পোস্টস

ফিকশন

টাইম ট্রাভেলার ১.০

২৩ জুন ২০২৪

Rashid Shahriar

মূল লেখক Rashid Shahriar

নির্জন রাত। দূর থেকে শোনা যাচ্ছে একটা মৃদু হুইসেলের শব্দ। আকাশ ভরা তারা, আর মাঝে মাঝে চকচক করে উঠছে অচেনা কোনো বস্তুর প্রতিচ্ছবি। এই শহরটা কিছুদিন আগেও ছিল ব্যস্ত, তবে এখন যেন নীরবতার আচ্ছাদনে মোড়া।

রাহাত বসে আছে তার ল্যাবের ভিতরে। তার সামনে একটি রহস্যময় যন্ত্র। সে একটি বিজ্ঞানী, আর তার সর্বশেষ আবিষ্কার এই যন্ত্র, যা সে নাম দিয়েছে "টাইম ট্রাভেলার ১.০"। রাহাতের বিশ্বাস, এই যন্ত্রের সাহায্যে সে সময়ের মাঝে ভ্রমণ করতে পারবে।

রাতের তৃতীয় প্রহরে রাহাত যন্ত্রটি চালু করল। যন্ত্র থেকে মৃদু আলো ছড়িয়ে পড়ল, আর রাহাত দেখতে পেল একটা সুগন্ধি ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎই সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল।

যখন রাহাত চোখ খুলল, সে দেখতে পেল একটি বিশাল অদ্ভুত শহর। চারদিকে ভাসমান যানবাহন, আকাশচুম্বী ভবন, আর রোবটদের আনাগোনা। সে বুঝতে পারল, সে ভবিষ্যতে চলে এসেছে।

রাহাতের সামনে এসে দাঁড়াল একটি রোবট। রোবটটি তাকে স্বাগত জানিয়ে বলল, "স্বাগতম, ভবিষ্যতের শহর সিন্ট্রালে। আমি আপনার গাইড, নাম আমার অ্যালেক্স।"

রাহাত বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে গেল। সে অ্যালেক্সের সাথে শহর ঘুরে দেখল। এখানে মানুষ ও রোবট একসাথে বসবাস করে, আর সবকিছুই প্রযুক্তির দৌলতে চালিত। রাহাত জানতে পারল, ভবিষ্যতে পৃথিবীর সমস্যাগুলি অনেকটাই সমাধান হয়েছে, কিন্তু নতুন নতুন চ্যালেঞ্জও এসেছে।

একদিন, রাহাত জানতে পারল যে এই শহরে একটি শক্তিশালী শক্তি কেন্দ্র আছে, যা সমস্ত শক্তির উৎস। কিন্তু সেই শক্তি কেন্দ্রের ওপর একটি বিপদ আসছে। একটি দুর্ভেদ্য শক্তি বলয় তৈরি হয়ে গেছে, যা যে কোনো মুহূর্তে বিস্ফোরিত হতে পারে।

রাহাত সিদ্ধান্ত নিল, সে এই সমস্যার সমাধান করবে। অ্যালেক্সের সাহায্যে সে শক্তি কেন্দ্রের কাছে গেল। সেখানে গিয়ে দেখতে পেল, বলয়ের ভিতরে একটি অজানা শক্তির স্ফটিক আছে। রাহাত তার যন্ত্রের সাহায্যে সেই শক্তি বলয়কে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করল।

কয়েক ঘন্টার চেষ্টার পর, অবশেষে রাহাত সফল হল। শক্তি বলয় ধ্বংস হয়ে গেল, আর শহর রক্ষা পেল। শহরের মানুষ ও রোবটরা রাহাতকে কৃতজ্ঞতা জানালো।

রাহাত বুঝতে পারল, তার কাজ এখানে শেষ। সে আবার তার যন্ত্রটি চালু করল এবং ফিরে এল নিজের সময়ে।

ফিরে এসে রাহাত অনুভব করল, তার আবিষ্কার শুধুমাত্র প্রযুক্তির উন্নতি নয়, বরং মানবজাতির মঙ্গলেও কাজ করবে। সে আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করল, ভবিষ্যতের জন্য আরও উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করতে।

এইভাবে রাহাতের সাহসিকতা ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির কাহিনী হয়ে রইল একটি অনুপ্রেরণার গল্প, যা বহুদিন ধরে মনে রাখা হবে।