জীবনে প্রচন্ড আঘাত পাওয়া মানুষগুলো একসময় ম্যাচিউর হয়। দিনের পর দিন অতি প্রত্যাশিত জায়গাগুলো থেকে যখন একের পর এক অপমান, আঘাত, লাঞ্চনা পেতে থাকে তখন এই মানুষগুলো বুঝতে শিখে, এই পৃথিবীতে অতি প্রত্যাশিত জায়গাগুলো থেকে কেবল মাত্র অপমান আর লাঞ্চনা ছাড়া কিছুই মিলে না। বাধ্য হয়ে তারা নিজেকে বুঝতে শিখে, নতুন করে নিজেকে সৃষ্টি করতে শেখে। হুম, এই বুঝতে শেখার পিছনে হয়তো অনেক কাঠখড়ি পোড়াতে হয়, নিজের সন্মান ততদিনে খোয়া যায় তবে ওসবের মধ্য থেকে যে মানুষগুলো নিজেকে একবার পুরোপুরিভাবে বের করে আনতে পারে, তার আর অতীতে ফেলে আসা মায়া, ভালবাসা, টান কোনকিছুই আর তাকে তেমন পিছনে ফিরে তাকানোর জন্য হাতছানি দেয় না। নিজেদের অবস্থানে দাড়িয়ে কারো ব্যথা উপলব্ধি করার সাধ্য কারোর-ই নেই। যার ব্যথা একমাত্র সেই বোঝে। আমরা উপরে উপরে মানুষের ভেঙ্গে যাওয়া ক্ষতটা যতটা জানি তার চেয়েও মানুষটার ক্ষতটা যে অনেক গভীর। যা আমরা কখনোই উপলব্ধি করতে পারব না।মানুষটার বোবা কান্না কতটা যন্ত্রনার, কতটা কষ্টের, কতটা হাহাকারের তাও কখনো উপলব্ধি করতে পারব না। শুধুমাএ বাহ্যিকভাবে যতটা জানি ততটুকুই হয়তো আপসোস করি, নয়তো বা শান্তনা দেবার চেষ্টা করি কিন্তু তাতে মানুষটার কষ্টগুলো একটুও কমে না বরংচ দিন যত গড়াতে থাকে ব্যথাগুলোও বাড়তে থাকে আর এসবের মধ্যে প্রতিনিয়ত নিজেকে পোড়াতে পোড়াতে যে মানুষগুলো একবার নিজেকে শক্ত করে নিতে পেরেছে তাকে আর দ্বিতীয়বার ভাঙ্গা যায় না।
জীবনে আঘাত পাওয়া মানেই ভেঙ্গে পড়া নয়। ব্যর্থতা মানেই পরাজয়ের গল্প নয় বরংচ প্রত্যেকটা ব্যর্থতাই সফলতার জন্য একেকটা করে সিঁড়ি।প্রত্যাশিত জায়গাগুলোতে প্রচন্ড অপমান আর লাঞ্চনা পাওয়া মানেই নিজেকে শেষ করে দেয়া নয় বরংচ নিজেকে আরেকবার নতুন করে বোঝার সুযোগ। প্রত্যাশা শুন্য রেখে নিজেকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার নতুন আহ্বান। লোহা পুড়তে পুড়তে শক্ত হয়, স্বর্ন পুড়তে পুড়তে খাঁটি হয়।
"লোহা যেমন পুড়তে পুড়তে শক্ত হয়, তেমনি জীবনে অনেক বেশি আঘাত পাওয়া মানুষগুলোও একসময় খুব বেশি ম্যাচিউর হয়।"