পোস্টস

কবিতা

কবি গুরু

৮ জুলাই ২০২৪

নাসির ফরহাদ

কবিগুরু করে গেলে,কত রকম খেলা,

ভাসিয়েছো তুমি নালার জলে, কত রকম ভেলা।

কত নারীর পানে তাকিয়ে তুমি,

কত মন করেছো গোপনে চুরি।

দেখছো কে বা নদীর ঘাটে নিতেছে জল ভরি।

কত বসন্তে সাজিয়েছ মন, কত ফুলের ডালা পড়ি।

কুড়ায়েছ কত সাগর তীরে, ঝিনুক শামুক কিংবা নুড়ি।

ছয় ঋতুকে সাজিয়েছ তুমি নানান রং ও রূপে,

খুঁজে ফিরেছো মুক্তাদানা মরুর বালুর বুকে।

নদীর ঢেউয়ে খুঁজে ফিরেছো, যৌবনা নাকি সর্বনাশা।

দেখছো খুঁজিয়া ক্ষতির মাঝে ও আছে কি কোনো লাভের আশা।

দেখছো অনেক খেয়েছো অনেক লিখেছো অনেক মিষ্টি কথা।

জীবনে দুঃখ সুখের অনুপাত কত, জানিতে দাওনি তা।

হয়তো পরের সুখে সুখী হয়েছ, পরের দুঃখে দুঃখী।

পরকে নিয়ে শেষ করেছো জীবনের লেখালেখি।

নাচিয়ে গেলে সবাইকে তুমি, কত মিথ্যা আর প্রবঞ্চনায়।

নাচিয়ে গেলে সবাইকে তুমি, কিছু সত্য আর কিছু কল্পনায়।

যা লিখিয়া মুগ্ধ করেছো মূর্খ জনতারে,

এত ঘটনা ঘটে না তো কারো এক জীবনে।

গরুতে ক্ষেত খাইলো বলে, ডেকেছো কত তরুণীকে।

কত মেয়েকে দেখেছো আড়চোখে, চলতি পথে সরণিতে।

কালোকে বানিয়েছ কৃষ্ণকলি, সুন্দরীকে অপরূপা।

কখনো দেখছো কালো হরিণ চোখ, কখনো কালো চুলের খোঁপা ।

হায়রে গুরু কেমন খেলা করলে শুরু তুমি,

সোনার বাংলা বানিয়েছো নিজের জন্মভূমি।

ধর্মকে করেছো তুচ্ছজ্ঞান সর্বোচ্চে মানবতা,

তোমার জন্য বাংলা সাহিত্য পেলরে আজ এ পূর্ণতা।

দেখেছ খুকুর তুলতুলে গালে সোনালী রোদের খেলা।

ফাগুন বনে দেখেছো তুমি, দোয়েল শালিকের খেলা-

আরো দেখছো শরৎ কালের শাপলা তোলার মেলা।

সাথীর সাথে জল ছুড়াছুড়ি করে, খেলেছো শখের খেলা।

নব ধান উঠা নবান্নে দেখেছ, কৃষাণীর মুখের হাসি।

জারি সারি গান গেয়েছে জড়ো, হয়ে গায়ের সকল চাষি।

পালাগানের কথা তুমি, বাদ দাওনি ভুলে!

বাংলার মাটি ধন্য হলো পেয়ে তোমায় নিজ কোলে।