মনে পড়ে, একদিন বিকেল অবসরে,
যখন অবসাদগ্রস্ত রবির পেয়েছে ডুবে যাবার নেশায়,
মায়াময় গোধূলিতে বসলাম নদীর পাড়ে।
গোত্রহীন কতেক ঝোপ থেকে,
একরাশ বাতাস এসে হুশহুশ করে,
শেষ ক’টা চুলে ঝাপটা মারে, দুরে বয়ে যায়।
অবশেষে নদীর কাছে ফিরি,
যেখানে সকলকে ফিরতে হয় একদিন,
একটা ছোট ডাল, ছিল হয়ত বড় কারও অংশ।
ছুটে চলে স্রোতের তোড়ে, খড়কুটোর মত,
একবার ডানে, বামে, কখনও বা জলের ঘুর্নিতে,
ডুবে গিয়ে ভেসে ওঠে, ভেসে ভেসে চলে।
বড় এক গাছের গুড়ি, ছিল খানিক দূরে,
একটা ফিঙ্গে বসে তারই উপর, শিকারের আঁশায়,
ছোট ডালখানা হারায় গতি, বড়’তে আটকে পড়ে।
বসে দেখি, আর খুব করে চাই, ছোট ডালখানা
আগে যেমন স্বচ্ছ জলে, স্রোতের ভালোবাসায়
ছুটে চলুক, উজানে ভাটিতে।
একটা ডিঙ্গি নৌকা আসে,
বড় গাছের গুড়ি, তূলে নেয় পাটাতনে,
ছোট ডালখানা, পড়ে থাকে ডাঙ্গায়।
আমার ভাবনাও ঘুর্নিতে পড়ে, মানুষও কি খড়কুটোর মত,
সময়ের স্রোতে ভেসে ভেসে,
জড়ো হয়, শেষ নিশ্বাসের অপেক্ষায়।