এক ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে।
পাশ দিয়ে ছোট্ট একটি পিপীলিকা যাচ্ছিল।
মধুর ঘ্রাণ নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়াল।
ভাবলো একটু মধু খেয়ে নেই।
তারপর না হয় সামনে যাবো।
এক চুমুক খেলো। বাহ্! খুব মজা তো।
আর একটু খেয়ে নেই। আরেক চুমুক খেলো।
তারপর সামনে চলতে লাগলো।
হাঁটতে হাঁটতে ঠোঁটে লেগে থাকা মধু চেটে চেটে খাচ্ছিল। ভাবলো, এত মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে কি হয়? আবার পিছনে ফিরলো।
পূর্বে মধুর একপাশ থেকে খেয়েছিল। এবার চিন্তা করলো ভিতরে মনে হয় আরও মজা।
এবার আস্তে আস্তে বেয়ে বেয়ে মধু ফোঁটার উপরে উঠে গেল।
বসে বসে আরামে মধু খাচ্ছে। খেতে খেতে এক পর্যায়ে পেট ফুলে গেল। ঐ দিকে আস্তে আস্তে পা দুটো মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে।
তখনই হঠাৎ টনক নড়লো তার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
কিন্তু নাহ্! মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখি অবস্থা।অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে আর উদ্ধার করতে সক্ষম হলো না।
নাকে মুখে মধু ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগল।
এক সময় পিপীলিকাটি মধুর ভিতরে আটকে পড়েই মৃত্যু বরণ করল।
এই বিশাল বড় দুনিয়াটাও এক ফোটা মধুর মত। যে এই মধুর পাশে বসে হালাল ও অল্পতে সন্তুষ্ট থাকবে সেই বেঁচে গেল।
আর যে এই স্বাদের মধ্যে ডুব দিতে গিয়ে হালাল-হারাম বাচ-বিচার না করে শুধু খেয়েই গেল,আরেকটু আরেকটু করতে করতে একদিন সে এর মায়াজালে আটকা পড়েই মারা যাবে। তখন আর কেউই উদ্ধার করতে পারবে না।
তার ধ্বংস অনিবার্য।