পোস্টস

সমালোচনা

" বিবাহ এবং মডারেট মুসলিম "

৭ জুলাই ২০২৪

রেজওয়ান আহম্মেদ

আপনি যদি ভেবে থাকেন

বিয়ে মানেই বন্দী জীবন এবং নির্ভরশীল জীবন তবে আপনি ভুল ভাবছেন। বিবাহ সমাজের সবচেয়ে সুন্দর একটি জিনিস। তবে একটি সংসার বা পরিবার ভালো কিংবা খারাপ;  

তা নির্ভর করে কোনো পুরুষ কীভাবে একটি পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং কীভাবে একজন মহিলা পরিবারটিকে পরিচালনা করছেন তার উপর।

 

If you think that marriage means captive life and dependent life then you are wrong. Marriage is the most beautiful thing in society. But whether the family is good or bad depends on how a man is controlling a family and how a woman is managing the family.

 

আমাদের সমাজের অনেক মডারেট মুসলিম মেয়ে বা আরও ভালো করে বলতে গেলে তথাকথিত আধুনিক নারীগণ যারা কিনা পশ্চিমা চিন্তাধারার মাঝে নিজেদের সুস্থ চিন্তাভাবনার জগৎ টাকে হারিয়ে ফেলেছেন তারা অনেক সময় বলে থাকেন " বিয়ে ব্যাপারটা একটা ঝামেলার জিনিস, বিয়ে করলে মেয়েদের স্বাধীনতা হারিয়ে যায়, পুরুষের অধীনে থাকতে হয়,  সন্তান লালন পালন, রান্না বান্না, নানা রকম দায়িত্ববোধ আর ঝামেলা " 

এর চেয়ে বিয়ে না করাই ভালো। বিন্দাস লাইফ, চিল লাইফ, জীবন টাকে উপভোগ করো।  


যারা এইসব মূলমন্ত্রে বিশ্বাসী তাদেরকে বলছি বোনেরা আমার- বিয়ে হচ্ছে আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে নারী এবং পুরুষের জন্য সবচেয়ে বড় রহমত গুলোর মাঝে একটা। 
অবশ্য শুধু যে মেয়েদের কথাই বলবো তা নয়- এমন অনেক চরিত্রহীন পুরুষ সমাজে বিরাজমান যারা কিনা বিয়ে করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে থাকেন একজন স্বাবলম্বী ব্যক্তি হয়েও শুধু মাত্র এই চিন্তা চেতনা যে - বিয়ে করলে তারা একটি মাত্র নারীর দিকে মুখাপেক্ষী হবেন যেখানে বিয়ে না করলে তারা অনেক নারীর সাথে চিন্তামুক্ত অবাধ মেলামেশা করতে পারবেন তাছাড়া বিয়ে করে সংসারের মত এত বড় একটা দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে অনেক পুরুষই বিয়ে করতে অপারগতা পোষণ করে থাকেন যা রীতিমতো চরিত্রহীনতা এবং অসুস্থ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ।

অনেক সময় অনেক নারীর বিবাহ পরবর্তী জীবন অনেক কঠিন এবং কষ্টকর হয়ে থাকে এর মূলে বেশির ভাগ সময় একজন পুরুষের এবং শ্বশুর বাড়ির লোকের ভুমিকা থাকে মাঝে মাঝে একজন নারীর আচরণও মূখ্য হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে  একজন পুরুষ কে সঠিক উপায়ে পরিবার কে নিয়ন্ত্রণ করার উচিত এবং একজন নারীকে সঠিক ভাবে পরিবার কে পরিচালনা করা উচিত।

ইসলাম বিবাহ এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে কি কি বিধান নির্ধারণ করেছে যা পালন করলে একটি বৈবাহিক সম্পর্ক সুস্থ এবং সুন্দর হয়ে উঠে......

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীদের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি ভয়ের কথা বলেছেন। জানিয়েছেন অধিকাংশ নারী জাহান্নামি। তাই নারীদেরকে দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক সুন্দর ও নিরাপদ করার অনেক নসিহত পেশ করেছেন।
কুরআন এবং হাদিসের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, উত্তম স্ত্রী হলো তারা, যারা স্বামীকে যথাযথ সম্মান করে কারণ পরস্পরের প্রতি যথাযথ সম্মানই দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভের উপায়।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কতটা গাঢ় তার প্রমাণ কুরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা তা ঘোষণা করেন-

‘তারা তোমাদের পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের পোশাকস্বরূপ।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৮৭)

সুতরাং স্ত্রীর উচিত স্বামীর উপস্থিত-অনুপস্থিত সর্বাবস্থায় নিজের ইজ্জত আব্রুর হেফাজত করা। স্বামীর আনন্দে নিজেকে সম্পৃক্ত করা। হাদিসে পাকে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী হলো (সে-ই, যে) যখন তুমি তার দিকে তাকাও তখন সে তোমাকে আনন্দিত করে। যখন তাকে আদেশ কর তখন সে আনুগত্য করে আর যখন তুমি স্থানান্তরে যাও তখন সে তার ইজ্জত-আব্রু রক্ষা করে এবং সম্পদ হেফাযত করে।’


হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে, রমজান মাসের রোযা রাখে, লজ্জাস্থানের হেফাজত করে এবং স্বামীর অনুগত থাকে; তাকে বলা হবে- তুমি যে দরজা দিয়ে চাও জান্নাতে প্রবেশ কর।’ (মুসনাদে আহমদ)

 

আবার যে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে উত্তম আচরণ করে না এবং স্বামীর প্রতি অসন্তুষ্ট থাকে তার সম্পর্কে হাদিসে কঠোরভাবে সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। 
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তার কোনো নামাজ কবুল হয় না, কোনো নেক আমল ওপরে উঠানো হয় না; যতক্ষণ স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট না হবে।’ (ইবনে হিব্বান) 


বোনদের প্রতি আমার আহ্বান; আপনাদের মাঝে যারা সাংসারিক ভাবে বিপদগ্রস্ত এবং কষ্টের মাঝে দিনযাপন করছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো 
আপনি ধৈর্য ধরুন!  আল্লাহর কাছে সাহায্য চান!  
এবং স্বামীর মন জয় করার চেষ্টা করুন! স্বামী খারাপ হলে তার জন্য দোয়া করুন!  ইনশাআল্লাহ একদিন আল্লাহ আপনাকে এত দিবেন যে আপনি খুশি হয়ে যাবেন।