নন্দিনী তার ছোটবেলা থেকেই হারানো গ্রামের রহস্যময় কাহিনী শুনে এসেছে। তার বাবা প্রায়ই বলতেন, গ্রামটা অদ্ভুতভাবে একদিন হঠাৎ করে উধাও হয়ে গিয়েছিল। সেই গল্পগুলো শুনে নন্দিনীর কৌতূহল দিন দিন বেড়েই চলল। তার মনে প্রশ্ন উঠত, কী এমন ঘটেছিল যে পুরো গ্রামটাই হারিয়ে গেল? আর সেই রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে নন্দিনী তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হল।
অধ্যায় ১: গোপন চিঠি
নন্দিনী একদিন তার বাবার পুরোনো চিঠিপত্র খুঁজতে গিয়ে একটি গোপন চিঠি পেয়ে গেল। চিঠিতে লেখা ছিল, "আমাদের গ্রামের রহস্য উদঘাটন করতে হলে, অন্ধকারের ছায়ার দিকে যেতে হবে। সেখানে লুকিয়ে আছে এক মরণফাঁদ।" এই চিঠিটাই নন্দিনীর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল। সে ঠিক করল, সে এই রহস্যের সমাধান করবেই। চিঠির সূত্র ধরে নন্দিনী তার বন্ধু সায়ন ও অদিতিকে নিয়ে যাত্রা শুরু করল।
অধ্যায় ২: গ্রামটি খুঁজে পাওয়া
গ্রামের খোঁজে তারা পাড়ি দিল দূর-দূরান্তে। মানচিত্র আর পুরোনো গল্পের সূত্র ধরে তারা অবশেষে সেই গ্রামটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেল। চারপাশে শুধু ধ্বংস আর নিস্তব্ধতা। গ্রামের মাঝখানে একটা পুরোনো মন্দির ছিল, যার দিকে তাকালে মনে হত, সেটা অনেক কিছু লুকিয়ে রেখেছে। মন্দিরটা দেখে নন্দিনীর মনে হল, এখানেই লুকিয়ে আছে গ্রামের রহস্য।