হয়তো কোন একদিন কুয়াশা ভেঁজা
কিংবা সোনালি আলো ঝড়া,
কোন এক শুভ্র সকালে,
কিংবা বিষন্ন দুপুরে তোমায় এক নজর
দেখেই ভালোবেসেছিলো সে।
তারপর কোন একদিন সময়ের ব্যবধানে
তাকে ফেরাতে পারো নি তুমিও,,
তোমার জন্মদিন, গোলাপ দিবস,
চকোলেট দিবস, ভালোবাসা দিবস,
কিংবা হঠাৎ কোন কারন ছাড়াই
অনেক অনেক গোলাপ দিয়েছে সে,
তোমায় ভালোবাসে বলে।
হুমমম এখনও ভালোবাসে,
তবে এখন আর তোমায় নয়,
এখন সে ভালোবাসে তোমার উন্মত্ত যৌবন,
ভালোবাসে তোমার কোমল শরীর,
স্বাদ নিতে চায় তোমার আপাদমস্তক।
তাইতো তোমায় ডাকে কোন বন্ধুর ফ্লাটে,
চিপাগলির মেস কিংবা দামী কোন হোটেলে।
তার ভালোবাসার ছলে হয়তো তুমিও
সমার্পিত হও তারই দেহে,
এখনও সে তোমায় গোলাপ দেয়,
দামী কোন রেস্টুরেন্টে দেশি মুরগীর
বুকের সাদা মাংসটা খাওয়ায়,
কিংবা রানটা তুলে দেয় তোমার পাতে।
হুমমম তা দেয়, কিন্তু কতটুকু ভালোবেসে?
নাকি দৌলতপুরের নিষিদ্ধ পল্লীর
অসহায় মেয়েরা দেহের বিনিময়ে,
খদ্দেরের কাছে পাওয়া পাওনার মতো,
তোমায়ও তা মিটেয়ে দেয়,
দেহ ভোগের দেনায়!
তুমি বুঝতেই পারো না,
আবার আগামী দিনে তোমার বুকের
সাদা মাংস আর রান খাবে বলে,
কি নীল নকশাই না আঁকে সে।
তবুও তুমি মিথ্যে ভালোবাসার জালে,
প্রতিনিয়ত ডুবে মরো তারই ইচ্ছেতে,,,