আমি বেশ আছি-
রাজহংসের মতো স্বচ্ছজলে সাঁতার কাটি,
নীল আকাশে ডানামেলে দেই -
শঙ্কচিল ঈগলের মতো।
ছুটে চলি শরৎচন্দ্রের দুরন্ত শ্রীকান্তের মতো!
হারিয়ে যাই সবুজ প্রান্তরে!
" তুমি ভালো আছো তো "!
এই তো - পূবের জানালা খুলে দেখি, হলুদ অলকানন্দ আর মাধবিলতার মাখামাখি!
যেনো দুজনের গা'য়ে লেপ্টে আছে জনমজনম ধরে!
জানো- ওদের দেখে কেনো জানি তোমায় খুব মনে পড়ছে! চোখে মুখে ভাসছে তোমার প্রতিচ্ছবি, বুকের মাঝে বাঁজে রিনিঝিনি শব্দ, ঠিক যেমন আঠারো বছরের কিশোর, কোন ষোড়সীর প্রেমে পড়ে।
আচ্ছা- " তুমি খেয়ে নিয়েছো তো "!
ভাবছি মাধবিলতা আর অলকানন্দন দিয়ে একটা মালা গাঁথবো, তারপর বেণী গেঁথে গুছিয়ে দিবো তোমার চুলে।
অপরাজিতার কাছে চেয়ে নিবো তার নীল পাপড়ি, টিপ বানিয়ে পড়ে দিবো তোমার প্রশস্ত ললাটে।
মেঘের কালো রঙ দিয়ে বানাবো তোমার চোখের কাজল।
কেমন হবে বলতো!
হয়তো তোমার প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে,
হয়তো ভাবছো পাগল একটা!
কি করবো বলো-
ভাবনাগুলো তো আর বেঁধে রাখতে পারি না!