~
মাঝে মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় যে অনেকে বলেন তারা সাধু রীতি এর লেখা গল্প-উপন্যাস এগুলো পড়তে পারেন না বা পড়তে সমস্যা হয়। এইখানে অনেকের কাছে সাধু রীতিকেই দোষের বলে মনে হয়। যা সত্য নয়।
কোনো লেখকের কোনো লেখা পড়তে কেমন লাগবে সেটা নির্ভর করে সেই লেখকের লেখার ধরণের উপর৷ এর উপর ভিত্তি করে কারো লেখা সহজবোধ্য হয় আর কারো লেখা কঠিন রূপে আমাদের কাছে হাজির হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর গদ্যে সংস্কৃত এর প্রাধান্য ছিল। ঐ যুগে এমন ধারার রচনাই সাধারণ ছিল। যারা গদ্য রচনা করতেন তারা ঐ ভাবেই অর্থাৎ সংস্কৃত আধিক্যপূর্ণ বাংলায় লিখতেন।
এর পরে রবীন্দ্রনাথের গদ্য পড়লে আপনার কাছে পানির মতো সহজ ও তরল মনে হবে। রবীন্দ্রনাথ সাধু ও চলিত উভয় ধারাতেই গদ্য লিখেছেন। তাঁর সাধু রীতিও সহজবোধ্য। সংস্কৃত এর আধিক্য পাওয়া যায় না বঙ্কিমের মতো। কাব্যরূপময়তা প্রবল। অনেকেই তাই রবীন্দ্রনাথ পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য ও আনন্দ বোধ করে থাকেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাধু রীতির লেখা যদি আপনি পড়েন তবে দেখবেন বড়ই সহজ ভাষায় লেখা। সাধু রীতি বলতে আমরা যে দাঁত ভেঙে ফেলা বাংলা বুঝি তার কোনোটাই নয়। যা বলতে চাচ্ছেন তা লিখেছেন সহজ করে। সংস্কৃত এর অধিক ব্যবহার নেই বঙ্কিমের মতো। রবীন্দ্রনাথের মতো নেই কাব্য।
দেখুন এই তিনজন সাধু রীতিতে লিখেছেন। কিন্তু বঙ্কিমেরটা কঠিন মনে হয় আর বাকি দুজনেরটা সহজবোধ্য মনে হয়।
এবার চলিত রীতিতে আসি।
শহীদুল জহিরের ভাষাটা ঠিক সহজ নয়। একটু কঠিন টাইপের করে লেখা বে বোধ হয়। কিছু শব্দের অধিক ব্যবহার ও লেখার এক ভিন্ন রকমের স্টাইলের জন্য অনেকে জহিরের লেখাকে বিরক্তিকর বলে মনে করে থাকেন।
হুমায়ূন আজাদের গদ্য অনেকেই পছন্দ করেন। কাব্যিক। আজাদ কবিতা লিখতেন। নিজের সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন। তাঁর কাব্যপ্রতিভা গদ্যের মধ্যেও ফুটে ওঠে।
হুমায়ূন আহমেদ এর ভাষাটা বড়ই সহজ। বাংলা ভাষাতেই এমন সহজ ও হালকাভাবে গদ্য লিখতে আর কাউকে আমি দেখিনি। এজন্য অবশ্য অনেকেই হুমায়ূন আহমেদ এর লেখাকে গুরুত্ব দিতে চান না।
এখন দেখুন, ভাষা সহজ হওয়ার সাথে রীতির প্রভাব খুব একটা নেই। মূলত কে কীভাবে লিখছেন সেইটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মানিক সহজ লাগে সাধু রীতিতে লিখলেও আবার জহির কঠিন লাগে চলিত রীতিতে লেখার পরেও।
মাঝে মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় যে অনেকে বলেন তারা সাধু রীতি এর লেখা গল্প-উপন্যাস এগুলো পড়তে পারেন না বা পড়তে সমস্যা হয়। এইখানে অনেকের কাছে সাধু রীতিকেই দোষের বলে মনে হয়। যা সত্য নয়।
কোনো লেখকের কোনো লেখা পড়তে কেমন লাগবে সেটা নির্ভর করে সেই লেখকের লেখার ধরণের উপর৷ এর উপর ভিত্তি করে কারো লেখা সহজবোধ্য হয় আর কারো লেখা কঠিন রূপে আমাদের কাছে হাজির হয়।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর গদ্যে সংস্কৃত এর প্রাধান্য ছিল। ঐ যুগে এমন ধারার রচনাই সাধারণ ছিল। যারা গদ্য রচনা করতেন তারা ঐ ভাবেই অর্থাৎ সংস্কৃত আধিক্যপূর্ণ বাংলায় লিখতেন।
এর পরে রবীন্দ্রনাথের গদ্য পড়লে আপনার কাছে পানির মতো সহজ ও তরল মনে হবে। রবীন্দ্রনাথ সাধু ও চলিত উভয় ধারাতেই গদ্য লিখেছেন। তাঁর সাধু রীতিও সহজবোধ্য। সংস্কৃত এর আধিক্য পাওয়া যায় না বঙ্কিমের মতো। কাব্যরূপময়তা প্রবল। অনেকেই তাই রবীন্দ্রনাথ পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য ও আনন্দ বোধ করে থাকেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাধু রীতির লেখা যদি আপনি পড়েন তবে দেখবেন বড়ই সহজ ভাষায় লেখা। সাধু রীতি বলতে আমরা যে দাঁত ভেঙে ফেলা বাংলা বুঝি তার কোনোটাই নয়। যা বলতে চাচ্ছেন তা লিখেছেন সহজ করে। সংস্কৃত এর অধিক ব্যবহার নেই বঙ্কিমের মতো। রবীন্দ্রনাথের মতো নেই কাব্য।
দেখুন এই তিনজন সাধু রীতিতে লিখেছেন। কিন্তু বঙ্কিমেরটা কঠিন মনে হয় আর বাকি দুজনেরটা সহজবোধ্য মনে হয়।
এবার চলিত রীতিতে আসি।
শহীদুল জহিরের ভাষাটা ঠিক সহজ নয়। একটু কঠিন টাইপের করে লেখা বে বোধ হয়। কিছু শব্দের অধিক ব্যবহার ও লেখার এক ভিন্ন রকমের স্টাইলের জন্য অনেকে জহিরের লেখাকে বিরক্তিকর বলে মনে করে থাকেন।
হুমায়ূন আজাদের গদ্য অনেকেই পছন্দ করেন। কাব্যিক। আজাদ কবিতা লিখতেন। নিজের সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন। তাঁর কাব্যপ্রতিভা গদ্যের মধ্যেও ফুটে ওঠে।
হুমায়ূন আহমেদ এর ভাষাটা বড়ই সহজ। বাংলা ভাষাতেই এমন সহজ ও হালকাভাবে গদ্য লিখতে আর কাউকে আমি দেখিনি। এজন্য অবশ্য অনেকেই হুমায়ূন আহমেদ এর লেখাকে গুরুত্ব দিতে চান না।
এখন দেখুন, ভাষা সহজ হওয়ার সাথে রীতির প্রভাব খুব একটা নেই। মূলত কে কীভাবে লিখছেন সেইটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মানিক সহজ লাগে সাধু রীতিতে লিখলেও আবার জহির কঠিন লাগে চলিত রীতিতে লেখার পরেও।