রুমেল এখন অনেকটা সময় অতিবাহিত করে। বাবা কড়া গলায় কথা শুনালেও রুমেল হৃদয় দিয়ে শ্রবণ করে। যথারীতি ধর্মীও রীতিনীতি পালন করে।

ইগো, অভিমানের পরিবর্তে সবাইকে ভালবাসতে শুরু করে।

এই রকম আপনার সাথে হলে আপনে কি করবেন? আগামী কুড়ি দিন আপনার আয়ু হলে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে? শত্রুর সাথে কেমন ব্যবহার করবেন? ইগো নিয়ে থাকবেন না ইগোকে বিজর্সন দিয়ে ভালবাসতে শিখবেন? অন্যের মঙ্গলের জন্য পার্থনা করবেন না অমঙ্গলের জন্য? বাবা-মার কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন কি না?

স্থায়ী তো কিছু না, আপনে কুড়ি দিন বাঁচেন বা কুড়ি বছর। কুড়ি দিন বাঁঁচবে বলে রুমেলের যে দৃষ্টিভঙ্গি, সেই রকমই তো হওয়া উচিত।