সব দ্যাখা হচ্ছে গাঢ় অন্ধকারে জানালার বাইরে এক ফালি চাঁদ হাসছে
পাপ কান্না অনুশোচনার শোকে দেহকপাট আহ ভারী হয়ে ওঠে।
আকাশের খোলাচাঁদ ঘিরে সব নক্ষত্ররা মুক্তোর ন্যায় ছড়িয়ে আছে—
সকলেই আজ মৃত্যু উৎসব উদযাপন করবে যদিও কিছুকাল পূর্বেও যাদেরকে
ফুসফুস পুড়িয়ে দিয়েছি জ্বলন্ত কয়লা—দূর করেছি একাকীত্বের মহামারী।
পৃথিবীর বিপরীতে যুদ্ধরত লোকটির কাছে উৎসবের অর্থবহতা আদৌ ছিলো?
কনডেম সেলের দেয়ালে হাজারো অক্ষরের আর্তনাদ—গোটা একটি শব্দবৃক্ষ
গায়ে যার বর্ণমালার পোশাক কিংবা বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর হাতে আঁকা তীক্ত জীবনের পোট্রেইট।
মগজ অভিধান ছিড়ে বেড়িয়ে আসে বিস্ময়কর শব্দ—
বিষাদগ্রস্ত আত্না আজও কিছু লিখতে চায়
পৃথিবীর শরীর থেকে লাশের স্তুপ সরাতে যে সত্তা নিজের হৃদপিন্ডে প্রস্তত করে রক্তমশাল—
সেও কোনো একদিন খুন হয়ে যায় আততায়ীর ধুরন্ধর চোখে।
প্রেমিকার বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র মৃত্যুর পরোয়ানা হয়ে আসে—
কমরেডের মনে অপেক্ষা কুমারী ডাক্তার যদি এখনো তাকে ডাকে ভালোবেসে।
আলেপ্পো শহরের ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে বিপ্লবী বলেছিলো—
যুদ্ধে তোমাকে চেয়েছি প্রার্থনায় বিদ্রোহে এবং প্রেমে
গোলাবর্ষণ থেমে যাক শান্তি আসবে—
অবশেষে তার দেহটিও বিক্রি হয়ে যায় নরকের নিলামে।
This is a premium post.